কতগুলো ভেজা চোখ আর একটি স্বপ্ন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গল্পের যেমন সৌন্দর্য আছে, তেমনি আছে বাস্তবতা। এই দুই মিলেমিশে যে কোটি জীবনের গল্প, সেখান থেকে একটি জীবনের কথা বলব আজ।

কঠিন বাস্তবতা মানুষকে যখন গিলে খেতে চায়, তখন অবচেতন মন পরাবাস্তবতায় আশ্রয় নিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। এমন অনেক কষ্ট থাকে যা কোনো দিন কাউকে বলা যায় না, বলা হয় না অথবা হৃদয়ের স্পন্দন বুঝে নেবার মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজের কষ্টগুলো চেপে রেখেই হাসতে হয়। হাসলে মুখের প্রচ্ছদে পরিবর্তন ঘটে ঠিকই, তাতে মনের হাহুতাশ কমে না। দিনের আলোতে কান্নার সময় থাকে না। রাতের অন্ধকারে বালিশে লেগে থাকা কান্নার দাগ জমে জমে বিষাক্ত সাপের মতো দেখায় কোনো একদিন। পিটপিট করে আলোর মতো জ্বলতে থাকা আশার মুখে, হাতের আড়াল দিয়ে রাখতে হয়, যেন আশাটুকু নিভে না যায়। ওই আশাটুকুর বুকে মুখ গুজে বেঁচে থাকে দেশ ছেড়ে আসা লাখ লাখ প্রবাস জীবন।

যে জীবন মানুষের তা পাখিদের নয়। আবার যে জীবন পাখিদের তা গাছেদের নয়। তবুও সবই তো জীবন। ভিন্ন স্বাদ, রং, রূপ, প্রেম আর ভালোবাসায় গর্বিত।

অনেক দিন ধরে বিদেশে আসার জন্য অস্থির হয়ে ছিল সালাউদ্দিন। এই অস্থিরতা ছিল সংসারের প্রয়োজনে। একটি করপোরেট অফিসে ছোট চাকরি করেন সালাউদ্দিনের বাবা। ক টাকাই বা বেতন। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় প্রতি মাসেই। সংসার চালানো মানে—তিনবেলা ভাতের ব্যবস্থা করা। দুই ঈদে ছেলেমেয়েদের প্যান্ট শার্ট, সালোয়ার কামিজ আর স্ত্রীর জন্য চারটি মোটা সুতোর শাড়ি। এর বেশি কোনো দিনই কারও জন্য কিছু করতে পারেননি হামেদ সাহেব।

বাড়তি কোনো খরচের আভাস পেলেই মলিন হয়ে যেত হামেদ সাহেবের মুখ। নিচু কণ্ঠ বলতেন, অনুষ্ঠানে যেতেই হবে, না গেলে হয় না? সালাউদ্দিন তোমার জুতো জোড়া এ মাসেই কিনতেই হবে বাবা? অবাক হয়ে বাবা মুখের দিকে তাকিয়ে থাকত সালাউদ্দিন।

সারা দিন অফিস করার পর একটু বাড়তি আয়ের জন্য বাবা যখন টিউশনি শেষ করে বাড়ি ফিরতেন, তখন বাবার সমস্ত মুখ জুড়ে থাকত ক্লান্তি। তবুও মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মলিন হাসি হাসতেন বাবা। চেয়ার টেনে দিয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি এনে মা বলতেন, একটু জিরিয়ে নেন। এক কাপ চা করে দিই।
মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা জিজ্ঞেস করতেন, বাসায় চিনি আছে?
কোনো কথা বলতেন না মা। মাথা নিচু করে অন্য ঘরে চলে যেতেন। সালাউদ্দিন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত। কিন্তু কিছুই বলতে পরত না। বাবা বলতেন, মন দিয়ে লেখাপড়া কর।
কিন্তু লেখাপড়ায় মন বসত না সালাউদ্দিনের। বিদেশে গিয়ে কত কী করেছে লিপু ভাইয়েরা। কই তাদের তো অত লেখাপড়া নেই। তখন কেবল এসএসসি পাস করে একটি সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে সালাউদ্দিন। দেশ জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা। বড় দুই দলের হানাহানি। শহর গ্রাম সব জায়গা ইয়াবা ছড়িয়ে পড়েছে। কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের মধ্যে নেশা ছড়িয়ে পড়ছে। বাবা–মা সালাউদ্দিনকে নিয়ে খুবই ভাবনায় থাকেন।
এমনি একটি সময় সালাউদ্দিন মাকে বলে, আম্মা আমি বিদেশে যাব।
প্রথমে অবাক হয়ে সালাউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন মা। আর কথাটা শুনে আনমনা হয়ে গিয়েছিলেন বাবা। গ্রিলের ফাঁকা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকক্ষণ।
তারপর থেকেই একটি ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছিল সবার মধ্যে। লিপিও বড় হচ্ছে দিন দিন। দুই বছর পর অনার্স ফাইনাল। বিয়ের বয়স হচ্ছে। আরেকটি ঘর তৈরি করা দরকার। মেয়ের বিয়েতেও তো বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হবে। ছেলেকে বিদেশে পাঠালে ভালোই হবে। টাকা ছাড়া কী হয় আজকের দুনিয়ায়। এ দেশে সৎ থেকে মানুষের উপহাস আর দয়া ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। সবকিছুতেই টাকা লাগে। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে কিছুদিন পর না খেয়ে মরতে হবে।
কিন্তু বিদেশে গেলই বা কোন দেশে যাবে। ইউরোপ–আমেরিকার যেতে অনেক টাকা লাগবে। তা ছাড়া সেখানে বৈধ পথে যাওয়া তো সহজ নয়। আর অত টাকাও জোগাড় করা সম্ভব হবে না। সৌদি আরব যেতে পারলে ভালো হতো। রাসুলের (সা.) দেশ। ইচ্ছে করলেই মক্কা মদিনা যেতে পারবে। নামাজ রোজা করার পরিবেশ আছে। আচার ব্যবহার ভালো থাকবে।
সমস্যা হলো তখন সৌদি আরবে ভিসা বন্ধ ছিল। তবে শোনা যাচ্ছে ভিসা আবার চালু হবে। বাংলাদেশ সরকার থেকেও নানা রকম খবর পাওয়া যাচ্ছে, ভিসা চালু হওয়ার ব্যাপারে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপ করতে থাকেন হামেদ সাহেব। সাহায্য চান। কেউ বলেন, এতটুকু ছেলে গিয়ে কি করবে। সেখানে কনস্ট্রাকশন সাইডে কাজ। আবার কেউ কেউ আশা দিয়ে বলেন, লাগলে যাওয়ার সময় দশ–বিশ হাজার দেওয়া যাবে। এভাবে এগোতে থাকে। হঠাৎ শোনা যায় সৌদি আরবের ভিসা চালু হয়েছে। আবার লোক যেতে শুরু করেছে। ভিসার দামও কমেছে, মাত্র ছয় লাখ টাকা হলেই যাওয়া যাবে। এ যেন হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো ঘটনা!
কিন্তু কী কারণে যে ভিসার দাম কমে গেল তা বুঝতে চাইনি কেউ। সালাউদ্দিনও তাদের মধ্যে একজন। অনেকেই মনে করে-বিদেশে গেলেই বুঝি বস্তাভরা টাকা। আবার অনেকেই জানে, সৌদি আবার সেই আগের মতো নেই। অর্থনীতি অবস্থা চরম খারাপ। বড়বড় সব প্রজেক্ট বন্ধ, পাশের দেশের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। দেশের ভেতরেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার।
কিন্তু এসব কানে তোলে না অনেকেই। ভাবে ও দেশে গেলে একটা কিছু ব্যবস্থা হবে। যে লোকগুলো ভিসা বিক্রি করে তারাও নানা রকম সুযোগ-সুবিধার কথা বলে। কিন্তু সৌদি আরবে আসার পর বাস্তব ঘটনা চোখে পড়ে। যে সব লোক আশা দিয়েছিল তাদের চেহারাও বদলে যায়। শুধু আকাশটাকে মনে হয় আপন। দেখতে ঠিক বাংলাদেশের মতোই।
প্রায় সব টাকা ঋণ করে সৌদি আরবে এসেছে সালাউদ্দিন। বিদায় নেবার সময় মাকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদেছিল। মুখে কিছুই বলতে পারেনি। বুকের ভেতর একটি স্বপ্নঘর তৈরি করেছিল। টাকা রোজগার করে মায়ের জন্য ভালো শাড়ি কিনে দেবে। কোনো দিন একটি ভালো শাড়ি পরতে পারেননি মা। বোনের বিয়েতে অনেক টাকা খরচ করবে। বাবাকে আর এত কষ্ট করতে দেবে না। সংসারে আর কোনো অভাব থাকবে না। ছোট একটি বিল্ডিংও করতে হবে। বাবা–মা থাকবেন সেই ঘরে। ছোট ভাইকে ভালো স্কুলে পড়াতে হবে। টাকা দরকার।
সব সহ্য হয়, শুধু মায়ের কান্না আর বাবা মলিন সহ্য হয় না সালাউদ্দিনের। সবচেয়ে আপন এই মানুষগুলো মুখে হাসি এনে দিতে পারলে, অত পড়ালেখা করেই বা কি হবে। বিদেশে এসে টাকা রোজগার করে তাদের একটু শান্তি দেওয়া অনেক ভালো।
বাস্তবতার কাছে অনুশোচনা, কান্না আর অনুরোধের কোনো দাম নেই।
সালাউদ্দিন এসে পড়েছে সেই বাস্তবতার কাছে। কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে তার অবচেতন মন আশ্রয় নিতে থাকে পরাবাস্তবতায়। তার মন অদ্ভুত সব স্বপ্নের মধ্যে তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মাঝে দৈব কোনো ঘটনায় হারিয়ে যায় মন। যেন অচেনা কেউ এসে তাকে উদ্ধার করবে। সালাউদ্দিন লক্ষ্য করে, ওই স্বপ্নগুলোকেই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। না হলে এত দিন হয়তো মরে যেত সে। গোটা দেশটাকে মনে হয় মস্ত এক জেলখানা। ইচ্ছে হলেই বাড়িতে ফেরা যাবে না।
সৌদি আরবের অবস্থা যে এতটা খারাপ তা সালাউদ্দিন ভাবতে পারেনি। কোনো কাজ নেই। অনেক দৌড়ঝাঁপ করে কাজ জোগাড় করছে কেউ কেউ, কিন্তু বেতন নেই। পাঁচ ছয় মাস হয়ে যাচ্ছে বেতন পান না। কেউ কেউ আবার কিছু কিছু বেতন পান, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম। যারা কোনো কোম্পানি, করপোরেট অফিস, সুপার মার্কেট, হাইপার মার্কেট বা মলে স্থায়ী চাকরি করছেন, তারা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা তো বেশি না। বেশির ভাগ মানুষই বাইরে, যে যার মতো কন্সট্রাকশন ফার্মে কাজ করেন। চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না সালাউদ্দিনের।
তার ওপর আকামার ঝামেলা তো আছেই। দুই মাস ধরে এসে বসে আছে, এখনো আকামা পায়নি। যে লোকটি ভিসা দিয়ে নিয়ে এসেছে, তার কাছেই থাকতে হচ্ছে। গাদাগাদি করে দশ জন থাকতে হয় একটি রুমের মধ্যে। আকামা ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। লোকটা বলে দিয়েছে-কেউ বাইরে যাবে না। বাইরে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেলে আমার কোনো দায় নেই। সোজা দেশে চলে যেতে হবে।
আশপাশে অবস্থা দেখে আর পুরোনো লোকের কথা শুনে বুকের ভেতর ভয় ঢুকে যায় নতুনদের। তা ছাড়া সালাউদ্দিনের বয়সই কত। এতটুকু বয়সে দেশ ছেড়ে বিদেশে কতটুকুই বা ধৈর্য আর সাহস রাখতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা কাজ নেই। কষ্টের কথা না হয় বাদই গেল। যেকোনো কাজ পেলেই করতে চায় সবাই।
অনেকটা যুদ্ধের মতো। সামনে যেতে হবে, পেছনে ফেরার মানেই পারাজয়। যে ছেলেটি দেশে পড়ালেখা করেছে, মা বাবার আদরে থেকেছে। এ দেশে এসেই তাকে বিশাল কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়। একটি রুমে পাঁচ–ছয়জন থাকতে হয়। সেখানে রুম শেয়ার, সূর্য ওঠার আগে কাজে চলে যাওয়া, রাতে কাজ থেকে ফেরা, রান্না, কাপড় ধোয়া...আরও যে কত কী! এত সব বর্ণনা করাও যায় না।
