অধ্যাত্ম চেতনায় নজরুল

কাজী নজরুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

...দেখতে দেখতে অনেক দিন হয়ে গেল। ১৯৭৬ সাল। জুলাই মাসের শেষ। আমি তখন নরেন্দ্রপুরে। রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিক ছাত্র। থাকি ব্রহ্মানন্দ ভবনে। প্রাচীন গুরুকুল রীতিতে তৈরি এই আশ্রম। স্বামী লোকেশ্বরানন্দজির ভাবাদর্শের বাস্তবরূপ। সবুজে ঘেরা উন্মুক্ত বিদ্যানিকেতন। ভালোই লাগছে, শান্ত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। ঘড়ি ধরে শৃঙ্খলা, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা। ঘণ্টা বাজলে আলো নিভিয়ে ঘুমানো, ঘুম থেকে ওঠা। সকাল-সন্ধ্যা প্রার্থনা। পড়াশোনা, নাওয়া-খাওয়া, ক্লাসে যাওয়া, খেলাধুলা—সবই নিয়মমাফিক। সহপাঠী-সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারী পরিমণ্ডলে একসঙ্গে থাকার মজাই আলাদা। ইতিমধ্যে ‘বিদ্যার্থীব্রত’ হয়ে গেছে। আমরা দীক্ষিত বৈদিক মন্ত্রে। ‘ছাত্রানাং অধ্যয়নং তপঃ’ একমাত্র ধ্যান, জ্ঞান।

এমন ছন্দময় জীবনে হঠাৎ ছন্দপতন। ২৯ আগস্টের বিকেল। খবর পেলাম, কাজী নজরুল ইসলাম আর নেই। মহাপ্রয়াণ ঘটে ঢাকায়। উদাসী মন পাড়ি দিল বাল্যস্মৃতির রোমন্থনে। ‘ভোর হোলো দোর খোলো’র জগতে। তারপর ‘কাঠবেড়ালী’ কিংবা ‘দেখবো এবার জগৎটাকে’ পড়ার বয়সও পেরিয়ে গেল একদিন। কখন অজান্তে ‘বিদ্রোহী কবি’র পদার্পণ আমার জীবনে। সেই বিখ্যাত কবিতা ‘বল বীর—/ বল উন্নত মম শির’। অথবা ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’। কী বলিষ্ঠ ভাষা, অসাধারণ ছন্দ! আমার কিশোর মনে দিয়েছিল নাড়া। তাই তো কবির মৃত্যুসংবাদে নামল বিষাদের ছায়া। তাঁর সৌম্য বাবরি চুলের মুখটা ভেসে উঠল ভারাক্রান্ত মনের মণিকোঠায়।

জীবদ্দশার শেষার্ধে নজরুলকে আমরা পেয়েছিলাম ‘ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি’র ভূমিকায়। শেষ ৩০ বছর তিনি মূলত বাক্‌রুদ্ধ ছিলেন। সময়ের কাঁটা আরও আড়াই দশক পিছিয়ে দিল, সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে তাঁর আবির্ভাব ধূমকেতুস্বরূপ। কালবৈশাখী ঝড়ের মতো, বিজয়ীর উল্লাসে। ঝঞ্ঝার মঞ্জীর বাজিয়ে। ‘ধূমকেতু’ পত্রিকা প্রকাশ থেকে শুরু করে অদম্য প্রয়াসে টানা ২৫ বছরের লেখনীতে বাংলা ভাষাকে করেছেন জীবন্ত, সমৃদ্ধ। বাংলার সাহিত্যগগনে এক চির উজ্জ্বল নক্ষত্র। অগণিত মৌলিক রচনার উৎসধারা সৃজনীশক্তির মহিমায় আপন বেগে বহমান। তাঁর কবিতা-গান ও সংগীতজীবনের বিবর্তন বৈচিত্র্যময়। অভিনব সুরে সাবলীল ছন্দে মণি-মুক্তায় গাঁথা। একের পর এক অমূল্য রত্নভান্ডার দিলেন উজাড় করে দুহাতে বিলিয়ে। তারপর ‘সুপারনোভা’র মতো শেষবার জ্বলে সৃষ্টির জগৎ থেকে একদিন নিজেকে গুটিয়ে নিলেন পুরোপুরি।

