ভালো থাকুক জুনিয়র।। পর্ব-০২

করোনাকালে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে জুনিয়র হরলিকস ও প্রথম আলোর বিশেষ অনুষ্ঠান ‘ভালো থাকুক জুনিয়র’। দ্বিতীয় পর্বে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন ও শিশুর সুরক্ষা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শ্রাবণ্য তৌহিদা। তিনি একজন উপস্থাপক, মডেল, অভিনেত্রী এবং সর্বোপরি একজন মা।

করোনার এই সময়ে শিশুর ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে মায়েরা একটু বেশি চিন্তিত। তাই শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় নিয়ে শ্রাবণ্য তৌহিদা বলেছেন, পরিবারের সবার জন্য যে রকম পুষ্টিকর খাবার রান্না হয়, সেসব খাবারই তিনি বাচ্চাকে খাওয়ানোর অভ্যাস করাচ্ছেন। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং দেশীয় ফল রাখছেন খাবারের তালিকায়। এ ছাড়া বাচ্চাকে বিশেষভাবে দুধ, ডিম ও দুধের তৈরি খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। এতে শরীরের জন্য দরকারি সব ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করা যায়।

সন্তানের সঠিক যত্ন এবং তাকে কর্মক্ষম রাখার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে শ্রাবণ্য তৌহিদা বলেছেন, ‘শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেমন পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন, তেমনি শিশুর মন ভালো রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা বাসার সবাই সময় করে বাচ্চার সঙ্গে খেলা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাচ্চার পছন্দের খেলা যেমন: ছোঁয়াছুঁয়ি, লুকোচুরি খেলাগুলো খেলি বা তার পছন্দের কোনো ছড়াগান ছেড়ে দিয়ে আমরা একসঙ্গে নাচি। এতে শিশু মানসিকভাবে অনেক আনন্দে থাকে। তার শারীরিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মা হিসেবে আমারও কিছু ভালো সময় কাটে আমার বাচ্চার সঙ্গে।’

শ্রাবণ্য তৌহিদা করোনার এই সময়ে রাত জাগার ব্যাপারে সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা বড়রা হয়তো অকারণে রাত জাগছি এবং এই বদভ্যাসটা বাচ্চারও যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটি বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে তার সঠিক ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই নিয়ম করে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই বাচ্চাকে ঘুমাতে নিয়ে যাওয়া উচিত।

এ ছাড়া শ্রাবণ্য সতর্ক করে বলেন, বাচ্চারা যেহেতু এখন ঘরে বেশি সময় কাটাচ্ছে, তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন স্ক্রিনে, যেমন: টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ বা ট্যাবে বেশি সময় না কাটায়।

আবার বাচ্চার খাওয়ার ব্যাপারেও শ্রাবণ্য পরামর্শ দিয়ে বলেন, বাচ্চা না খেতে চাইলে কখনোই তাকে জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়। খেলা করতে করতে বাচ্চা যতটুকু খায়, এভাবেই বারবার আনন্দের সঙ্গে বাচ্চাকে খাওয়ানো উচিত। একবারে বেশি না খাইয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়ানো উচিত।

শ্রাবণ্য তৌহিদা মায়েদের উদ্দেশে বলেন, এ রকম কিছু সাধারণ নিয়মিত ব্যাপারের মাধ্যমেই বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। মায়েরা নিজেরা সুস্থ থাকুন, বাচ্চাকেও সুস্থ এবং ভালো রাখুন।