ফ্রিজের বাজার থেকে

ঈদ উপলক্ষে ফ্রিজের চাহিদা বাড়ে প্রতিবছর। ছবি: খালেদ সরকার
ঈদ উপলক্ষে ফ্রিজের চাহিদা বাড়ে প্রতিবছর। ছবি: খালেদ সরকার

ঈদুল আজহার সময় রেফ্রিজারেটর ও ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারের বাজার থাকে চাঙা। কারণ, কোরবানির মাংস সংরক্ষণে ফ্রিজ বেশ কাজে লাগে। এই সময় ফ্রিজ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন সুবিধা ও মূল্যছাড়ের ঘোষণা দেয়। বাজার ঘুরে নানা রকম ফ্রিজের খোঁজখবর দেওয়া হলো এ প্রতিবেদনে।

কনকা: বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশের গ্রাহক ও ক্রেতার কাছে পৌঁছেছে কনকা। ইলেকট্রোমার্ট লিমিটেডের হাত ধরে কনকা ফ্রিজ বাংলাদেশে তার বিপণন কার্যক্রম শুরু করে। কনকার এখন রয়েছে ৫০টির বেশি মডেলের ফ্রিজ। টপ মাউন্ট, বটম মাউন্ট, ডিপ ফ্রিজার, ডিসপ্লে চিলার, আইসক্রিম ফ্রিজার, আপরাইট ফ্রিজার, মিনি রেফ্রিজারেটর, সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর রয়েছে কনকার। দাম ১৪ হাজার ৭০০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। কনকা রেফ্রিজারেটরের রয়েছে সবজি রাখার বড় বক্স।

কনকা রেফ্রিজারেটরে আছে অ্যাকটিভ কার্বন ডিউডোরাইসার যন্ত্র। ফলে খাবার দীর্ঘদিন থাকে টাটকা ও দুর্গন্ধমুক্ত। এটি ৭১ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় করে।

ইলেকট্রোমার্ট লিমিটেডের পরিচালক মো. নুরুল আফছার বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত কনকা ফ্রিজারে প্রথমবারের মতো সংযোজিত হয়েছে বিশেষ ডুয়াল অপারেশন মোড। এর ডিজিটাল কন্ট্রোল মিটারের মাধ্যমে ক্রেতা ফ্রিজারটিকে রেফ্রিজারেটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন, আবার প্রয়োজনে ফ্রিজার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। কনকা ফ্রিজারেও ৭১ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ কমানো সম্ভব।

স্যামসাং: রেফ্রিজারেটর কেনার ক্ষেত্রে স্যামসাং দিচ্ছে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ফেরতের (ক্যাশব্যাক) সুবিধা। আর এ ক্ষেত্রে ক্রেতারা রেফ্রিজারেটর কেনায় ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ সুবিধা পাবেন। প্রতিষ্ঠানটি সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটরের সঙ্গে মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। স্যামসাংয়ের ২৪৫ লিটারের দাম ৪২ হাজার ৯০০ টাকা। ২৭৫ লিটার ফ্রিজের দাম ৪৫ হাজার ৯০০ টাকা। ৩২১ লিটারের দাম ৫৫ হাজার ৯০০ টাকা। ৩৪৫ লিটারের দাম ৫০ হাজার ৯৫২ টাকা। ৫৫১ লিটারের ফ্রিজের দাম ৯৬ হাজার ৬০০ টাকা। ৫৯১ লিটারের দাম ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯০০ টাকা।

ওয়ার্লপুল: ওয়ার্লপুরের ফ্রিজে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের পাশাপাশি প্রতিটি ফ্রিজে থাকছে উপহার। এ ছাড়া ২৪টি ব্যাংকে শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ১২ মাসের কিস্তিতেও ওয়ার্লপুলের ফ্রিজ কেনা যাবে। ২৬৫ লিটারের ওয়ার্লপুলের ফ্রিজের দাম ৫০ হাজার ৯০০ টাকা। ৩৬০ লিটারের দাম ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা। ৪৪০ লিটারের দাম ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৫০০ লিটারের দাম ৯৫ হাজার ৯০০ টাকা। ৬০৩ লিটারের দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৯০০ টাকা।

ট্রান্সটেক: ঈদ উপলক্ষে ট্রান্সটেক ব্র্যান্ডের ফ্রিজ ২৪টি ব্যাংকে শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ১২ মাসের কিস্তিতে পাওয়া যাবে। ট্রান্সটেকের ১৯৬ লিটারের দাম ৩০ হাজার ৫০০ টাকা। ২৩০ লিটার দাম ২৯ হাজার টাকা। ২৩০ লিটারের আরেকটি মডেলের দাম ৩৪ হাজার টাকা। ২৩৯ লিটারের দাম ৩৭ হাজার টাকা। ২৯০ লিটারের দাম ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা।