আবির্ভাবের মতোই নজরুলের নীরব প্রস্থান অপ্রত্যাশিত, মর্মাহত। প্রবেশ করলেন অন্য এক জগতে। সাংসারিক মায়ার বন্ধন কাটিয়ে অজানা সাধনায় হলেন মগ্ন। মৌন সাধুর মতোই। আপাতদৃষ্টিতে নজরুলের খ্যাতি বিদ্রোহী কবি, গীতিকার, সুরকার, গায়ক ও দেশপ্রেমিক হিসেবে। কিন্তু প্রাণোচ্ছ্বল ও আমুদে এই ব্যক্তিসত্তার অন্তরালে প্রচ্ছন্ন ছিল আরেক রূপ-গভীর দর্শনচেতনা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মতোই অন্তরে তিনি ছিলেন প্রকৃত সাধক, অধ্যাত্মপরায়ণ। ‘ভরা থাক স্মৃতিসুধায়’ নজরুলের আধ্যাত্মিক চিন্তা, মননশীলতা ও ভাবোদ্দীপক রচনাসম্ভার।

পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষের আবির্ভাব হয়, যাঁরা ছোটবেলা থেকেই গেরুয়াধারী একটা উদাস মনকে সযত্নে লালন করেন। সময়ে সেই গেরুয়া মনটিই তাঁদের করে তোলে যোগী। অনেক আলোর মধ্যেও তাঁরা অন্ধকারকে ভোলেন না। অফুরন্ত হাসি-আনন্দের মধ্যেও থাকে দুঃখের অনুভূতি। বহু জনারণ্যের মধ্যেও হারান না মনের গভীর নিঃসঙ্গতা। এমনই এক নীরব সাধক নজরুল। নতুন যুগের নতুন যোগী তিনি। আজীবন প্রচার করেছেন জাতিধর্ম-নির্বিশেষে একতার বেদমন্ত্র, সাম্যের গান, মানুষের জয়গান। যদিও আপাতদৃষ্টিতে যোগী বা ধর্মপ্রচারকের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যায়নি কখনো।

কাজী নজরুল ইসলাম

নজরুলের সাধনা মৌলিক সুরের ঝরনায়। অসামান্য গীতিকার, সুরকার ও সুরেলা-দরদি গায়ক তিনি। সংগীতের অমূল্য খনি, অসংখ্য সুরের স্রষ্টা। তাঁর রচিত গানে ও সুরে ভরপুর বাংলার আকাশ-বাতাস। লিখেছেন অজস্র গান। নানা ভাবের, বিচিত্র রাগের। কাব্যগীতি, ভক্তিমূলক, গজল, ভজন, শ্যামাসংগীত ও কীর্তন। ইসলামি, লোকগীতি, দেশাত্মবোধক, আধুনিক ও হাসির গান। তিন হাজারের মতো। নজরুলই প্রথম, যিনি আরবি ও মধ্যপ্রাচ্যের সুরের সংমিশ্রণে বাংলা গানকে করেন সমৃদ্ধ, উৎকৃষ্ট। বাংলায় গজলের হাতেখড়ি তাঁরই মাধ্যমে। আবার গজলের পথ ধরেই গানের জগতে অনুপ্রবেশ ‘বিদ্রোহী’ কবির। ‘আলগা কর গো খোঁপার বাঁধন’ বা ‘বিরহের গুলবাগে মোর ভুল ক’রে আজ/ ফুট্‌লো কি বকুল’ অথবা ‘আমার যাবার সময় হ’ল/ দাও বিদায়’-জাতীয় গজলগুলো অপূর্ব সুরের নেশায় আমাদের করে মাতাল।

ভারতবর্ষের পুণ্যশ্লোক সাধকদের মতোই জীবনের অন্তর্নিহিত সত্যকে উপলব্ধির সাধনায় নজরুলের মনপ্রাণ ছিল আজীবন উৎসর্গীকৃত। অসামান্য উপহার সুরের মূর্ছনায়, অমৃতময় বাণী আর গানে। ধর্মদর্শনমূলক কাব্যগাথার প্রতিটি ছত্রে এই সত্যের বিমূর্ত প্রকাশ মধুর মহিমায়। তাই কী স্থির বিশ্বাসে, কী ধীর আনন্দ-উচ্ছ্বাসেই না তিনি জানিয়েছেন অন্তরের আকুতি গভীর ভাবাবেগের সঙ্গে—
‘(মা) একলা ঘরে ডাকবো না আর
দুয়ার বন্ধ ক’রে।
(তুই) সকল ছেলের মা যেখানে
ডাকবো মা সেই ঘরে।’