এ সবকিছু বাড়িতে বলে না সালাউদ্দিন। শুধু বলে, মা দোয়া করো একটা কিছু হয়ে যাবে।
তিন মাস পরে আকামা পায় সালাউদ্দিন। একটি কাজও জোগাড় হয়। প্লাম্বারের কাজ। বড় প্রজেক্ট। আশায় বুক বাঁধে সালাউদ্দিন। হয়তো বেশ কিছু দিন কাজ চলবে। অনেকেই আবার বলে, সৌদি আরবের এই অবস্থা থাকবে না। ভালো হয়ে যাবে। আগের মতো বেতন পাওয়া যাবে। তখন খুশিতে বুকটা ভরে ওঠে সালাউদ্দিনের। মিথ্যে হলেও শুনতে ভালো লাগে।
কাজ করতে থাকে সালাউদ্দিন। আকামা পাবার পর অন্য রুমে চলে আসতে হয়েছে। সেখানে থাকা খাওয়া নিজের খরচ। হাতে যে কটি টাকা ছিল তা সব শেষ। যে ফার্ম থেকে চাকরিতে গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে কথা ছিল দুই মাস পরে বেতন দেবে। কিন্তু তিন মাস, চার মাস চলে গেছে বেতনের কোনো খবর নেই।
চাকরি ছাড়তেও ভয় হচ্ছে, এখন অন্য কাজ জোগাড় কারা যাবে না। তাই বাধ্য হয়েই কাজ করতে থাকে। পাঁচ মাস পার হয়, বেতন নেই। এখন আর খেতে পারে না সালাউদ্দিন। দুই মাস পর ঘর ভাড়ার টাকা, ছয় মাস পর আবার আকামা বানাতে হবে। বাড়িতে একটি টাকাও পাঠাতে পারেনি। ওদিকে ঋণের টাকা...।
রাতে ঘুম আসে না। মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যায়। সকালে উঠে কাজে যায়। পকেটে এক টাকাও নেই। নাশতা খেতে পারে না। শরীরে শক্তি পায় না। হাঁটতে কষ্ট হয়। যাদের সঙ্গে কাজ করে সালাউদ্দিনের মুখ দেখে তারা বুঝতে পারে।
কেউ একটি রুটি খেতে দেয়। রুটি সামনে নিয়ে কেঁদে ওঠে সালাউদ্দিন। এর চেয়ে দেশে থেকে দুটি গরু লালনপালনও অনেক ভালো ছিল।
দুপুরের খাবার আনতে পারে না সালাউদ্দিন। যাদের সঙ্গে কাজ করে তারা বাংলাদেশি। তারা বলে, তুমি প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেও। তোমার খাবার আনতে হবে না। দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যায় সালাউদ্দিনের। কিন্তু রাতে...।
প্রায় সাত দিন পর আজ মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে সালাউদ্দিন। অন্য একজনের মোবাইল দিয়ে। নিজে একটি মোবাইলও কিনতে পারেনি। মা কোনো কথা বলতে পারেননি, শুধু কেঁদেছেন। তারপর কান্না জড়ানো কণ্ঠে বলেন, বাবা আমার মন কয় তোমার খুব বিপদ। তুমি আইয়া পড়ো।
চোখে পানি নিয়ে হাসে সালাউদ্দিন। বলে, মা নতুন এসেছি...তুমি দোয়া করো। সব ঠিক হয়ে যাবে।
মায়ের কান্না থামে না। মলিন কণ্ঠে কথা বলেন বাবা। সালাউদ্দিনের মন চায় না এখানে থাকতে। কিন্তু এতগুলো টাকা ঋণ। কী করে যাবে। অন্তত টাকাটা যদি তুলতে পারত...। হাজারো হাহাকার বুকে নিয়ে প্রতিদিন কাজে যায়।
সূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে উঠতে হয়। ফজরের নামাজ পড়ে গাড়ি ধরার জন্য ছুটতে থাকে। গাড়িতে বসে বাইরে তাকিয়ে থাকে। এত সুন্দর রাস্তাঘাট, দালানকোঠা। তখনো গোটা শহর ঘুমিয়ে আছে।
পৃথিবীকে আলো দিতে সূর্য ওঠে। ওই সূর্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে হাজারো আশা। একদিন সব ঠিক হবে। কাজ করে টাকা রোজগার করবে। দেশে পাঠাবে। সবার মুখে হাসি ফুটবে। মা আর কেঁদে জিজ্ঞেস করবেন না, বাবা তোর কি খুব বিপদ।
চোখে সামনে সবকিছু ঘোলা হতে থাকে। গাড়ি চলছে। নিজের জামার হাতায় চোখ মোছে সালাউদ্দিন। পাশে বসে থাকা পলাশ সালাউদ্দিনের কাঁধে হাত রেখে বলে, ঘাবড়াইও না। জীবন এমনই। এখন কষ্ট করতেছ, দ্যাখবা আবার সুখের দিন আইব।

কাজী সাইফুল ইসলাম: সৌদি আরবপ্রবাসী।