চুরির পসরা সাজিয়ে ক্লাইভদের জাদুঘর

টিপু সুলতানের সিংহাসন থেকে আলাদা করা অলংকৃত বাঘের মাথা, ক্লাইভ মিউজিয়াম, পুউইস ক্যাসল, ওয়েলসপুল। ছবি: লেখক।
টিপু সুলতানের সিংহাসন থেকে আলাদা করা অলংকৃত বাঘের মাথা, ক্লাইভ মিউজিয়াম, পুউইস ক্যাসল, ওয়েলসপুল। ছবি: লেখক।

রবার্ট ক্লাইভের কবর দেখতে গিয়ে বিলেতি কুকুরের তাড়া খেয়েছি। তাতে সাহস বেড়ে গেছে! আমার মতো একজন বাঙালির কুদৃষ্টি থেকে ক্লাইভের মৃতদেহ বাঁচাতে চার্চের ভল্টে তালা আর ভিকারের বাড়িতে অ্যালসেশিয়ান কুকুরের প্রয়োজন হয়েছে, তা চিন্তা করে নিজের মনেই নিজের সম্বন্ধে বিরাট বড় ধারণা জন্মে গেছে।

এরপর চললাম ক্লাইভদের লুট করা সম্পত্তি দেখতে। গন্তব্য স্থান পুউইস ক্যাসল। এটা ওয়েলস রাজ্যের ওয়েলসপুল শহরের পাশে অবস্থিত। বার্মিংহাম শহর থেকে ৭০ মাইল দূরে, পাহাড়ি পথ। সমতলে বাস করা বাঙালির পাহাড় দেখার শিহরণ, উঁচু–নিচু উপত্যকার সৌন্দর্য দেখতে দেখতে, বউয়ের চালানো ফোর্ড ফিয়েস্তা গাড়িতে তিন ঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম পুউইস ক্যাসলে। পাহাড়ি পথে ঘুরে ঘুরে উঠতে ছোট্ট একটা পাহাড়ের ওপর বানানো ক্যাসেলের মূল গেটে পৌঁছাতে সময় লাগল আরও আধা ঘণ্টা। লাল পাথরের তৈরি ক্যাসলটা ১২৮৩ সালে জনৈক গ্রাফিড আপ গুয়েনউইনউইন নামের এক ওয়েলস রাজপুত্র তৈরি করেন।

পুউইস ক্যাসল, ক্লাইভ মিউজিয়ামের সামনে লেখক মোহম্মদ ইদ্রিস, পাশে টিপু সুলতানের কামান। ছবি: সংগৃহীত
পুউইস ক্যাসল, ক্লাইভ মিউজিয়ামের সামনে লেখক মোহম্মদ ইদ্রিস, পাশে টিপু সুলতানের কামান। ছবি: সংগৃহীত

দুনিয়ার সব দেশেই চোর চুরি করা সম্পদ লুকিয়ে রাখে। কিন্তু ব্রিটিশরা তা দিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করে। আমাদের কোহিনূর হীরা ইংল্যান্ডের রানি গর্বের সঙ্গে তাঁর মুকুটের মধ্যমণি করেছিলেন। অবশ্য বর্তমানে সেটা লন্ডন টাওয়ার মিউজিয়ামে রক্ষিত। এটা দেখতে পঁচিশ পাউন্ড অথবা বাংলাদেশি ২ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হয়। গ্রিস থেকে লুট করা ঐতিহাসিক শ্বেতপাথরের মূর্তিগুলোর নামকরণ করা হয়েছে চোরের নাম অনুসারে। ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হয় এগুলো।

১৭৯৯ সালে শ্রীরঙ্গপট্টমের যুদ্ধে টিপু সুলতানের পরাজয়ের সময় মাদ্রাজের গভর্নর ছিলেন রবার্ট ক্লাইভের ছেলে এডওয়ার্ড। যেমন বাপ, তেমনি ছেলে। তিনি লুট করলেন মহীশুর।

পিতা রবার্ট এবং পুত্র এডওয়ার্ড ক্লাইভ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বেতনভুক কর্মচারী ছিলেন। তবু তাঁদের লুট করা সম্পদের কিছুই কোম্পানি অথবা ব্রিটিশের সরকারের কোষাগারে জমা হয়নি। এগুলো তাঁরা ব্যক্তিগত বিজয়ের শিরোপা বলেই ধরে নিয়েছিলেন। উসাইন বোল্ট যেমন অলিম্পিক গোল্ড মেডেলগুলো আলমারিতে তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখেন, বাপ–বেটা ক্লাইভও তেমনি বাংলা ও মহীশুরের লুট করা সম্পদ পুউইস ক্যাসেলে জমা রাখতেন।