ওয়ালটন: ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের বৈশিষ্ট্য হলো আকর্ষণীয় ডিজাইন, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, ন্যানো হেলথকেয়ার ও অ্যান্টি–ফাঙ্গাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির ব্যবহার, যা ফ্রিজের ব্যাকটেরিয়া, ধুলাবালুর প্রবেশ রোধ ও খাবার সতেজ ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখে। তাদের ফ্রিজে রয়েছে অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তি। বর্তমানে বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম ১০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে।

ঈদে ওয়ালটনের ডিজিটাল প্রচারণা চলছে। ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য মিলিয়নিয়ার ও লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার রয়েছে।

সিঙ্গার: ঈদুল আজহা সামনে রেখে সিঙ্গার বাংলাদেশ তাদের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারে দিচ্ছে ৮ শতাংশ ছাড়। ফ্রিজার কেনা যাবে ন্যূনতম ১৫ হাজার ৩৪৩ টাকায়। এক্সচেঞ্জ সুবিধায় সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটরে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় রয়েছে।

হিটাচি: হিটাচি ২৪টি ব্যাংকে শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ১২ মাসের কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার সুবিধা দিচ্ছে। হিটাচির ২২৩ লিটারের ফ্রিজের দাম ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। ৩৬৬ লিটারের দাম ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা। ৩৭৫ লিটারের দাম ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা। ৪০৩ লিটারের দাম ৮২ হাজার ৯০০ টাকা। ৪৪৩ লিটারের দাম ৮৯ হাজার ৯০০ টাকা। ৫০০ লিটারের দাম ৯৫ হাজার ৯০০ টাকা। ৫৮৪ লিটারে দাম ২ লাখ ৯ হাজার টাকা।

শার্প: শার্পের ২৪১ লিটারের ফ্রিজের দাম ৪৪ হাজার টাকা। ২৪৭ লিটারের দাম ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা। ৩১৬ লিটারের দাম ৪৮ হাজার টাকা। ৩৬৪ লিটারের দাম ৭০ হাজার ৭০০ টাকা। ৪২৮ লিটারের দাম ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা। ৫৪০ লিটারের দাম ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। ৬৪৬ লিটারের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭২ টাকা।

এলজি: এলজির ৩০৮ লিটার ফ্রিজের দাম ৫৬ হাজার ৫৯৫ টাকা। ৩৩৫ লিটারের দাম ৬৮ হাজার ২৬০ টাকা। ৩৮৪ লিটারের দাম ৫১ হাজার ৩৫০ টাকা। ৪৩১ লিটারের দাম ৮৮ হাজার ৭১৫ টাকা। ৬৬৮ লিটারের দাম ২ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৫ টাকা। ৬৭৫ লিটারের দাম ২ লাখ ১৪ হাজার ৬২৫ টাকা।

মিনিস্টার: মিনিস্টারের রয়েছে বিভিন্ন দামের বিভিন্ন ধরনের ফ্রিজ। ঈদে বিশেষ মূল্যছাড়ে প্রায় অর্ধেক দামে ফ্রিজ দিচ্ছে মিনিস্টার। ১৫ হাজার ৯০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে মিনিস্টারের ফ্রিজ। মিনিস্টার ফ্রিজের কম্প্রেসারে দিচ্ছে ১২ বছরের গ্যারান্টি।

ইকো: ১৯৫ লিটারের ইকো ফ্রিজের দাম ২৮ হাজার ২১৫ টাকা। ২১৭ লিটারের দাম ৩৪ হাজার ১৭০ টাকা। ২১৮ লিটারের দাম ২৯ হাজার ৮৯৫ টাকা। ২৫২ লিটারের দাম ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। ২৩৫ লিটারের দাম ৩১ হাজার ৯৯০ টাকা।

সনি-র‌্যাংগ্‌স: ঈদে উপলক্ষে সনি-র‌্যাংগ্‌স ব্র্যান্ডের ৫০টি মডেলের ফ্রিজ তাদের শোরুমগুলোতে বিক্রি করছে। এই ঈদে যেকোনো মডেলের ফ্রিজ ক্রয়ে ক্রেতারা পাবেন বিশেষ মূল্যছাড়।

আরএফএল ইলেকট্রনিকস: আরএফএলের ভিশন ও ভিগো ব্র্যান্ডের বেশ কিছু মডেলের রেফ্রিজারেটর পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। ৫০ লিটার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫৫৬ লিটারের ফ্রিজ রয়েছে ভিশন ও ভিগো ব্র্যান্ডে। দাম শুরু ১০ হাজার টাকা থেকে।