মিষ্টি আলুর মিষ্টতা

মিষ্টি আলুতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। ছবি: অধুনা
মিষ্টি আলুতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। ছবি: অধুনা

সব তরকারিতেই আলু বেশ মানিয়ে যায়। এ ছাড়া আলু নিজেই একটি স্বতন্ত্র সবজি। আলুর দম, আলু ভর্তা, আলু ভাজি এসব তো নিত্য দিনেরই ঘরের খাবার হলেও ফাস্টফুডের দোকানগুলোতেও আলু অতি জনপ্রিয়। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, ওয়েজেস, ম্যাশড পটেটো নাম নিয়ে আলু নানাভাবে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এই আলুরই কয়েকটি প্রকারের মধ্যে মিষ্টি আলুর দখল অনেকটা জুড়ে। গাঁও-গ্রামে মিষ্টি আলু জমি থেকে ঘরে তোলার আগেই খাওয়া শুরু হয়ে যায়। মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে বা আগুনে অল্প পুড়িয়ে নিলে খেতে দারুণ লাগে।
মিষ্টি আলু কী শুধু স্বাদেরই, নাকি পুষ্টিগুণেরও তাৎপর্য আছে? জানতে চেয়েছিলাম খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেয়া মাওলার কাছে। তিনি বলেন, ‘মিষ্টি আলুতে প্রচুর শর্করা এবং চিনি থাকে। এটি শরীরে শক্তি জোগান দেয়। কাজে-কর্মেও গতি আসে। এ ছাড়াও মিষ্টি আলুতে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।’ যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় নিউট্রিশন ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টি আলুতে যেসব ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আছে, সেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর ভারী ধাতু থেকে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি কমাতে বেশ সহায়ক।
 মিষ্টি আলুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। এই শর্করা হলো শরীরের জ্বালানির প্রধান উৎস। শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন করে এই উপাদান।
 মিষ্টি আলু কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেমকে চাঙা রাখে। এটি মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন।
 মাংসপেশি সবল রাখতে খেতে পারেন মিষ্টি আলু। এই তীব্র শীতে মাংসপেশি জমে যাওয়া এড়াতে খেতে পারেন মিষ্টি আলু।
 কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
 হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো মিষ্টি আলু। এতে থাকে প্রচুর পটাসিয়াম, যেটি শরীরের কোষে তরল ইলেকট্রোলাইটেসর ভারসাম্য বজায় রাখে।
 শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর।
 কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে মিষ্টি আলু বিশেষ উপকারী।
 ত্বক, চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় মিষ্টি আলুর জুড়ি মেলা ভার।
 এ ছাড়া মিষ্টি আলুতে প্রাকৃতিকভাবে চিনি থাকলেও তা ধীরে ধীরে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়, ফলে শরীরে প্রয়োজনমাফিক শক্তির জোগান অব্যাহত থাকে।
গ্রন্থনা: সিদ্ধার্থ মজুমদার