হরেক রকমের ব্যাগ

হরেক রকমের ব্যাগ
হরেক রকমের ব্যাগ

থলি, থলে, ঝুলি, ঝোলা, পেটিকা—এমন অনেক নামে পরিচিত। কিন্তু ব্যাগ নামেই সবাই চেনেন। কেবল নিত্যপ্রয়োজনে নয়, ব্যাগ এখন ফ্যাশনেরও অনুষঙ্গ। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন দামের দেশি-বিদেশি নানান স্টাইলের ব্যাগ। রূপ বিশেষজ্ঞ, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে হরেক রকমের ব্যাগ নিয়ে প্রতিবেদনটি লিখেছেন সাবিনা ইয়াসমিন
চামড়ার ব্যাগ
সব সময় সব স্থানে চামড়ার ব্যাগের কদর অন্য রকম। নকশার দিকটা হয়তো একটু কম হবে, কিন্তু ব্যবহার ও মানে তা অনেক উন্নত। তবে এখন বাটা, অ্যাপেক্সসহ বিভিন্ন বিক্রয়কেন্দ্রে নানা নকশার চামড়ার ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে । আবার আড়ংয়েও আছে নিজস্ব নকশা করা চামড়ার ছোট-বড় ব্যাগ। এক রঙা ব্যাগে সেই রঙেরই খাঁজকাটা নকশা থাকছে। উজ্জ্বল রং ছাড়াও হালকা বাদামি, নীল, আকাশি, গোলাপি, পেস্ট রঙের ব্যাগগুলো যেকোনো পোশাকের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়। আর স্থান ও বয়সভেদে যে কেউই তা বহন করতে পারেন। এখন বেশ চলছে লম্বা হাতলযুক্ত ব্যাগগুলো। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ কিংবা পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে বেশ মানানসই এগুলো। দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু।
ছোট হাতলের ব্যাগ
এগুলো ঠিক পার্সও নয়, আবার বড় আকারের ব্যাগ নয়। মাঝারি আকারের সামনে দুটি হাতল, যা আপনি সহজেই হাতের মধ্যে গলিয়ে নিতে পারবেন। এমন ব্যাগ ব্যবহারে আপনার ব্যক্তিত্বে অন্য রকম মাত্রা যোগ করতে পারে। এ ছাড়া সিল্ক, মসলিন শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও তা ব্যবহার করতে পারেন। এটি এক রঙাও হতে পারে। আবার শুধু সামনে হালকা কারুকাজ। চামড়া ও রেকসিনভেদে বিভিন্ন দামে পাওয়া যায়।
বক্স ব্যাগ
এটি শক্ত বক্স আকারের। ছোট-বড় সব ধরনেরই আছে। ছোট হাতল থাকে। এগুলো বেশির ভাগ পার্টিতে নেওয়ার উপযোগী। কালো রঙের ব্যাগের ওপর থাকে সোনালি কাজ। এ ছাড়া চকলেট, বাদামি রংগুলো বেশি চলে। ভেতরে দুটি চেম্বারের বেশি থাকে না। আবার এখন ওপরে রাবারের মতো নতুন নকশার কিছু ব্যাগ এসেছে। সামনে থাকছে লক সিস্টেম। চারকোনা গড়নের। এ ব্যাগের সুবিধা হলো, ভেতরে জায়গা থাকে যথেষ্ট। স্ট্যাসির শোরুমে পেয়ে যাবেন এই ব্যাগ। ৩০০০ টাকা থেকে দাম শুরু।
কাপড়ের ব্যাগ
এখন কাপড়ের ব্যাগে অনেক নকশা এসেছে। রাজস্থানি নকশায় নানা ধরনের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে আমাদের দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোতে। অনেক টুকরা কাপড় জোড়া দিয়ে হয়ে উঠছে সুন্দর নকশা। আর সঙ্গে লেস, চুমকি, পুঁতির কাজ তো আছেই। এ ছাড়া হাতের কাজ করা ব্যাগের কদর সারা জীবনই থাকবে। ভেলভেট ও মখমল কাপড় দিয়েও করতে পারেন পছন্দের ব্যাগ। এগুলো সাধারণত একটু মাঝারি থেকে বড় ধরনেরই ভালো লাগে। রঙ, যাত্রা, শৈলী ফ্যাশন হাউসগুলোয় পাবেন এসব ব্যাগ। দাম ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা।
পার্টি ব্যাগ
জাঁকজমক পার্টিতে সুন্দর পরিপাটি সাজে হাতে ঠিক সেই সময়কার সঙ্গে মানানসই একটা ব্যাগ না হলেই নয়। এখন একটু বড় ধরনের পার্টি ব্যাগগুলো বেশ চলছে। এগুলোয় থাকছে উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া। সঙ্গে থাকছে চিকন চেইনের হ্যান্ডেল ঘাড়ে নেওয়ার। এ ছাড়া স্টোনের কাজ করা পার্টিব্যাগ আপনাকে করে তুলবে আরও আকর্ষণীয়। নিউমার্কেটের ব্যাগের দোকানে আছে বিপুল সংগ্রহ। দাম ১০০০ টাকা থেকে শুরু।
বটুয়া
এখন শুধু শাড়িই নয়, লেহেঙ্গার সঙ্গেও বেশ চলছে এগুলো। নকশাতেও এসেছে ভিন্নতা। এক রঙা ব্যাগে থাকতে পারে কাতান পাড়। আর এ পাড় দিয়েই তৈরি করে নিতে পারেন হাতল। এ ছাড়া পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে, কাতান, ধুপিয়ান, সুতি, ভেলভেট, মখমল দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন বটুয়া। সুন্দর রেডিমেড বটুয়া পাবেন আজিজ সুপার মার্কেটে।
অনেকেই সুন্দর জামা তৈরি করার পর অবশিষ্ট কাপড়টা দিয়ে ব্যাগ বানাতে পারেন। আবার মাঝেমধ্যে বন্ধুদের তাক লাগিয়ে দিতে পারেন নিজের হাতে করা ব্যাগ দিয়ে। এটি অনেক সময় হয়ে ওঠে বেশ ব্যতিক্রম। আমাদের দেশের দেশী দশ থেকে শুরু করে অনেক ফ্যাশন হাউস তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের ব্যাগ বাজারে আনছে।