সুপারি কাটার জাঁতি, ক্লাইভ মিউজিয়াম, পুউইস ক্যাসল, ওয়েলসপুল। ছবি: লেখক
সুপারি কাটার জাঁতি, ক্লাইভ মিউজিয়াম, পুউইস ক্যাসল, ওয়েলসপুল। ছবি: লেখক

এডওয়ার্ড ক্লাইভ ভালো বংশে বিয়ে করে জাতে উঠতে চেয়েছিলেন। পুউইস ক্যাসল মালিকদের তখন দুর্দিন। ঘরবাড়ি মেরামতের পয়সা নেই। দুই পক্ষের স্বার্থ মিলে গেল। ১৭৮৪ সালে এডওয়ার্ড ক্লাইভ ও লর্ড পুউইসের মেয়ে হেনরিয়েটা হারবার্টের বিয়ে হলো এবং অনেকটা যৌতুক হিসেবেই ক্লাইভ পরিবার পুউইস ক্যাসলের মালিক হয়ে গেলেন। তাতেও শেষ রক্ষা হলো না। রক্ষণাবেক্ষণে অসমর্থ হয়ে ক্লাইভ পরিবার ও অবশেষে ‘ইংলিশ হেরিটেজ’ নামের এক আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুউইস ক্যাসল দান করে দিলেন। তাঁরাই সরকারি অনুদান এবং বেসরকারি চাঁদার টাকায় এটা রক্ষণাবেক্ষণ করে। ক্লাইভদের লুট করা সম্পদ টিকিট করা লোকদের দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করে।

আমার পিতৃপুরুষদের সম্পদ টাকা খরচ করে টিকিট কিনে দেখার জন্য আমি হাজির হলাম সেই পুউইস ক্যাসেলের গেটের সামনে। প্রকৃতির এ এক অপার লীলা! প্রতি টিকিটের মূল্য ১৪ দশমিক ২০ পাউন্ড স্টার্লিং। দুটি টিকিট কিনে বউকে সঙ্গে নিয়ে ঢুকলাম ক্যাসলের সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে।

ভারতীয় নবাবের হুক্কা, ক্লাইভ মিউজিয়াম, পুউইস ক্যাসল, ওয়েলসপুল। ছবি: লেখক
ভারতীয় নবাবের হুক্কা, ক্লাইভ মিউজিয়াম, পুউইস ক্যাসল, ওয়েলসপুল। ছবি: লেখক

প্রথমেই চোখ পড়ল মূল ক্যাসলের গেটের সামনে সুদর্শন দুটি কামানের ওপরে। টিপু সুলতানের কামান, এডওয়ার্ড ক্লাইভের লুট করা। কামানের গায়ে খোদিত চমকপ্রদ কাজ দেখে যুদ্ধক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা সম্বন্ধে আমার সন্দেহ লাগল। কামানের সৌন্দর্য দেখিয়ে নিরীহ প্রজার ওপর রাজত্ব করা চলে। কিন্তু শক্ত শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না—এ কথা আলীবর্দী খানের পৌত্র বাংলার সিরাজ যেমন জানতেন না, মহীশুরের হায়দার আলী খানের পুত্র টিপুও জানতেন না। পাকিস্তানের আর্মি জেনারেলরা যেমন দেশে মার্শাল ল জারি করে রাস্তায় ট্যাংক নামিয়েও পরে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সৈন্যের যৌথ বাহিনীর কাছে কাতারে কাতারে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, ব্যাপারটা তেমন আরকি।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অল্পসংখ্যক সৈন্যের সঙ্গে যুদ্ধে একের পর এক ভারতীয় রাজাদের লজ্জাজনক পরাজয়ের কাহিনি বিশ্লেষণ আরেক দিন করা যাবে। আমি চললাম ক্লাইভদের লুট করা আমার পিতৃপুরুষদের সম্পদ দেখতে।

ক্যাসলের বাইরের ঘর বা আউট হাউসকে বানানো হয়েছে ক্লাইভ মিউজিয়াম। ভেতরে গিয়ে একটু আশ্চর্যই হলাম। যতটা জৌলুশপূর্ণ হবে বলে মনে করেছিলাম, ততটা নয়। তেমন নামীদামি কিছু নেই। গাইডের কাছ থেকে শুনলাম, দামি দামি হীরা জহরতগুলো নাকি ক্যাসলের শক্ত ভল্টে আটকানো থাকে, সাধারণ মানুষকে তা দেখতে দেওয়া হয় না। আর কিছু দামি জিনিস রবার্ট ক্লাইভ পার্লামেন্টে তাঁর বিচারের সময় প্রভাবশালী পার্লামেন্টারিয়ানদের ঘুষ হিসেবে দিয়েছিলেন। ওগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে, বাইরের লোক তা দেখতে পারে না।

