করোনাকালেও সর্বোচ্চ নিরাপদ দ্য প্যালেস

মানুষ এক নতুন জগতে রয়েছে। করোনাভাইরাসের এই মহামারির কারণে অন্য রকম এক পৃথিবী দেখছে মানুষ। সকলে ‘নিউ নরমাল’ লাইফের সঙ্গে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। দ্য প্যালেস লাইফ এবং দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট মানিয়ে নিচ্ছেন নতুন ‘নিউ নরমাল’ লাইফের সঙ্গে।

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী পাহাড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কোভিড-১৯–এর মধ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় আপনার মন ও শরীরকে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিতে প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানটি। দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের সব নিয়মনীতি মেনেই নতুন ভাবে সাজিয়ে অপেক্ষা করছে আপনার আগমনের।

নতুন সাজে দ্য প্যালেস
সবুজে ঘেরা পাহাড়, গিরিখাদ, সরোবর, ঝরনা আর ৩০ হাজার গাছে ঢাকা ১৫০ একর জমির সাজানো এক বাগান দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট। আর চারদিকে চা, আনারস, রাবার আর লেবুর বাগান দেখে মনে হবে যেন পুরো সিলেট দেখা হয়ে গেল এক স্থান থেকেই। বিদেশি পাইন আর দেবদারুর সারিতে আপনাদের সব নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তুলতে প্রস্তুত দেশে সেরা এ রিসোর্টটি। দ্য প্যালেসে রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুর রহমান তুলে ধরেছেন করোনাকালেও কীভাবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তুলবে।

নিরাপত্তা সবার আগে
করোনাকালে বা এর পরে দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তাই সবার আগে দেখা হবে। হেলিকপ্টার এবং সড়কপথে আসতে পারেন দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে। তবে যেভাবেই আসুন না কেন, কারোনাকালে অতিথিকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দেওয়া হবে। অতিথি যে গাড়িতে আসবেন, সেই গাড়িটি রিসোর্টে প্রবেশের সময় স্যানিটাইজের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা হবে। যাতে কোনো জীবাণু গাড়িতে না থাকে। অতিথি যখন রিসোর্টে ভেতরে প্রবেশ করবেন, তখন তাঁর শরীরের তাপমাত্রা অটোমেটিকভাবে মাপা হবে এবং শরীরের তাপমাত্রা অনুকূলে থাকলেই রিসোর্টের মধ্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে অতিথির ব্যাগও পুরোপুরি স্যানিটাইজের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হবে। এর ফলে বাইরে থেকে কোনো মাধ্যমেই জীবাণু রিসোর্টে প্রবেশ করতে পারবে না। সবকিছু করার পরেই অতিথিরা হোটলের অভ্যর্থনা টেবিল সামনে যেতে পারবেন এবং অভ্যর্থনা টেবিল সামনে সামাজিক দূরত্ব মেনে অতিথিকে দাঁড়াতে হবে। অতিথির স্যানিটাইজ কলম দিয়ে নাম এন্ট্রি করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর ফলে কলমের মাধ্যমে কারও হাতের সঙ্গে জীবাণু লেগে না যায়, তারই ব্যবস্থা। সুন্দরভাবে অভ্যর্থনা অংশটি সম্পন্ন হলেই রুমের চাবি দেওয়া হবে। রুমে যাওয়ার সময় অতিথির সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসগুলো অটোমেটিক মেশিনের মাধ্যমে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করেছে রিসোর্ট।

দক্ষ কর্মী দল
দ্য প্যালেসে রয়েছে একদল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মী বাহিনী। যাঁরা সব সময় নিত্যব্যবহৃত উপকরণগুলো পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করতে থাকে। দুইভাবে এ উপকরণগুলো পরিষ্কার হয়। অতিথি যে রুম ব্যবহার করবেন, সেটা অটোমেটিক ইউভি স্যানিটাইজেশন ল্যাম্পের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়। এতে সব ধরনের ভাইরাস ও জীবাণু পরিষ্কার করা হয় অটোমেটিকভাবে প্রতিনিয়ত। এ ছাড়া দক্ষ কর্মীদের মাধ্যমে সারাক্ষণই ম্যানুয়্যালি পরিষ্কার করবে অতিথির থাকার জায়গাগুলো। রিসোর্টের রুমগুলোতে যত আসবাব ও ব্যবহার করার উপকরণগুলো রয়েছে, একইভাবে রুমগুলোও পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করা হয়।

