আলো নিভে গেছে ফ্যাশন মঞ্চের

বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকের মঞ্চে মডেলরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই আয়োজনই ছিল দেশের সর্বশেষ বড় ফ্যাশন শো।  ছবি: খালেদ সরকার
বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকের মঞ্চে মডেলরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই আয়োজনই ছিল দেশের সর্বশেষ বড় ফ্যাশন শো। ছবি: খালেদ সরকার

চার মাসের বেশি সময় ধরে হাতে কাজ নেই। বাড়িতেই বন্দী। ভবিষ্যৎ ডুবে আছে অজানায়। কাজের জন্যই ঢাকায় একা থাকেন মডেল মায়িশা রহমান। পরিবারের বাকিরা রাজশাহীতে। করোনার কারণে যেতেও পারছেন না। স্বাভাবিক সময়ে মাসে ২০ থেকে ২৫ দিনই ব্যস্ত থাকতেন ফটোশুট কিংবা ফ্যাশন শোর কাজে।

মায়িশা মডেল হিসেবে সর্বশেষ ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়েছিলেন গত জানুয়ারিতে, বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকে। এরপর সব বন্ধ। বাংলা নববর্ষ আর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগে যেখানে দম ফেলার সুযোগ পেতেন না কাজের চাপে, এবার তো শুধুই হাহাকার। বিষণ্নতা ভর করেছে মায়িশার ওপর। একাকিত্ব কাটাতে একটি বিড়াল পুষছেন। সামাজিক দূরত্বের নিয়মরীতিতে অনেক কিছুই বন্ধ এখন। জমানো টাকাও প্রায় শেষের দিকে। নিজের স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে যেন হারিয়ে যাচ্ছে।

আর্থিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার লড়াইটাই এখন মুখ্য। ধাক্কা খেয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে দেশের পোশাক ও ফ্যাশনশিল্পে। হঠাৎ করেই থেমে গেছে ফ্যাশন শো। জমকালো মঞ্চ অন্ধকারে ডুবে আছে। ফ্যাশন শো আবার কবে শুরু হবে, নিশ্চিত নন কেউই। বন্ধ ফ্যাশন ফটোশুটও। এ কারণে দেশের বেশির ভাগ ফ্যাশন বা র‌্যাম্প মডেল পাঁচ মাস হলো কর্মহীন। শুধু তাঁরাই নন, বিপদে পড়ে গেছেন অন্য পেশাজীবীরাও।

কাজ নেই অনেক মডেলের

র‌্যাম্প ও ফটোশুট—বাংলাদেশের পেশাদার মডেলেদের কাজ করার প্রধান দুটি জায়গা। তবে মাঝেমধ্যে অনেকে বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটকেও কাজ করে থাকেন। র‌্যাম্প থেকে ফটোশুটে বেশি আয় মডেলদের। জ্যেষ্ঠ মডেলদের সম্মানী বেশি। যাঁরা একদম নবীন তাঁরা সাধারণত ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা সম্মানী পেয়ে থাকেন প্রতিটি ফ্যাশন শোতে হাঁটার জন্য। তবে যাঁরা জ্যেষ্ঠ বা জনপ্রিয়, তাঁরা শোপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। তবে ব্র্যান্ডের বিষয়টিও এখানে কাজ করে। ভালো প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করলে পারিশ্রমিক নিয়ে খুব একটা ঝামেলা হয় না। দর–কষাকষি করতে হয় মধ্যম মানের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে।

বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের সময় মডেলদের কাজের চাপ বেড়ে যায় অনেক। তখন যে প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি সম্মানী দেওয়া হয়, মডেলরা তাদের কাজই বেশি করেন—জানালেন কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা। তিনি বলেন, ‘সময়ের অভাব বা একই দিনে একাধিক ফ্যাশন শোর আয়োজন এর মূল কারণ।’

