করোনার সময় হৃদ্রোগীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা

বিশ্বজুড়েই করোনার সংক্রমণে রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়ছে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনার সংক্রমণের ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি রয়েছে প্রবীণেরা। এ ছাড়া হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতাসহ দীর্ঘমেয়াদি রোগ রয়েছে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম, তারাও করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও একই কথা বলছে। কাজেই এ সময় এ ধরনের রোগীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বাড়তি সতর্কতা
* বিশেষ জরুরি প্রয়োজন না পড়লে বাড়িতেই থাকা ভালো।
* সব ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।
* ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিয়মমতো চালিয়ে যাবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করা যাবে না।
* যেকোনো সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত রোগী থেকে কমপক্ষে তিন ফুট বা এক মিটার দূরে থাকুন। বাড়িতে কারও জ্বর-কাশি হলে তার থেকে অবশ্যই আলাদা থাকবেন।

অন্য সতর্কতা
* সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
* নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করা যতটা সম্ভব এড়াতে হবে।
* হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। রুমাল বা টিস্যু না থাকলে প্রয়োজনে কনুই দিয়ে নাক–মুখ ঢেকে নিন। হাত ব্যবহার করা থেকে
বিরত থাকুন।
* মাস্ক ব্যবহার করলে হাতের স্পর্শ নাক-মুখে লাগার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। তাই প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন।
* হৃদ্‌রোগীরা যেকোনো ধরনের শ্বাসকষ্ট, কাশি, জ্বর দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। নিয়মিত বাড়িতে রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা মাপবেন। চিকিৎসকের সঙ্গে মুঠোফোনে বা অনলাইনে যোগাযোগ রাখবেন।