পরনের কাপড়ে করোনার ঝুঁকি

জামাকাপড়, লন্ড্রি, চাদর ইত্যাদি নিত্যব্যবহার্য কাপড়চোপড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায় কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফেব্রিকস বা সুতা, অর্থাৎ কাপড়চোপড়ের মাধ্যমে সেভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কাজেই ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে জামাকাপড়ের ব্যাপারে কিছু বিষয় মেনে চলতে পারেন—

১. আপনি যদি সার্বক্ষণিক বাসায় থাকেন এবং বাসায় করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী না থাকে, তাহলে আপনি স্বাভাবিক অবস্থার মতোই নিয়মিত জামাকাপড় পরিষ্কার করতে পারেন।

২. আপনার যদি নিত্যপ্রয়োজনে বাসার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন এবং অন্যদের থেকে ন্যূনতম ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। বাইরে থেকে বাসায় ফিরেই পরনের জামাকাপড় সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালোভাবে পরিষ্কারের পর কাপড় কড়া রোদে শুকাতে দিন।

৩. আপনার বাসায় করোনায় সংক্রমিত রোগী থাকলে তাঁর জামাকাপড় অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখুন। রোগীর কাপড়চোপড় নিয়মিত ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট মেশানো গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া বাসার বাইরে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বাসায় ফিরেই পরনের কাপড় আলাদাভাবে সাবধানতার সঙ্গে পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে দিন। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির জামাকাপড়, তোয়ালে, চাদর ইত্যাদি ধরতে হলে আগে হাতে গ্লাভস পরুন। কাজ শেষে অবশ্যই সাবান-পানি দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। হাত ধোয়ার আগে কিছুতেই নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ করবেন না। করোনা রোগীর কাপড় বাতাসে ঝাড়াঝাড়ি না করাই ভালো।

৪. লন্ড্রিতে কাপড় দেওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে ধোপা কাপড়চোপড় ঘাঁটাঘাঁটির সময় সাবধানতা অবলম্বন করছেন কি না, মুখে মাস্ক পরছেন কি না।

ডা. হিমেল ঘোষ, চিকিৎসা কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডুমুরিয়া, খুলনা