গত বছর শুধু ঈদের সময় ফটোশুট আর ফ্যাশন শোতে কাজ করে ৭ লাখ টাকার বেশি আয় করেছিলেন জনপ্রিয় র‌্যাম্প মডেল আবদুল্লাহ আল মাহফুজ। ‘রাজ ম্যানিয়া’ নামে তিনি বেশি পরিচিত। তিনি বললেন, এবার বেশি ক্ষতি হয়ে গেল। পৃষ্ঠপোষকের অভাবে এবার কোনো শো হয়নি।

মডেলিংয়ের পাশাপাশি অন্য কোথাও চাকরি করছেন, তাঁরা হয়তো কিছুটা স্বস্তিতে আছেন। কাল কী হবে, সেই ভাবনাটা একটু কম। তবে মৌসুমী হুদার মতো অনেকেই দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদের সঙ্গেই বেশি কাজ করেন তিনি। অন্য মডেলদের মতো র‌্যাম্পে ও ফটোশুটে খুব বেশি কাজ করেননি। কারণ, তাঁর মাথায় চুল নেই। ‘জমানো যে টাকা ছিল, সেটা দিয়ে এত দিন চলেছি। সামনে কী করব, ভাবনা এখন তা নিয়েই’, বলেন মৌসুমী হুদা

পাঁচ বছরে বেড়েছে আয়োজন

২০১৪ সালের পর থেকে বাংলাদেশে নিয়মিত ফ্যাশন শো আয়োজনের সংখ্যা বেড়ে যায়, জানালেন কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ। ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করেই সবচেয়ে বেশি ফ্যাশন শো হয়। ফটোশুটের সংখ্যাও এই দুই সময়ে বেশি। আজরা বলেন, ‘এ বছর সব ফ্যাশন হাউসের শো বাতিল হয়েছে। ফটোশুটের যেসব কাজ হওয়ার কথা ছিল সেগুলোও আর হয়নি।’

যাঁরা এই পেশায় পুরোনো তাঁদের কাছেই এই সময়টা অচেনা। নতুনেরা শঙ্কিত থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক।

কোরিওগ্রাফাররাও বিপদে

দেশের ফ্যাশন শোগুলোর নির্দেশনা দিতে এখন ২৫ জনের মতো পেশাদার কোরিওগ্রাফার কাজ করছেন। প্রতি শোতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেন বেশির ভাগ কোরিওগ্রাফার। খুব বেশি হলে ৫০ হাজার টাকা। এর ব্যতিক্রমও আছে। তারকাখ্যাতিসম্পন্ন দু–একজন কোরিওগ্রাফার ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা সম্মানী নিয়ে থাকেন প্রতি শোতে। ফ্যাশন শোর পাশাপাশি যদি ফটোশুটের নির্দেশনা দিতে হয় তবে টাকার পরিমাণ আরেকটু বেড়ে যায়। ফ্যাশন শো না হওয়ায় কোরিওগ্রাফাররাও বিপাকে। বুলবুল টুম্পা বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন ফ্যাশন শোগুলোর সঙ্গে অনেকে জড়িত। একেকটা ফ্যাশন শো অনেকের জীবিকার উৎস। করোনার কারণে এভাবে বেশি দিন চললে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।’

আন্তর্জাতিক শো নিয়েও অনিশ্চয়তা

নিজেদের তৈরি পোশাক নিয়ে বাংলাদেশের অনেক উদ্যোক্তাই অংশ নেন আন্তর্জাতিক নানা ফ্যাশন শোতে। করোনার প্রভাব সেখানেও। জার্মানির বার্লিনের এশিয়া অ্যাপারেল এক্সপো আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছে। এটা হওয়ার কথা ছিল ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি। তারিখ পরিবর্তন করে দ্বিতীয়বারের মতো পেছানো হয় ২৩-২৫ জুন। সেটাও স্থগিত হয়ে গেছে। এখন অপেক্ষার পালা ২২-২৪ সেপ্টেম্বরের জন্য।

