বেশি খেলেই কি ওজন বাড়বে!

যাঁদের ওজন কম, এবার এ আয়োজন তাঁদের জন্য। ওজন কমানোর জন্য যতটা কায়দা- কসরতের দরকার হয়, ওজন বাড়াতে কিন্তু এতটা ঝক্কি নেই। সচেতনভাবে খাওয়াদাওয়া করে আর নীরোগ থেকে খুব সহজেই ওজন বাড়ানো যায়। তবে অনেকেরই কিন্তু অভিযোগ থাকে ‘খাচ্ছি তো ঠিকই। ওজন তো বাড়ছে না!’ সত্যই কি এমন হয়, জানতে চেয়েছিলাম বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ, শামছুন্নাহার নাহিদ এর কাছে, তিনি জানান, শারীরিক কিছু সমস্যা থাকলে ওজন বাড়ে না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যাঁরা খুব বেছে খান তাঁদেরও ওজন কম থাকে। ডায়রিয়া, আমাশয়, খাদ্যে অরুচি কিংবা খেলেই যাঁদের বমি হয় তাঁদের ওজন কম হতে পারে।

জেনে নেয়া যাক ওজন বাড়ানোর কিছু সহজ কথা:

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে তুলনামূলক বেশি করে। সেটা হতে পারে ডিম, মাছ, মাংসসমৃদ্ধ সব খাবার।

দুই থেকে তিন ঘণ্টা অন্তর অন্তর খেতে হবে অল্প করে। সঙ্গে সকাল, দুপুর ও রাতের মূল খাবার তো থাকছেই।

ফাস্টফুড খাওয়া ছাড়তে হবে। এ খাবারগুলোতে খারাপ চর্বির মাত্রা যেমন বেশি থাকে, অন্যদিকে পুষ্টিগুণ থাকে একদমই কম। এগুলো শরীরে শুধু চর্বিই বাড়ায় মাংশপেশি তৈরি করে না।

খাবার খেতে হবে প্রোটিন, আমিষ, ভিটামিন আর মিনারেলের মিশেলে।

খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, দুধ আর ফলের রস।

সঙ্গে ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত। সুষম খাবার আর নিয়মিত ব্যায়াম শরীরে তৈরি করে দৃষ্টিনন্দন মাংশপেশি।

ওজন বাড়াতে শরীরে দরকার পূর্ণ বিশ্রাম। আর রাতে তাই ঘুমাতে হবে অন্তত আট ঘণ্টা।

জেনে নিন এবার ওজন বাড়াতে কি খেতে হবে প্রতিদিন।

খাবারের এই তালিকাটি দিলেন পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ।

সকালে যাঁরা দুটো রুটি খেতেন, তাঁদের জন্য একটি ঘরে তৈরি পরোটা ঘরে খেতে হবে। ডিম সিদ্ধ না খেয়ে খেতে হবে ভাজি কিংবা পোচ। সঙ্গে সবজি, ভাজি কিংবা মিষ্টি-জাতীয় খাবার। সকাল দুপুর রাতে মূল খাবারের মাঝের সময়ে খেতে হবে শর্করা, আমিষের মিশেলে তৈরি খাবার। সেটা হতে পারে মোগলাই, হালিম, ডিমের পুডিং, কেক, পেস্ট্রি ফালুদা, সুপ ইত্যাদি। দুপুরে ও রাতের খাবারে থাকবে ভাত, মাছ, মাংস, ভাজা, ভূনা মাঝেমধ্যে খিচুড়ি, পোলাও, বিরিয়ানি।

মনে রাখতে হবে, বাইরের ডালডা কিংবা ঘি দিয়ে তৈরি খাবার না খেয়ে ঘরে তেলে তৈরি খাবার খাওয়াতেই মনোযোগ দিতে হবে। আর খেতে হবে বেশি করে পানি। ফলের রস কিংবা ডাবের পানিও তৃষ্ণা মেটাবে, মেটাবে পুষ্টিচাহিদা।