অ্যাসিডিটির সমস্যায় রোজা রাখা

অলংকরণ: তুলি
অলংকরণ: তুলি

রোজা রাখলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে। অনেকের মনে এমন ধারণা আছে। আসলে বিষয়টি কী? এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যাঁদের পাকস্থলী বা অন্ত্রনালির কোনো অংশে আলসার বা ক্ষত রয়েছে, তাঁরাও রোজা রাখতে পারবেন। আবার যাঁদের আলসার নেই, কিন্তু হজমের সমস্যা আছে, রোজা রাখতে নিষেধ নেই তাঁদেরও।’
বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায়
খাবার খেলেই যাঁদের বুক জ্বালাপোড়া করে, একটু খেলেই যাঁদের পেট ভারী ভারী লাগে অথবা একটু খেলেই যাঁদের পেটে ব্যথা হয়, তাঁরা জীবনযাত্রায় একটু পরিবর্তন আনলেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
এসব রোগী খাবার খাওয়ার পরপরই পানি পান করবেন না। তাঁদের খাওয়ার এক ঘণ্টা পর পানি পান করা উচিত। মসলাযুক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার এবং সস খাওয়া বাদ দিতে হবে। ইফতারের পর তাঁদের ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা প্রয়োজন।

এই সমস্যায় ভুগলে ভরপেট খাবেন না। বরং পেট কিছুটা খালি রেখে খাবার খাওয়া উচিত। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে কয়েকবার খেতে পারেন।
এসব রোগীর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হয় না। তবে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করার পরও অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। আর কারও পেট ব্যথা যদি এক ঘণ্টার বেশি সময় স্থায়ী হয়, তাঁদেরও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কোন ধরনের খাবার খাবেন
যেসব খাবার হজম হতে সময় লাগে, সেগুলোর পরিবর্তে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। সবজি, ফলসহ আঁশযুক্ত ও শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। ইফতারে শরবতও পান করতে পারেন।

যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান
অ্যাসিডিটির জন্য যাঁরা নিয়মিত দুই বেলা ওষুধ খান, তাঁরা ইফতারের সময় ও সেহরিতে ওষুধগুলো খেয়ে নেবেন। সাধারণত যাঁদের আলসার রয়েছে, তাঁরা কোন ওষুধগুলো আগে ও পরে খাবেন, চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেবেন।

বিশেষ পরামর্শ
খিদে পেলেই যাঁদের প্রচণ্ড পেট ব্যথা শুরু হয়ে যায়, তাঁদের রোজা না রাখাই ভালো। এ ছাড়া অ্যাসিডিটির সমস্যার জন্য কারও রোজা রাখতে না পারার কোনো কারণ নেই।
গ্রন্থনা: রাফিয়া আলম