পানের ডাবর, ক্লাইভ মিউজিয়াম, পুউইস ক্যাসল, ওয়েলসপুল। ছবি: লেখক
পানের ডাবর, ক্লাইভ মিউজিয়াম, পুউইস ক্যাসল, ওয়েলসপুল। ছবি: লেখক

মনঃক্ষুণ্ন হলাম। কিচ্ছু করার নেই, যা আছে তাই দেখলাম। দেখলাম টিপু সুলতানের সুদর্শন বন্দুক ও চমকপ্রদ তলোয়ার, এমব্রয়ডারি করা তাঁবু। দেখলাম অলংকৃত বাঘের মাথা। কাজ করা হাতির দাঁত। হাতে বোনা কার্পেট। চন্দন কাঠ খোদাই করা টেবিল। আরও দেখলাম মুর্শিদাবাদের রঙিন সিল্কে জড়ানো টিপুর সিংহাসন। দেখলাম পলাশি যুদ্ধ শেষে ক্লাইভের কাছে মীরজাফরের আত্মসমর্পণের কল্পিত দৃশ্যের তেলচিত্র। পেছনে ব্রিটিশের জাতীয় পতাকা, উন্মুক্ত দুই বাহু প্রসারিত করে, সোজা হয়ে দাঁড়ানো ক্লাইভের সামনে কোমর বাঁকিয়ে মাথা নিচু করে কুর্নিশ করছেন মীরজাফর আলী খান।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ শুরু হওয়ার সময়ের এই কল্পিত অথচ বহুল প্রচারিত ছবিখানা আমি আগেও দেখেছি এবং লজ্জা পেয়েছি। এখানে দেখলাম একগাদা ইংরেজ নারী-পুরুষ দাঁড়িয়ে হাঁ করে দেখছে ছবিখানা। দেখেও না দেখার ভান করে, অন্যদিক চোখ ঘুরিয়ে হন হন করে হেঁটে পার হয়ে গেলাম অবমাননাকর এই চিত্রখানা।

‘তাম্বুল-রস-বিলাসী বাঙালি’ এটা ভেবেই আমি থেমে গেলাম একটা বড় আলমারির সামনে। অবাক হয়ে দেখলাম, তার মধ্যে রক্ষিত বাঙালির প্রাণপ্রিয় সম্পদ। গরিবের বিলাসিতা, মধ্যবিত্তের রুচি আর উচ্চবিত্তের শানশওকতের পরিমাপক, জলসাঘরের মধ্যমণি একটি রাজকীয় হুক্কা এবং পানদানি পরিবেশনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে সংরক্ষিত হচ্ছে এই জাদুঘরে। এখানকার পানদানি বা ডাবরটি সোনা, রুপা, তামামিশ্রিত পুরো গায়ে কাজ করা সংকর ধাতুর তৈরি। ডাবরের সঙ্গে এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে বাঙালি গৃহকর্তার সম্পদ আর ঐতিহ্যের অত্যাবশ্যকীয় প্রতীক পানের বাটা আর গায়ে আকাশি ও ফিরোজা রঙের পাথর বসানো সুপারি কাটার একখানা জাঁতি।

এসব দেখে আইপ্যাড দিয়ে ছবি তোলা শুরু করলাম। একটু পরেই টের পেলাম, বিপদ ডেকে এনেছি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তাকর্মী আমাকে বললেন, ‘ছবি তোলা নিষেধ’। আমি তাঁর কথায় কান না দিয়ে ছবি তুলতেই থাকলাম। আরও দুজন নিরাপত্তাকর্মী এসে যোগ দিলেন প্রথমজনের সঙ্গে। আমরা দুজন, ওরা তিনজন! দ্বিতীয় পলাশীর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল।

একজন পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে এলেন আমার হাত থেকে আইপ্যাড ছিনিয়ে নিতে। আমি তাঁকে চড়া গলায় বললাম, স্টপ। একটু থতমত খেয়ে গেলেন বেচারা। শুরু করলাম, ‘আড়াই শত বছর আগে তোমার পূর্বপুরুষেরা যত সহজে আমার পূর্বপুরুষের সম্পদ লুট করেছে, আমি তত সহজে তোমাকে আমার আইপ্যাডটা নিতে দেব না।’ কথা হচ্ছিল ইংরেজিতেই। তবে সে বুঝুক আর না বুঝুক, এবার আমি শুদ্ধ বাংলা ভাষায় বললাম, ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচ্যগ্র মেদিনী।’

নিরীহদর্শন একজন বাঙালির কাছ থেকে এমন প্রতিবাদ নিরাপত্তাকর্মী আশা করেননি। একটু ভেবাচেকা খেয়ে গেলেন। আমার ছবি তোলা ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে। আইপ্যাডটা ব্যাগের ভেতরে ভরে, নিরাপত্তাকর্মীর মুখোমুখি দাঁড়ালাম। তাঁর চোখে চোখ রেখে বললাম, ‘তোমাদের এই মিউজিয়ামে যত কিছু সংরক্ষিত আছে, তার সবকিছু আমার দেশ থেকে চুরি করা। চোরের মায়ের উঁচু গলা থাকতে নাই। আমি তোমাদের চুরির মাল দেখতে আসি নাই, আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তি ফেরত নিতে এসেছি।’

নিরাপত্তাকর্মী বললেন, ‘এগুলো সব ক্লাইভ পরিবারের নিজস্ব সম্পদ।’

আমি বললাম, ‘যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পরাজিত শত্রুর অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার নিয়ম আমি মানতে পারি। কিন্তু পরাজিত রাজার দেশের সাধারণ মানুষের বাড়ি থেকে পানের বাটা চুরি করার কোনো নিয়ম নাই। কামান বন্দুক, ঢাল–তলোয়ার তোমরা রেখে দিতে পার, তাতে আমার আপত্তি নাই। কিন্তু সুপারি কাটার জাঁতিখানা আমাকে ফেরত দিতেই হবে।’

নিরাপত্তাকর্মী ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকালেন, আমি বুঝলাম পানের ডাবর আর সুপারি কাটার জাঁতি কী, তা তিনি কিছুতেই বুঝতে পারেননি। তাঁর সাময়িক অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ সম্বন্ধে একটা ছোটখাটো লেকচার দিয়ে ফেললাম।

নিরাপত্তাকর্মীর মুখ দেখে বুঝলাম, তিনি আমার কথায় খুশি হতে পারেননি। ইতিমধ্যে আরও চার–পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মী এসে আগের জনের পক্ষে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের একজন অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় আমাকে বললেন, ‘তুমি এই মুহূর্তে মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে যাও, তা না হলে আমরা তোমাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেব।’

পুলিশের হাতে ধরা পড়া দু–একজন কালো মানুষের পরিণতি সম্বন্ধে আমার সম্যক জ্ঞান ছিল। আমি কথা না বাড়িয়ে দরজার দিকে রওনা দিলাম। তা ছাড়া ইংরেজি ‘ইউ’ শব্দটি নিরাপত্তাকর্মীটি তুমি না আপনি কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন, সেটা বোঝা খুব দুরূহ। তাই দ্বিতীয়বার অপমানিত হওয়ার চেয়ে মানে মানে কেটে পড়াই ভালো। তবু একবার পেছন ফিরে বাঙালির চূড়ান্ত হুমকিটা দিতে ভুললাম না, ‘তোমাদের বিরুদ্ধে কোর্টে কেস করব।’

মূল গেট দিয়ে বাইরে এলাম। দেখলাম এক ইংরেজ ভদ্রমহিলার কুকুর তাঁর হাত থেকে ছুটে দৌড়ে চলেছে, মহিলা পেছন থেকে ডাকছেন, ‘টমি ফিরে আয়, টমি ফিরে আয়।’ টমি ফিরল না। সোজা চলে গেল ক্যাসলের দেয়ালের পাশে। একটু দাঁড়াল, কী ভাবল জানি না। পেছনের বাঁ পা–টা উঁচু করল। আর বাংলাদেশের দশটা কুকুর রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের গায়ে যা করে, এই ইংরেজ কুকুরটাও তাই করল, দেয়াল ভিজিয়ে দিল।
আমি বুঝলাম, দ্বিতীয় পলাশীর যুদ্ধ নয়, একটা বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে। টমিকে ধন্যবাদ।

লেখক: ডিরেক্টর, এশিয়ান রিসোর্স সেন্টার, বার্মিংহাম, ইংল্যান্ড।