ঘর কি রাসায়নিকমুক্ত?

রাসায়নিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে আজকাল সবাই অর্গানিক হতে চেষ্টা করছেন। আমাদের খাদ্যশস্যে, ফলমূল ও শাকসবজিতে বিভিন্ন রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহূত হয়। চাষবাসকে রাসায়নিকমুক্ত ও যথাসম্ভব জৈব বা অর্গানিক করে তোলার জন্য আন্দোলন করছেন পরিবেশবিদেরা।
কিন্তু আমরা বাড়িতে অহরহ নানা ধরনের রাসায়নিকের মুখোমুখি হচ্ছি। সুস্বাস্থ্যের জন্য এসব রাসায়নিকের ব্যবহারও যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ২০০৯ সালে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সাময়িকীতে বিজ্ঞানীরা বলেন যে শহরের বাড়িগুলোতে গড়ে কমপক্ষে ৪০০ ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক বা টক্সিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যেমন প্লাস্টিকের বোতলে থাকে বিসফেনোল, যা দেহের হরমোন ও অ্যানজাইমের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। প্লাস্টিকের কনটেইনার বা বোতল মাইক্রোওয়েভ বা ডিশওয়াশারে দেওয়া হলে এর ক্ষতিকর প্রভাব আরও বাড়ে। বাথরুমে ব্যবহূত শাওয়ারের পর্দায় রয়েছে ভিনাইল, যা প্রায় ১০৮ রকমের বায়বীয় রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করতে পারে। ড্রাই ক্লিনিংয়ে ব্যবহূত হয় পারক্লোরোইথিলিন, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর। আপনার ব্যবহূত নখপালিশ থেকে নির্গত হয় ভলাটাইল অ্যাসিটোন, যা হাঁপানি রোগীদের জন্য খারাপ।
ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে এমনকি পরিষ্কার সেপ্র, ফ্লোর ক্লিনার বা সুগন্ধি ডিশওয়াশারেও। বিজ্ঞানীরা বলছেন রাসায়নিকের প্রভাব এড়াতে প্রথমত লেবেল দেখে জিনিসপত্র কেনার অভ্যাস করুন, যতটা সম্ভব অর্গানিক বা জৈবপদার্থ দিয়ে কাজ সারুন। আধুনিক জীবনযাত্রার আরাম-আয়েশ থেকে খানিকটা না হয় সরেই এলেন। হেলথ ডটকম।