বাংলার ভাবসাধনার প্রতিমূর্তিও নজরুল। উত্তরসাধক চারণকবি তিনি। বাঙালির ধর্ম ও জীবনবোধের বৈশিষ্ট্যগুলো তাঁর মধ্যে যথাযথভাবে বিমূর্ত। জগজ্জননীকে ‘মা’ রূপে পাওয়ার একান্ত আকুতি যুগে যুগে বাংলার কবি ও সাধকদের অনুপ্রাণিত করেছে। আর এই ‘মা’-ই ছিলেন নজরুলের অধ্যাত্ম সাধনাপূত জীবনের সর্বস্ব। মায়ের জন্য ব্যাকুল। পার্থিব কামনা বিলীন করে তাই তো অন্তরের সরল অভিব্যক্তি জানিয়েছেন—
‘দীনের হতে দীন অধম যেথা থাকে অহংকারের প্রদীপ নিয়ে স্বর্গে
ভিখারিনি বেশে সেথা দেখেছি মাকে খুঁজি,
মোর মাকে। (মা) ফেরেন ধূলির পথে
(মোর) অন্নপূর্ণা মাকে। যখন ঘটা করে পূজি।’
এ সর্বজনীন উদার ভাব ভারতীয় ভাবধারার প্রকৃত অনুসরণ। ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে ব্রহ্মকে, শিবের মধ্যে জীবকে উপলব্ধি করা। আরাধনা করা, সেবা করা। নজরুলের অনবদ্য শ্যামাসংগীতের সঙ্গেও আমরা পরিচিত। ‘কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন’ বা ‘মহাকালের কোলে এসে গৌরী হ’ল মহাকালী’, অতুলনীয় ভাবের মায়াজালে পূর্ণ। ১৯৩৬ সালে শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মশতবার্ষিকীতে ঠাকুর ও স্বামীজিকে নিয়ে দুটি অপূর্ব ভক্তিমূলক গান রচনা করেন।
‘পরমগুরু সিদ্ধযোগী মাতৃভক্ত যুগাবতার। ‘জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসীবীর চীর-গৈরীক-ধারী।
পরমহংস শ্রীরামকৃষ্ণ লহ প্রণাম নমস্কার। জয় তরুণ যোগী শ্রীরামকৃষ্ণ-ব্রত সহায়কারী।
জাগালে ভারত-শ্মশানতীরে, অশিব-নাশিনী মহাকালীরে, যজ্ঞাহুতির হোম-শিখাসম
মাতৃনামের অমৃতনীরে ভাসালে নিজ ভারত আবার। তুমি তেজস্বী তাপস পরম।
সত্যযুগের পুণ্যস্মৃতি, আনিলে কলিতে তুমি তাপস, ভারত অরিন্দম, নমো নমঃ, বিশ্ব-মঠ-বিহারী।
পাঠালে ভারত দেশে দেশে ঋষি-পুণ্য-তীর্থ-বারি-কলস। মদগর্বিত বল-দর্পীর দেশে মহাভারতের বাণী
মন্দিরে মসজিদে গীর্জায়, পূজিলে ব্রহ্মে সম শ্রদ্ধায়, শুনায়ে বিজয়ী ঘুচাইলে স্বদেশের অপযশ-গ্লানি।
তব নাম-মাখা প্রেম নিকেতনে ভরিয়াছে তাই ত্রিসংসার।’ নব ভারতে আনিলে তুমি নব বেদ,
মুছে দিলে জাতি ধর্মের-ভেদ -
জীবে ঈশ্বরে অভেদ আত্মা জানাইলে উচ্চারি।’
ঋষি অরবিন্দের মতো নজরুলও কবি ও যোগী। নিবিড় অন্ধকারে কখনো একা একা হেঁটে দক্ষিণেশ্বরে ধ্যানে বসেছেন। কখনোবা ভাবে বিভোর হয়ে ভক্ত হরিদাসের মতো নামসংকীর্তন করেছেন। এবার কখনো অনাবিল হাসির কীর্তনও লিখেছেন:
‘আমার হরিনামে রুচি কারণ পরিণামে লুচি ‘রাধা-বল্লভী’ লোভে পূজি রাধা-বল্লভে
আমি ভোজের লাগি করি ভজন। রস-গোল্লার লাগি আসি রাস-মোচ্ছবে!
আমি মালপোর লাগি তল্পী বাঁধিয়া আমার গোল্লায় গেছে মন রস-গোল্লায় গেছে মন!’
এ কল্পলোকে এসেছি মন।

প্রসঙ্গক্রমে, একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করা যেতে পারে। সে যুগে কলকাতার শ্যামবাজারে নামকরা কে বি ক্লাব। কর্মকর্তা ও সদস্যরা বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিল্পের বিশিষ্ট দিকপাল। যেমন হাসির জগতে বিখ্যাত গায়ক নলিনীকান্ত সরকার ও সারদা গুপ্ত। (অভিনেতা) জহর গাঙ্গুলি, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, ঔপন্যাসিক তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রতিবারের মতো দোলের উৎসবে সেবার কে বি ক্লাব সারা রাত গানের জলসার আয়োজন করেছিল। উঠানের বিরাট নাটমঞ্চে ফুলে ঢাকা রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি দোলনায় দুলছে। গান গাওয়ার জন্য নলিনীকান্ত নিয়ে এলেন বন্ধুবর কবি নজরুলকে। নাটমঞ্চে বসে দোলনায় রাধাকৃষ্ণের অজস্র ফুলের সমারোহের দিকে তাকিয়ে ভাবে বিভোর পরম যোগী। আকুল আন্তরিকতায় তৎক্ষণাৎ সৃষ্টি করলেন এক অনবদ্য গানের কলি। উঠে দাঁড়িয়ে অর্ধনিমীলিত চক্ষে কবি গাইলেন অসাধারণ সুরে:
‘আমি শ্যামা মায়ের কোলে চড়ে
জপি শ্যামা-মায়ের নাম।
শ্যামা হলেন মোর মন্ত্র-গুরু
আর ঠাকুর হলেন রাধার শ্যাম।’
সাধক নজরুল পূজা করেছেন অন্তর্যামীর। ‘অন্তরে তুমি আছ চিরদিন, ওগো অন্তর্যামী।’ সংগীতের ডালি সাজিয়ে তাঁর সাধনভজন। আরাধ্য দেবদেবীকে পুষ্পাঞ্জলি। ‘অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে।’ সংগীতই তাঁর দিব্যদর্শন অনুভূতি ব্যক্ত করার মাধ্যম। কবির স্বগতোক্তি, ‘আমি আমার আনন্দ-রস-ঘন স্বরূপকে দেখেছি। কি দেখেছি, কি পেয়েছি আজও তা বলবার আদেশ পাইনি। হয়তো তা গুছিয়ে বলতেও পারবো না। তবু কেবলই মনে হচ্ছে, আমি ধন্য হলাম, আমি বেঁচে গেলাম। আমি অসত্য হতে সত্যে এলাম, তিমির হতে জ্যোতিতে এলাম, মৃত্যু হতে অমৃতে এলাম।’ এ তো উপনিষদেরই শাশ্বত বাণী: ‘অসতো মা সদগময়’-র নিগূঢ় উপলব্ধি। বৈদিক প্রতিমূর্তিতে ভাস্বর নজরুল বাঙালির মূর্ত প্রতীক, অজেয় মহামানব।

আজ শারদোৎসব। বাঙালির বড় আনন্দের দিন। দিকে দিকে শঙ্খধ্বনি। মঙ্গলময়ী দেবী চিন্ময়ীকে শুধু মৃন্ময়ী রূপেই নয়, আপনজনের মতোই পাওয়ার বাসনা, সাধনা। ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নম নমঃ।’ মঙ্গলময়ী দেবী দুর্গা, নজরুলের আরাধ্য জগজ্জননী অন্নপূর্ণা বা শ্যামা মায়ের কাছে আমাদেরও একান্ত প্রার্থনা—শুভবুদ্ধি দাও, শান্তি দাও। দাও দিব্যচেতনা, অজ্ঞানের তমোনিশা করো দূর। দাও প্রেরণা, উপলব্ধি করার ক্ষমতা। জীবনে যেন একটা ‘দাগ’ রেখে যেতে পারি।

লেখক: সজল দাস নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্র। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার সায়েন্সে ডক্টরেট উপাধিপ্রাপ্ত। বর্তমানে আমেরিকায় মিসৌরি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ড্যানিয়েল সেইন্ট ক্লেয়ার চেয়ার প্রফেসর পদে নিযুক্ত। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, শিক্ষানুরাগী ও ছাত্রদরদি ড. দাস অনুপ্রাণিত স্বামী বিবেকানন্দ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের ভাবধারায়।