পায়ে পায়ে শীত!

একটু ঠান্ডা পড়লে পরুন ব্যালেরিনা শু। মডেল: সায়রা, জুতা: লা মোড, ছবি: কবির হোসেন
একটু ঠান্ডা পড়লে পরুন ব্যালেরিনা শু। মডেল: সায়রা, জুতা: লা মোড, ছবি: কবির হোসেন

প্রকৃতির ঋতু পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে ফ্যাশনেও। শীত এখনো জেঁকে বসেনি ঠিকই, কিন্তু এর প্রস্তুতি তো নেওয়া চাই এখন থেকেই। গরম আর বৃষ্টির দিনে হয়তো চটি বা স্লিপার জাতীয় স্যান্ডেলেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন কিন্তু এখন ঠান্ডা থেকে বাঁচতে এবং পায়ের সুরক্ষায় বেছে নিতে পারেন পাম্প শু বা পা-বন্ধ জুতা।

ব্যালেরিনা জুতায় নানারকম বো, পাথর ইত্যাদি অনুষঙ্গও ব্যবহার করা হচ্ছে
ব্যালেরিনা জুতায় নানারকম বো, পাথর ইত্যাদি অনুষঙ্গও ব্যবহার করা হচ্ছে

ব্যালেরিনা, মোকাসিন এবং লোফার পরার উপযোগী আবহাওয়া এখন। পায়ে ঠান্ডা লাগবে না, আবার ধুলা থেকেও মুক্ত থাকা যাবে। এখন কেমন জুতা চলছে, তা জানিয়েছেন লা মোডের ক্রিয়েটিভ হেড ফাহমিদা ইসলাম। জুতার নকশায় এখন নব্বই দশকের ফ্যাশন অনুসরণ করা হচ্ছে। তাঁদের সংগ্রহে আছে জিনসের ব্যালেরিনা শু। জিনসের ওপর পোলকা ডট এবং ফুলের নকশাও করা হয়েছে কিছু জুতায়। জুতায় হলোগ্রাম স্টাইলটা এখন খুব চলছে বলে জানালেন তিনি। এ ছাড়া শীতের জন্য উলের কাপড়ের জুতাও তৈরি করা হয়েছে। ব্যালেরিনার নকশার ওপর নির্ভর করে সেটি অনেক সময় সালোয়ার-কামিজ বা সেমি ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেও মানিয়ে যায়। তবে, লোফার এবং মোকাসিন পুরোপুরি পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকের সঙ্গেই মানানসই। ঠান্ডার সময় মোজাও পরেন অনেকে। তাই এ ধরনের জুতার সঙ্গে মিলিয়ে সুন্দর প্রিন্ট বা নেটের নকশার মোজা পরলেও ভালো দেখাবে।
ফাহমিদা জানালেন, লা মোডে জুতার সঙ্গে আলাদাভাবে ব্যবহারের জন্য তাঁদের সংগ্রহে কিছু অনুষঙ্গ রাখা হয়েছে। কাপড়ের ফুল, বো, চুমকির তৈরি তারা বা ঠোঁট—এমন মজার মজার সব অনুষঙ্গ জুতার ওপর পিনের মতো আটকে ব্যবহার করতে পারবেন। অনুষঙ্গের অদলবদলে জুতার চেহারাও পাল্টে যাবে, একই জুতা উপস্থাপন করা যাবে অনেকভাবে।
এই সময়ে নাগড়াও খুব চলছে। ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সঙ্গে এটি ভালো মানাবে। এ ছাড়া শীতে দাওয়াত এবং জমকালো অনুষ্ঠানে পরার জন্য বাজারে এসেছে পয়েন্টেড টো শু, ওয়েজেস, প্ল্যাটফর্ম হিল এবং ব্লক হিল।
বাটার জ্যেষ্ঠ ব্র্যান্ড কর্মকর্তা ফাহিমা পারভীন বললেন, নিমন্ত্রণে পরার জন্য পাথর দেওয়া এবং রংচঙা ব্যালেরিনা ভালো হবে। জমকালো অনুষ্ঠানে উঁচু জুতা বেছে নিতে পারেন আর সারা দিন পরার জন্য ফ্ল্যাট পাম্প শু। এই সময়ে জুতার রঙে কালো, লাল, মেরুন, কমলা, সোনালিই বেশি দেখা যাচ্ছে। নাগড়ার মধ্যে কিছু দেখা যাচ্ছে ট্রেন্ডি নকশার, কিছু আবার সম্পূর্ণ ঐতিহ্যবাহী কাজের। পমপমের ব্যবহার খুব একটা চোখে পড়ছে না।
এমন সব জুতা পাবেন ঢাকার লা মোড, বাটা, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মলসহ যেকোনো জুতার দোকানে।