গরমমসলার খোঁজ

মসলা খাবারের স্বাদ বাড়ায়। ছবি: নকশা
মসলা খাবারের স্বাদ বাড়ায়। ছবি: নকশা

এবার ঈদের প্রস্তুতি একটু ভিন্নভাবেই নিচ্ছে মানুষ। তবে পরিস্থিতি যা–ই হোক না কেন, ঈদের দিন রান্নাবান্না তো হবেই। ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয় টেবিলে থাকা নানা পদের খাবার। ঈদের সময় সাধারণত মাংসের পদই যেহেতু বেশি থাকে, তাই গরমমসলার ব্যবহার হবেই। ঈদের আগে মসলার বাজার জমে উঠছে ধীরে ধীরে। বাজার ঘুরে দেখা গেল, অন্যবারের তুলনায় এবার গরমমসলার দাম কিছুটা কম। একদিকে ক্রেতার সংকট, অন্যদিকে পণ্যের সরবারহও কম। রাজধানীর বিভিন্ন মসলার বাজার ঘুরে দেখা দরদাম তুলে ধরা হলো।

দরদাম

রামপুরার তালুকদার স্টোরের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার জানান, সারা বছরই গরমমসলা বিক্রি হয়। তবে কোরবানির ঈদের সময় বিক্রি বেড়ে যায় বহুগুণ। করোনার কারণে এবার বিক্রি ও দাম কিছুটা কম। বাজারে প্রতি কেজি জিরা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এলাচি ১০০ গ্রাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। লবঙ্গ ৫০০ গ্রাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। দারুচিনির কেজি ৩০০ থেকে ৪২০ টাকা। কাজুবাদাম কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আলুবোখারা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাঠবাদাম ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি গোলমরিচ (কালো) ৯৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, গোলমরিচ (সাদা) ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জয়ত্রী ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা। ধনে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

আদা ১৬০ টাকা ২২০ টাকা। গুঁড়া হলুদ ৪২০ থেকে ৫০০ টাকা। মরিচগুঁড়া ৪২০ থেকে ৫০০ টাকা। তেজপাতা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। মেথি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। শর্ষে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। জয়ফল ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। পাঁচফোড়ন প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মান ও বাজারের ওপর নির্ভর করে গরমমসলার দামের।

কোথায় পাবেন

রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলার হাটবাজারে গরমমসলা পাওয়া যায়। এ ছাড়া গরমমসলার পাইকারি বাজারের জন্য রাজধানীর চকবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বিখ্যাত। এ ছাড়া ঢাকার কারওয়ান বাজার, লালবাগ, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুরে গরমমসলা পাওয়া যায়।

অনলাইনেও পাওয়া যায়

বর্তমানে গরমমসলা অনলাইনেও কেনার সুযোগ রয়েছে। সুপারশপগুলোতে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের পেস্টও পাবেন। বিভিন্ন কোম্পানি বাজারজাত করছে মেশানো মসলা। কাবাব, মেজবানি বা কালা ভুনার মতো মেশানো মসলাও পাবেন অনলাইন বা সুপারশপগুলোতে।