প্রতি মাসেই কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে

কেএফসি ও পিৎজা হাটে শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে। আবার পড়াশোনা শেষে এখানেই স্থায়ী হওয়া যায়। রাজধানীর গুলশানের পিৎজা হাট থেকে ছবিটি তুলেছেন মনিরুল আলম।
কেএফসি ও পিৎজা হাটে শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে। আবার পড়াশোনা শেষে এখানেই স্থায়ী হওয়া যায়। রাজধানীর গুলশানের পিৎজা হাট থেকে ছবিটি তুলেছেন মনিরুল আলম।

আন্তর্জাতিক খাবার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কেএফসি ও পিৎজা হাট। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠান দুটি বেশ সুনামের সঙ্গে ক্রেতাদের সেবা করে যাচ্ছে।
পিৎজা হাট ও এবং কেএফসি ফ্র্যাঞ্চাইজি ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আক্কু চৌধুরী বলেন, ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড ২০০৩ সালে বাংলাদেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করে। প্রতিষ্ঠান দুটি বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে কেএফসির ঢাকায় ১১টি ও ঢাকার বাইরে তিনটি এবং পিৎজা হাটের ঢাকায় ১১টি ও ঢাকার বাইরে দুটি রেস্টুরেন্ট আছে। প্রতিষ্ঠান দুটিতে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ১০০ জনের মতো কর্মী কাজ করছেন। ক্রেতাদের চাহিদার কারণে রেস্টুরেন্ট দুটি সারা দেশে নতুন শাখা স্থাপন করছে। প্রতি মাসেই কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে।
আক্কু চৌধুরী জানান, প্রতিটি কেএফসি ও পিৎজা হাটের রেস্টুরেন্টে ৪০ জনের মতো সেবা কর্মী এবং ছয়জনের মতো ম্যানেজার দরকার। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর তিন থেকে পাঁচটি নতুন রেস্টুরেন্ট খোলার পরিকল্পনা করেছে। তাই দরকার অনেক সেবাকর্মীর। প্রতিষ্ঠান দুটি দক্ষ লোকদের খুঁজছে। ভালো লোক পেলেই নিয়ে নিচ্ছে।
তরুণদের নিয়ে কাজ
আক্কু চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সব সময় তরুণদের নিয়ে কাজ করি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সামনের দিকে আছে একদল, যারা ক্রেতাদের সেবা করে, আর পেছনে কাজ করছে আরেক দল, যারা খাবার তৈরি করার কাজ করে। এখানে এগিয়ে যাওয়ার মাপকাঠি হলো শুধুই কাজ। আমাদের এখানে কাজ করার পরে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য পরীক্ষা হয়। কাজ ও পড়াশোনা একসঙ্গে করা যাবে। এমনকি পরীক্ষা দিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করতে পারবে যে কেউ।’ তিনি জানান, এখানে সবচেয়ে বড় কথা হলো ভালো কাজ করা, ক্রেতাদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলা এবং সততা। এগুলোই এখানে এগিয়ে যাওয়ার মূল মন্ত্র।
কারা আবেদন করতে পারবেন
প্রর্থীকে এইচএসসি পাস হতে হবে। ক্রেতার সঙ্গে বাংলা ও ইংরেজিতে কথা বলা এখানে বিশেষ দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানে নিয়োগের আগে প্রথম প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে দেখা হয়। এরপর পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় পাস করলে মৌখিক পরীক্ষা হয়। আক্কু চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আমাদের এখানে কাজ করার বেশি সুযোগ। পড়াশোনা করা অবস্থায় কাজ করলে তাদের নিজেদের জন্যই ভালো।’ এই রেস্টুরেন্টে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
নিয়োগের খবর জানবেন কীভাবে
কেএফসি বা পিৎজা হাটে নিয়োগের খবর দৈনিক খবরের কাগজ, অনলাইন সংবাদমাধ্যম বা ফেসবুকে পেজ থেকে জানা যায়। এখানে চাকরি করছেন এমন লোকজনদের কাছেও এই খোঁজ থাকে।
বেতনকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা
আক্কু চৌধুরী বলেন, কেএফসি বা পিৎজা হাটে দুই রকম কাজের সুযোগ রয়েছে। একটি হলো পার্টটাইম, আরেকটি ফুলটাইম। পরীক্ষা দেওয়ার পর রেস্টুরেন্টে নয় মাস কাজের অভিজ্ঞতা দেখে ফুলটাইম নিয়োগের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করা হয়। সুবিধার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসাভাতা, ইউনিফর্ম, যেকোনো এক বেলা খাবার। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে ভালো করার ওপর নির্ভর করে কর্মীকে বছরে চারটি কর্ম বোনাস দেওয়া হয়। এখানে নিয়োগ স্থায়ী হলে মাসে আট হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর শুরুর প্রথম নয় মাস ৬ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। আক্কু চৌধুরী আরও বলেন, এখানে একজন কর্মী তাঁর কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারবে।