পাঠকের উকিল

নাহিদ মাহতাব
নাহিদ মাহতাব

জীবনে চলতে-ফিরতে যেসব আইনি জটিলতায় পড়তে হয়, পাঠকের উকিল বিভাগে ১৫ দিন পর পর তারই 
সমাধান পাওয়া যাবে।পাঠকের উকিল বিভাগে আইনি সমস্যার সমাধান দেবেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী নাহিদ মাহতাব। স্পষ্ট করে নিজের সমস্যা লিখে পাঠান। প্রয়োজনীয় কাগজের অনুলিপি দিন।
খামের ওপর লিখুন: পাঠকের উকিল, নকশা, দৈনিক প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুলইসলাম
এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।এ ছাড়া [email protected] এই ঠিকানায় ই-মেইল করেও সমস্যার কথা জানাতে পারেন                                                                                               আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। আমার দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে ও চার মেয়ে রেখে মারা যান। একটি মেয়ে বিধবা ও অসহায়। দ্বিতীয় স্ত্রী জীবিত আছেন, এই সংসারে আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। আমি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার সময় ভুলবশত পেনশনের কোনো নমিনি করতে পারিনি। এখন প্রথম স্ত্রীর ওই অসহায় মেয়েকে আমার পেনশনের নমিনি করা যাবে কি না, যদি নমিনি যায় তবে তার নিয়ম জানানোর অনুরোধ করছি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক                                                            সরকারি কর্মচারীদের পেনশনের বিষয়টি নির্ধারিত বিধি দ্বারা পরিচালিত হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দেরিতে নমিনি করার কারণ উল্লেখ করে আপনি আপনার কন্যাকে নমিনি করতে পারেন। নতুন নমিনি নিয়োগে আইনগত কোনো বাধা নেই।আমি একজন মেয়েকে ভালোবাসি কিন্তু আমাদের দুজনের ধর্ম ভিন্ন। আমি চাই যার যার ধর্ম বজায় রেখে বিয়ে করতে। কি এ ধরনের কোনো আইন আছে? সুনিপুণ কর
 নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে এ ধরনের বিবাহ আইনগতভাবে সিদ্ধ নয়। তবে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৮৭২ এর আওতায় একধরনের ঘোষণাপত্র রেজিস্ট্রারের সামনে প্রদানপূর্বক আপনারা বিয়ে করতে পারেন।আমি একজনকে খুব ভালোবাসি। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সম্পর্ক চলছে। নানা বাধা-বিপত্তিও আমাদের আলাদা করতে পারেনি। কিছুদিন আগে আমার বাবা তাকে মিথ্যা কথা বলে ডেকে এনে অপমান করেন এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। সেই স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে আমার বাবা কোনো আইনি সমস্যা করলে তা সমাধানে আমাদের কী করা উচিত? আমার বয়স ১৯ বছর।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকখুলনা।
 হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষরের বিষয়টি থানায় জানিয়ে রাখলে পরবর্তী সময়ে আপনি তা প্রতিকূল 

পরিস্থিতিতে ব্যবহার করে সুবিধা পেতে পারেন।

 আমার মামা প্রবাসী। মামার স্ত্রী দেশে থাকেন। তিনি বেড়ানোর নাম করে মামার বাড়ি থেকে তাঁর বাপের
বাড়িতে চলে যান। কিছুদিন পর আমরা অর্থাৎ মামার আত্মীয় স্বজন শুনতে পাই (ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে)
যে, তিনি মামাকে তালাক দিয়েছেন। তবে আমার মামা এখনো প্রায় ১৩-১৪ মাস হলো কোনো কাগজপত্র
পাননি।
প্রশ্ন হলো ইসলামি আইনে স্ত্রীর তালাক দেওয়া বৈধ কি না? এবং আমার মামা যদি দেশে ফিরে তাঁর স্ত্রীকে
আবার ঘরে আনতে চান (স্ত্রীর ইচ্ছায়), তাহলে কীভাবে আনতে পারবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
ঢাকা
 কাবিননামায় তালাক প্রদানের ক্ষমতা অর্পিত হলে আপনার মামি তালাক দিতে পারেন। আপনার মামা যেহেতু
প্রবাসী, সেহেতু নোটিশটি তাঁর স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হতে পারে। তালাক প্রদানের পর পুনরায় বিবাহে কোনো
বাধা নেই।