রিয়াজের পছন্দ আকাশে ওড়া

মাছ ধরা শখ রিয়াজের। ছবি: সৈকত ভদ্র
মাছ ধরা শখ রিয়াজের। ছবি: সৈকত ভদ্র

একসময় ছিলেন বিমানচালক। পরে হয়েছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। পছন্দ করেন 

ক্যাজুয়াল পোশাক পছন্দ করেন
ক্যাজুয়াল পোশাক পছন্দ করেন
জিনস তাঁর প্রিয়
জিনস তাঁর প্রিয়

আয়োজন করে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে। ভালোবাসেন জিনস টি-শার্ট। আজ জানা যাক চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজের স্টাইল।
পানিতে মাছ ধরা আর আকাশে উড়ে বেড়ানো তাঁর শখ। পুকুরে বড়শি ফেলে পাড়ে বসে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মাছ ধরতে যাওয়ার আগে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে বের হন। বড়শির সুতা থেকে মাছ ধরার টোপ সবকিছুই পরখ করে নেন। যেখানে মাছ ধরতে যান সেখানে তাঁবু ফেলে, চেয়ার-টেবিল পেতে রীতিমতো উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ধরেন। পাখির মতো আকাশে উড়তেও ভালোবাসেন। একসময় ছিলেন বৈমানিক। এরপর হয়ে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক। তিনি রিয়াজ।
অনেক দিন ধরে অভিনয়ের বাইরে থাকলেও রিয়াজ আবার অভিনয় শুরু করেছেন। তবে তা টেলিভিশন নাটকে। রিয়াজ বলেন, ‘দর্শকরা অনেক দিন আমাকে চলচ্চিত্রে পায়নি। হয়তো আবার ফিরে আসব। নিজেকে প্রস্তুত করছি সে জন্য।’
রিয়াজ স্টাইলটা তৈরি করেছেন নিজের মতো করেই। মাছ ধরতে যাওয়ার সময়টার কথাই বলা যাক। খাটো প্যান্টের সঙ্গে টি-শার্ট, হাতে গ্লাভস, মাথায় টুপি আর চোখে রোদচশমা। তখন মনে হয় এ এক অন্য রিয়াজ।
চুলটা ছোট করে ছাঁটতেই ভালোবাসেন। সম্প্রতি রেখেছেন ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। এ বিষয়ে রিয়াজ হেসে জানালেন, ‘আমার স্ত্রী আমাকে নিয়ে নানা ধরনের নিরীক্ষা চালায়। এটা তার একটা। দাড়ির কাটে নতুন এই লুক আমার স্ত্রীর পরামর্শেই। হয়তো হুট করেই দেখা যাবে এটা আর নেই।’

মাছ ধরার সরঞ্জামাদি
মাছ ধরার সরঞ্জামাদি

পয়লা বৈশাখসহ যেকোনো উৎসবে রিয়াজের পরনে পাঞ্জাবি উঠবেই। সঙ্গে পায়জামা আর স্যান্ডেল। নানা ধরনের কেডস বা স্নিকার পরেন। বেশি পছন্দ করেন ক্যাজুয়াল থাকতে। ক্যাজুয়াল শার্ট, জিনস আর পাঞ্জাবি-পায়জামা পরতেই ভালোবাসেন। তবে অফিসে রিয়াজ থাকেন একেবারে কেতাদুরস্ত পোশাকে। আর অফিসের দিনগুলোও শুরু হয় বেশ ভোরে।
রিয়াজ ও তাঁর স্ত্রী দুজনই সিনেমার পোকা। প্রতিদিন রাতে একসঙ্গে বসে দেখেন দেশি-বিদেশি সিনেমা। রিয়াজ নিজে বই পড়তেও পছন্দ করেন। কাজের চাপে স্ত্রীকে খুব একটা সময় দেওয়া হয় না। তবে সময় পেলেই স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে খেতে যান, নিজেই তখন গাড়ি চালান। মাঝেমধ্যে চলে যান লংড্রাইভেও।
কালো রংটা রিয়াজের পছন্দ। দেশে-বিদেশে ঘুরতে যান প্রচুর। স্যুটের ব্র্যান্ডে স্পিরিট ও আরমানিই বেশি পছন্দ আর জিনসে লিভাইস। তবে শার্ট বা টি-শার্ট কেনেন যেখানে যেটা ভালোলাগে সেটাই। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো ব্র্যান্ড নেই। ঘড়ি পরেন মাঝেমধ্যে। আঙুলে পরেন আংটি। কথার ফাঁকেই জানালেন, ‘আকাশে ওড়াটা যেহেতু আমার শখ তাই আবার ফ্লাইংয়ে সম্পৃক্ত হচ্ছি। নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানছি। আকাশে ওড়ার এই ভালোলাগাটা একান্ত আমার।’