বর্ষায় যত অসুখ-বিসুখ

.
.

বর্ষা মৌসুমে দেশে কিছু রোগের প্রকোপ বাড়ে। কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস ইত্যাদি পানিবাহিত রোগ এবং ডেঙ্গুজ্বর ও অন্যান্য জ্বরে আক্রান্ত হয় লোকজন। এ ছাড়া আবদ্ধ নোংরা পানি থেকে হতে পারে খোসপাঁচড়াসহ ত্বকের নানান সমস্যা। এসব থেকে রেহাই পেতে কিছু বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
এ সময় বিশুদ্ধ সুপেয় পানির অভাব দেখা দেয়। তার ওপর জলাবদ্ধতার জন্য শহরের পানি অনেক সময় দূষিত হয়ে পড়ে। তাই ভালো করে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করে পানি পান করুন। বাইরের খোলা পানি, শরবত ইত্যাদি কখনো নয়। তার ওপর এখন রমজান মাস, ইফতারের সময় বাইরে থাকলে বিশুদ্ধ পানি কিনে পান করতে হবে। অথবা বাড়ি থেকে পানি সঙ্গে নিয়ে বেরোতে পারেন। বাসনপত্র ধোয়ার কাজেও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।
রমজান মাসে বাইরে থেকে কেনা খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। রাস্তার পাশে যে ইফতারসামগ্রী বিক্রি হয়, সেগুলো কতটুকু নিরাপদ—জেনে নিন। টাইফয়েড, কলেরা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা এড়াতে বাইরের খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন।
বাড়ির আশপাশের জলাবদ্ধতা নিজেই যতটুকু সম্ভব দূর করার চেষ্টা করুন। টবের নিচে, এসির নিচে, বারান্দায় বা ছাদে, গ্যারেজে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। রাস্তায় বা ড্রেনে জমে থাকা পানি অপসারণে পাড়ার সবাই মিলে উদ্যোগ নিন। এ রকম আবদ্ধ পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণুবাহী অ্যাডিস মশা বসবাস করে।
বৃষ্টি এড়াতে ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার করুন। কখনো ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে গা-মাথা ভালো করে মুছে নিন, কাপড় পাল্টে নিন। দরকার হলে গোসল সেরে নিন। রাস্তার নোংরা আবদ্ধ পানিতে খালি পায়ে হাঁটবেন না। সংস্পর্শে চলে এলে তাড়াতাড়ি পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত-পা ধুয়ে নিন। নোংরা জামাকাপড়ও ভালো করে ধুতে হবে। যখনই একটু রোদ ওঠে, দরজা-জানালা খুলে তাজা বাতাস ঢুকতে দিন। স্যাঁতসেঁতে আধা ভেজা কাপড়চোপড় পরবেন না।