কেনিয়ায় মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে মিশনে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বিস্তারিত কর্মসূচির মাধ্যমে গত রোববার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন করেছে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন। দিনের শুরুতে হাইকমিশনার মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার মিশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এবং স্থানীয় অতিথিরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে মিশনে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে শহীদ দিবসের ওপর চিত্রাঙ্কন ও তা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শেষ হয়।

ভাষাশহীদের স্মৃতিতে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানোর মাধ্যমে শুরু হয়  আলোচনা অনুষ্ঠান। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি কেনিয়ার স্বনামধন্য কেনিয়াট্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য ও বিদেশি ভাষা বিভাগের শিক্ষক ড. মাইকেল নজুংগা, ড. কেনিথ নুগুরি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাবিষয়ক গবেষক টিমোথি কামাউ অংশ নেন। বক্তারা বায়ান্নর ভাষাশহীদদের অমর অবদান গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন দেশে দেশে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে শহীদ দিবসের ওপর চিত্রাঙ্কন ও তা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এদিকে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কেনিয়াট্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। কেনিয়াট্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কেনিয়ার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আমেনা মোহামেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পল ওয়াইনাইনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সেমিনারে অংশ নেন। সেমিনারে ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইকমিশনার মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ সামাদ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. নুরুন নবী অনলাইনে আলোচনায় অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি