চাটগাঁর ভর্তা

ফাহা হোসাইন। চট্টগ্রামে থাকেন। পড়াশোনা শেষ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে। কর্মজীবন শুরুর অপেক্ষায় আছেন। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী তিনটি ভর্তার রেসিপি তুলে ধরেছেন।

বালা চাও ভর্তা

বালা চাও ভর্তা
বালা চাও ভর্তা

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং দেশের বেশির ভাগ সুপার শপগুলোতেই কৌটাজাত অবস্থায় পাওয়া যায় বালা চাও। এটি মূলত চিংড়ি শুঁটকি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ভাজা রসুনের একটি মিশ্রণ।
যদিও বালা চাও তৈরি অবস্থাতেই পাওয়া যায়, স্বাদ বাড়াতে আপনি যোগ করতে পারেন পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ ও সর্ষের তেল।

চিংড়ি শুঁটকি ভর্তা
চিংড়ি শুঁটকি ভর্তা

চিংড়ি শুঁটকি ভর্তা
উপকরণ: চিংড়ি শুঁটকি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ২টি, রসুন কুচি ১ কোয়া, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, সর্ষের তেল ১ চা-চামচ বা পরিমাণমতো।
প্রণালি: প্রথমে সবগুলো উপকরণ রুটির তাওয়ায় অল্প আঁচে টেলে নিন। সবগুলো উপকরণ ভেজে পরিমাণে আধা হয়ে এলে পানি ছাড়া ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন অথবা পাটায় পিষে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চিংড়ি শুঁটকি ভর্তা।

বৈতাশাকের ভর্তা
বৈতাশাকের ভর্তা

বৈতাশাকের ভর্তা
উপকরণ:
বৈতাশাক ৫ থেকে ৬ মুঠো, লালশাক ১ মুঠো, কপিশাক ১ মুঠো, পেঁয়াজ কুচি ১টি, কাঁচা মরিচ ফালি ৪টি, রসুন কুচি ৩ কোয়া, লবণ আধা চা-চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: চুলায় পাতিলে সব শাক একসঙ্গে দিয়ে দিন। বাড়তি পানি দেবেন না। এতে পেঁয়াজ কুচি অর্ধেকটা, কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নরম করুন। নরম হয়ে এলে ডালঘুটনি দিয়ে থেঁতলে নিতে হবে। ভর্তার মতো হয়ে এলে অন্য একটি পাতিলে তেল দিয়ে ভর্তাটি বাগার দিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ঘোষণা
পাঠকদের হাতের রান্না দিয়েই সাজানো হয় পাঠকের রেসিপি বিভাগটি। আপনি যদি দেশে বসবাস করেন, আপনার জন্মস্থান বা যে জায়গায় বড় হয়েছেন সেখানকার বিশেষ কোনো রান্নার রেসিপি আমাদের পাঠান। হতে পারে মিষ্টি, ঝাল, টকজাতীয় হালকা বা ভারী খাবার। হতে পারে বিশেষ কোনো শরবত। আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন, তাহলে সেখানকার স্থানীয় রান্নার রেসিপি দিন। রেসিপিগুলো বাংলায় লেখা হতে হবে। অবশ্যই বেশি রেজল্যুশন ছবিসহ পাঠাতে হবে।
পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]