ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য কিছু পরামর্শ

প্রবীণ কিংবা যাঁরা হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তাঁদের মতো ফ্যাটি লিভারের রোগীরাও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ফ্যাটি লিভার একটি বিপাকজনিত সমস্যা। স্থূল মানুষদেরই এ সমস্যা বেশি হয়। এতে যকৃতের সমস্যা ছাড়াও ইনসুলিন রেজিসট্যান্স, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ে। কাজেই এই রোগীদেরও সতর্ক থাকতে হবে।

• অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার যেমন কোমল পানীয়, চকলেট, ক্যান্ডি, কৃত্রিম জুস, ফ্রুকটোজ সিরাপ দিয়ে তৈরি মিষ্টান্ন ইত্যাদি পরিহার করুন। এসব খাবারে থাকা বাড়তি চিনি শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডে রূপান্তরিত হয় এবং যকৃতে জমা হয়।

• সম্পৃক্ত চর্বি একেবারেই কম খাবেন। গরু-খাসির মাংস, ঘি, মাখন দিয়ে তৈরি খাবার হলো সম্পৃক্ত চর্বি। এ ছাড়া ট্রান্সফ্যাটও ক্ষতিকর। বেকারির তৈরি কেক বিস্কুট, ফাস্ট ফুড ইত্যাদিতে আছে ট্রান্সফ্যাট আর সম্পৃক্ত চর্বি।

• পরিশোধিত শর্করার চেয়ে অপরিশোধিত জটিল শর্করা খান। যেমন সাদা চিনি, সাদা ব্রেড, সাদা আটা বা ময়দা আর চিকন চালের পরিবর্তে লাল আটা, লাল ব্রেড বা লাল চাল ভালো। আঁশযুক্ত খাবার খান।

• খাবারে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবারে লবণ বেশি থাকে।

• সবুজ শাকসবজি খাবেন। ফলমূল খাবেন। খাদ্যতালিকায় সপ্তাহে দুদিন মাছ রাখুন। ওমেগা-৩ ফ্যাট আছে এমন মাছ হলো রুপচাঁদা, টুনা, স্যামন, ইলিশ ইত্যাদি।

>

সবুজ শাকসবজি খাবেন
ফলমূল খাবেন
খাদ্যতালিকায় সপ্তাহে দুদিন মাছ রাখুন

•  লো ফ্যাট দুধ, দই, দুগ্ধজাত খাবার খান। আখরোট, চীনাবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদিতে ওমেগা-৩ আছে। ব্ল্যাক কফি ও গ্রিন টি যকৃতের জন্য উপকারী। তবে ধূমপান আর অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে।

•  ওজন কমান। মাত্র ৫ শতাংশ ওজন কমলেই যকৃতের চর্বি অনেকটাই কমে যায়। আর ৭ থেকে ১০ শতাংশ ওজন কমাতে পারলে যকৃতের কোষগুলোর প্রদাহ কমানো সম্ভব। তবে দ্রুত ওজন কমানো আর কঠিন ডায়েট করলে তা উল্টো যকৃতের জন্য ক্ষতিকর। এটা প্রমাণিত যে দ্রুত ওজন কমাতে গেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ে। সুষম খাবার খেতে হবে।

•  ডায়াবেটিস, উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড ও রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করুন।