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো এপ্রিল মাসের বদলে নতুন তারিখ ঠিক করেছে ২ ও ৩ নভেম্বর। কোপেনহেগেন ফ্যাশন সামিট পিছিয়ে গেছে ১২-১৩ অক্টোবরে। একই স্থানে হওয়ার কথা ছিল কোপেনহাগেন ফ্যাশন উইক। এখন হবে ৯-১২ আগস্ট। লন্ডন ফ্যাশন উইক ম্যানস জুন থেকে পিছিয়ে ১৮-২২ সেপ্টেম্বরে গেছে। এর মধ্যে অবশ্য লন্ডনের প্রথম ডিজিটাল ফ্যাশন উইক অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। দ্য কাউন্সিল অব ফ্যাশন ডিজাইনারস অব আমেরিকা ২৭ মার্চ ঘোষণা দেয় নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক রিসোর্ট ২০২১ সালের আগে আর হবে না। এমন উদাহরণ অনেক।

ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসীর কাজাখস্তানে আসপারা ফ্যাশন উইকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল গত মে মাসে। সেটা বাতিল হয়ে গেছে। এ ছাড়া তিনি ওয়ার্ল্ড স্কিলস বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমে ফ্যাশন প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করছেন। ২০২১ সালের আগস্টে চীনের ওয়ার্ল্ড স্কিলের আন্তর্জাতিক আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। আফসানা ফেরদৌসীর আশঙ্কা, দেশে যেহেতু এখনো প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি, আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানটিও হয়তো হবে না।

বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকের মঞ্চে হাঁটছেন একজন মডেল।  ছবি: সুমন ইউসুফ
বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকের মঞ্চে হাঁটছেন একজন মডেল। ছবি: সুমন ইউসুফ

ডিজিটাল মাধ্যমে বিকল্প চেষ্টা

ডিজিটাল ফ্যাশন শো নিয়ে কথা বলেছেন অনেকে। সম্ভাবনার পাশাপাশি অনিশ্চয়তার কথাও বলেছেন অনেকে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর প্রথম ভার্চ্যুয়াল ফ্যাশন শো হয় চীনের সাংহাইতে, ২৪ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। মার্সিডিজ বেঞ্জ রাশিয়া ফ্যাশন উইক ৪ ও ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষ সেটি বাড়িতে বসেই দেখেন। অনলাইনে ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল হয় নিউইয়র্ক ব্রাইডাল শো।

ফ্যাশন ডিজাইনারস কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সদস্য এমদাদ হক বলেন, ‘ডিজিটাল মাধ্যমে ফ্যাশন শো করার কথা চিন্তা করছি আমরাও। তবে এর পেছনে থাকবে ইতিবাচক উদ্দেশ্য।’

যুক্ত নানা পেশার মানুষ

ফ্যাশন শোর উদ্দেশ্য পণ্যের প্রচার। বাংলাদেশে সারা বছর ধরে কমবেশি ফ্যাশন শোর আয়োজন দেখা যায় এখন। বড়-ছোট মিলিয়ে প্রায় ৫০টির ওপরে ফ্যাশন শো হয় প্রতিবছর। ফ্যাশন শোর সঙ্গে জড়িত থাকে অনেক মানুষের জীবিকা।

দুই ভাগে ভাগ করলে ফ্যাশন শো আয়োজনে মঞ্চে এবং মঞ্চের পেছনে কাজ করছেন অনেকে। ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজ করছেন কারুশিল্পীরা। মডেলরা সেই পোশাক বা অনুষঙ্গ পরে হাঁটছেন মঞ্চে। হাঁটার নির্দেশনা দিচ্ছেন কোরিওগ্রাফাররা। পোশাকের সঙ্গে মানানসই মেকআপ ও চুলের স্টাইল নিয়ে আসছে সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্র কিংবা রূপবিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে পুরো ফ্যাশন শো সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের কাজটা করছে আয়োজন ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া শব্দ, আলো, খাবার পরিবেশন, মঞ্চ বানানো এবং আনুষঙ্গিক আরও কাজে জড়িত অনেকে। আয়োজননির্ভর এই খাত ঘিরেই গড়ে উঠেছে নানা ধরনের পেশা।

