এবার খোলা ছাদে

চাঁদনি রাতে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে বসে উপভোগ করা যাবে পছন্দের খাবার। ছবি: নকশা
চাঁদনি রাতে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে বসে উপভোগ করা যাবে পছন্দের খাবার। ছবি: নকশা

রেস্তোরাঁর নাম দ্রুম। সংস্কৃত ভাষায় এই শব্দের অর্থ কল্পবৃক্ষ। ২০১১ সালে ঢাকায় এ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালু হয়েছিল।খোলামেলা জায়গায় বসে খাওয়া আর আড্ডার জন্য চমৎকার ছিল দ্রুম।
গত বছরের শেষ দিকে এটি জায়গা বদলের জন্য বন্ধ ছিল কিছুদিন। এখন তা নতুন ঠিকানায় চালু হয়েছে আবার, ঢাকার সাতমসজিদ রোডে। কাকলি স্কুলের ঠিক উল্টো পাশে র‌্যাংগ্স কেবি স্কয়ারের টপ ফ্লোরে (১৪ তলায়)।
দ্রুমের উদ্যোক্তা সামিরা মোস্তফা বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, এখানে যাঁরা আসবেন তাঁরা যেন নিজেদের ক্রেতা মনে না করেন। প্রকৃতির ছোঁয়ায় তাঁরা যেন এটাকে নিজের বাড়ির আঙিনা মনে করেই সময় ধরে আড্ডা দেন। খাবারের মান ঠিক রাখতে আমরা কোনো বাড়তি উপকরণ দুই দিন জমিয়ে রাখি না। সবকিছু টাটকা দেওয়ার চেষ্টা করি।’
চারদিকে স্বচ্ছ কাচ দিয়ে ঘেরা ঘরটিতে আলো-বাতাসের কমতি নেই। এক পাশে খোলা বারান্দা দিয়ে বিকেলের ঠান্ডা হাওয়া বা জ্যোৎস্না রাতে চাঁদনি আলো গায়ে মাখতে মাখতে বন্ধুদের সঙ্গে কাটিয়ে দিতে পারেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নানা ধরনের খাবারের মধ্যে এখানে পাবেন মুরগির বারবিকিউ, তন্দুরি, রুপচাঁদা মাছ, রেড স্ন্যাপার মাছ, চীনা খাবারের সেট মেনু ইত্যাদি।
দ্রুমের অন্দরসজ্জাও মন ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কাঠের ফ্রেমের কাচের টেবিলে বসতে পাবেন কুশন দেওয়া ছোট্ট কাঠের চেয়ারে। আবার গদি দেওয়া খাটে বৈঠকি ঢঙে বসে চিবোতেও পারেন পছন্দের খাবার। কড়া রোদে তেষ্টা মেটাবে নানা রকম ফলের রস আর লেবুর শরবত। একসঙ্গে ৫০ জনের মতো বসার ব্যবস্থা আছে এখানে। চাইলে ছোট পার্টির আয়োজনও সারতে পারবেন।
দ্রুম প্রতিদিন খোলা বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।