এই ৭ লক্ষণ অবহেলা করবেন না

.
.

বদহজম, পেটব্যথা, গ্যাস্ট্রিক—এসব তো খুবই সাধারণ ও পরিচিত সমস্যা। প্রায় সবারই এসব হয়। জেনে রাখা ভালো, অনেক সময় মারাত্মক রোগের লক্ষণ খুব সাধারণ হতে পারে। খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন জটিল রোগের কিছু পরিচিত লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন:

খাবারে প্রচণ্ড অনীহা

খাওয়ার সময় খাবার আটকে যাওয়া কিংবা গলার কোনো অংশে খাবার বাধা পাচ্ছে বলে মনে হওয়া, ঢোক গিলতে ব্যথা হওয়া

ক্রমাগত বমি। বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া

নরম, কালো পায়খানা হওয়া। স্বাভাবিক বা নরম পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া (কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কখনো কখনো রক্তক্ষরণ হতে পারে, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই)। পায়খানা একেক দিন একেক রকমের, যেমন কখনো নরম, কখনো খুব শক্ত


রক্তশূন্যতার লক্ষণ, যেমন অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা, বুক ধড়ফড় করা, অবসন্ন হয়ে পড়া এবং মাথা ঘোরানো, শারীরিক দুর্বলতা ও শরীর সাদাটে হয়ে যাওয়া


নিজের শরীরের ওজন যত ছিল, তার ৫ শতাংশের বেশি কমে যাওয়া


হঠাৎ করে প্রচণ্ড পেটব্যথা শুরু হওয়া কিংবা দীর্ঘ সময় ধরে পেটব্যথা স্থায়ী হওয়া।
এ ধরনের উপসর্গগুলো আমরা প্রায়ই এড়িয়ে যাই কিংবা বিশেষ গুরুত্ব দিই না। কিন্তু খুব সাধারণ হলেও এগুলোই হতে পারে খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্রের জটিল রোগের পূর্ব লক্ষণ। হজম ও পরিপাকে আকস্মিক পরিবর্তন, বিশেষ করে অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস, অরুচি ও রক্তশূন্যতা একটা বিশেষ বয়সের পর অবশ্যই অবহেলা করা যাবে না। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, আয়রন ক্যাপসুল, রুচি বাড়ানোর জন্য ভিটামিন খেয়ে অনেক সময় সঠিক রোগনির্ণয়ের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অকারণ দেরি হয়ে যায়। তাই এ ধরনের উপসর্গগুলো অবহেলা না করে বরং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো।

মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল