ভূরিভোজে ভুট্টা

ভুট্টা
ভুট্টা

গনগনে আগুনে ভুট্টা পোড়ানো হয়। পোড়ানো ভুট্টা সামান্য লবণ ছিটালে অসামান্য হয়ে ওঠে স্বাদে। শুধু পুড়িয়ে কেন, ভেজেও খাওয়া যায়। একদিকে ফেরিওয়ালা যেমন ফেরি করে বেড়ান ভুট্টা, অন্যদিকে বিপণিবিতানেও ভুট্টার তৈরি নানা স্বাদের খাবার মেলে। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ জানালেন, ভুট্টায় থাকে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। এর শর্করা শরীরে শক্তি, কাজে গতি এনে দেয়। আলস্যও ঝেড়ে ফেলে। ভুট্টা খেতে যেমন ভালো তেমনি পুষ্টিগুণেও অনন্য। ভুট্টা কেমন করে রোগপ্রতিরোধ করে আর শরীরে পুষ্টির জোগান দেয়, এবার জেনে নেওয়া যাক।
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের পুষ্টির জন্য দরকার শর্করা। ভুট্টায় থাকা শর্করা মস্তিষ্কের সুরক্ষা দেয়।
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও খেতে পারেন ভুট্টা। এতে উপাদানগুলো ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
রক্তস্বল্পতা রোগের ভালো দাওয়াই হলো ভুট্টা। ভিটামিন বি-১২ এবং ফলিক অ্যাসিডের স্বল্পতার কারণে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। ভুট্টা এই দুটি উপাদানের খুব ভালো উৎস। এ ছাড়া রক্ত উৎপন্নকারী আয়রনও আছে প্রচুর পরিমাণে।
মাংসপেশি ও কিডনির সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের একটি বড় উৎস হলো ভুট্টা।
ভুট্টায় থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম ভুট্টা। বিশেষ করে স্তন ও যকৃতের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এক প্রাকৃতিক ক্ষমতা আছে এতে।
ভুট্টায় থাকে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য আঁশ। দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের আঁশই থাকে ভুট্টায়। দ্রবণীয় আঁশ শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। আর অদ্রবণীয় আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যর ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
যাঁদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম এবং ওজন বাড়ানো আবশ্যক, তাঁরা ভুট্টা খেতে পারেন। ভুট্টায় থাকা প্রচুর ক্যালরি শরীরের মাংসপেশি বাড়াতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ভুট্টা খেলে দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ে। ভুট্টায় থাকা ক্যারোটিনয়েড, বিটা ক্যারোটিন চোখের জন্য ভালো। চোখের রোগ এড়াতেও কার্যকর।
ভুট্টায় থাকা ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব জরুরি। ভুট্টা খেলে গর্ভের সন্তানের ওজন বাড়ে। শিশু অল্প ওজন নিয়ে জন্মানোর আশঙ্কাও কমে।
অনেক ব্যক্তি দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট ঘটনা খুব দ্রুত ভুলে যান। কখনো এটি রোগ হিসেবেই দেখা দেয়। ইংরেজিতে একে আলঝেইমার বলে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ভুট্টা খেলে আলঝেইমার রোগ এড়ানো যায়।