প্রকৃতির মাঝে নিরাপত্তা
অতিথির জন্য দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে বুলেটপ্রুফ বাহন রয়েছে। যার মাধ্যমে অতিথি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে পারবেন নিমেষেই। এই বাহনগুলোও কর্মীরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে থাকেন। এর ফলে অতিথিরা পাখির ডাক আর রাতের বেলা ঝিঁঝি পোকার ডাকের মাঝে প্রাকৃতিক পরিবেশে শুনতে পাবেন শেয়ালের ঢাক। আর চোখে পড়বে খরগোশের দৌড়ঝাঁপ।

জীবাণুমুক্ত রেস্তোরাঁ
করোনার কারণে আমাদের রেস্টুরেন্টে নতুনভাবে বসার (সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট) ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার ফলে রেস্টুরেন্টে সামাজিক দূরত্ব নিয়ে কোনো চিন্তাই করতে হবে না অতিথিকে। দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে খেতে আসার সম্মানিত অতিথিদের কথা চিন্তা করে ব্যবস্থা করা হয়েছ সবকিছু। রেস্টুরেন্টে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রয়েছে এবং হাত স্যানিটাইজ করে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে হবে। আমাদের রেস্টুরেন্টে সবচেয়ে ভালো মানে খাবার অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য রয়েছে দক্ষ রন্ধনশিল্পী এবং অসাধারণ সৌন্দর্যের মাধ্যমে আপনাকে পরিবেশন করা হবে আপনার প্রিয় খাবারগুলো। রেস্টুরেন্টেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিশ্চিতে উপভোগ
দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টের ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত বাহনগুলো নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হয়। যারা ভ্রমণকারী বাহনগুলো ব্যবহার করে চিন্তুামুক্তভাবে ঘুরে দেখতে পারবে পুরো রিসোর্টটি। এ ছাড়া দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টের ভ্রমণকারীরা যা–ই ব্যবহার করবে, সেগুলোই সুন্দরভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে।

রিসোর্টের চারটি বড় সভাকক্ষ, ৪০০ জনের ব্যাংকুয়েট হল, ছোটদের খেলার জায়গা তিনটি, বিলিয়ার্ড, ফুটবল, বাস্কেটবল, টেনিস, রিমোট কন্ট্রোল কার রেসিং এবং সিনেপ্লেক্স—সব কটি জীবাণুমুক্ত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে অতিথির জন্য। যাতে আপনি নিশ্চিত মনে সবকিছু উপভোগ করতে পারবেন আপনার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে নিয়ে।

হেলথ সেন্টার
করোনাকালে এ সময় দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে ভ্রমণকারীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে হেলথ সেন্টার। অতিথির যেকোনো জরুরি শারীরিক সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে রিসোর্টের হেলথ সেন্টারটি। হেলথ সেন্টার রিসোর্টে নিজস্ব চিকিৎসকের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে দক্ষ স্বাস্থ্য সহকারী। যাঁরা অতিথিকে যেকোনো মুহূতেই সেবা দিতে প্রস্তুত। করোনাকালীন এই সময়ে দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে অতিথিদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রয়েছে।

হারিয়ে যেতে নেই মানা
এ করোনার সময় আপনার মন ও শারীরিক প্রশান্তির জন্য দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টটি আদর্শ স্থান—যেখানে আপনি থাকবেন সর্বোচ্চ সুরিক্ষত এবং নিরাপদ। প্রত্যেক ভ্রমণকারীকে নিশ্চিত করা হবে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা। প্যালেসে ছোটদের খেলার জায়গা, বিলিয়ার্ড, ফুটবল, বাস্কেটবল, টেনিস কোর্ট, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ক্রিকেট খেলার জায়গাতে রয়েছে অতিথির জন্য। একদিক থেকে জলধারা এসে পাহাড়ের গা বেয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে ইনফিনিটি পুলে। সিলেটের ঐতিহ্য সবুজ শণগাছে অতিথিকে গ্রামের কথা মনে করিয়ে দেবে। স্থাপত্যশৈলীর দেখা মেলে ঝুলন্ত সেতুতে, আর সিনেপ্লেক্সে নিজের জগতে হারিয়ে যেতে নেই মানা।

আপনার অপেক্ষায় প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট
বছরের পর বছর মানুষ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে এবং সেই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে গেছে। করোনাকালের এ সমস্যাও মানুষ দূর করে এগিয়ে যাবে আপন গতিতে। তবে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট প্রস্তুত। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একমুঠো শান্তির জন্য চলে আসুন অসাধারণ এ রিসোর্টে। আপনি কি প্রস্তুত দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে বেড়াতে আসতে? আমরা প্রস্তুত আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য।