কয়েক বছর ধরে কাজ করার জায়গাও বেড়ে গিয়েছিল অনেক—জানালেন ফ্যাশন শোর সঙ্গে জড়িত মানুষেরা। শূন্যতা, লোকসানের আর্তনাদ এখন সব পেশাতেই। করোনার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কমবেশি সবাই।

সাধারণত বাংলাদেশে বড় আয়োজনে ফ্যাশন শো হয় বছরে ১০-১২টি। ফ্যাশন হাউসে বা ঘরোয়া আঙ্গিকে শো হয় আরও ৩০-৩৫টি। বড় আয়োজনের একটি ফ্যাশন শো করতে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়। কোনো কোনো ফ্যাশন শো করতে লাগে ৪–৫ লাখ টাকা। ফ্যাশন হাউসের ভেতরে হলে খরচ কমে যায়।

দেশের বড় ফ্যাশন শোগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক, হেরিটেজ টেক্সটাইল শো, উইভার্স ফেস্টিভ্যাল ইত্যাদি। গত বছর শাহরুখ আমিন, জুরহেমের ফ্যাশন শো ও রীমা নাজের ফ্যাশন শোগুলোও প্রশংসা পেয়েছে। তালিকায় আছে দেশীদশ আয়োজিত ফ্যাশন শোগুলোও। ছোট ফ্যাশন শো আয়োজনে ৬০-৭০ জনের মানুষের সংশ্লিষ্টতা লাগে। বড় আয়োজনে নানা কাজে যুক্ত থাকেন ২০০ থেকে ২৫০ মানুষ।

ফ্যাশন শোতে গান আর সুরের তালে হাঁটেন মডেলরা। ফলে ডিস্ক জকিকে (ডিজে) যুক্ত করতে হয়। মিউজিক মিক্সড করার কাজটিও করতে হয় মিউজিক স্টুডিও থেকে। আয়োজন ব্যবস্থাপনা (ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট) প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটোর প্রতিষ্ঠাতা রাশিদ খান বলেন, ‘এ বছর যদি শো না হয় তবে এর সঙ্গে জড়িত নানা পেশার মানুষ আর্থিক সংকটে পড়বেন।’

রূপসজ্জা বা মেকআপের বড় ভূমিকা ফ্যাশন শোগুলোতে। ফ্যাশন শোর বড় আয়োজন ছাড়াও কিছু মাঝারি ও ছোট ফ্যাশন শোতে রূপসজ্জার দায়িত্বে থাকে পারসোনা। বছরে অন্তত ১০টির বেশি বড় ফ্যাশন শোতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। ফ্যাশন শো না হওয়ায় খুব বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছেন না বলে জানালেন পারসোনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাস খান। কারণ, বেশির ভাগ কাজই পৃষ্ঠপোষকতায় হয়ে থাকে।

রেড বিউটি পারলারের প্রতিষ্ঠাতা আফরোজা পারভীন জানালেন বছরে কয়েকটা ফ্যাশন শোতে কাজ করেন তিনি। এ থেকে বার্ষিক ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মতো আয় হতো তাঁর পারলারের। এ বছর যেটা হচ্ছে না।

তবু আশা কাজে ফেরার

এ বছর ফ্যাশন শো হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। সবাই ভালোবেসে এই কাজটা করতেন। সারা দিন টানা খাটুনির পরের হইহুল্লোড় আর মজার স্মৃতিগুলোই যেন সাহস দিয়ে যাচ্ছে এখন। মানসিকভাবে প্রায় সবাই কিছুটা অবসাদগ্রস্ত। যে কাজটা এত ভালোবেসে করতেন, সেটাকে হারাতে চান না কেউই। ফটোশুটের কাজ সীমিত পরিসরে, সতর্কতার সঙ্গে করছেন কেউ কেউ। তবু সেটা একদমই হাতে গোনা। এখন শুধু আশায় আছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। কাজে ফিরতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি।