কানাডায় গ্রীষ্মকাল আসছে। প্রায় সাত মাস ঠাণ্ডার কারণে ঘরে থাকার পর কানাডার মানুষ এই গ্রীষ্মে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করছিল। তবে অতিরিক্ত জ্বালানি তেলের দামের কারণে অনেকেই তাঁদের ছুটিতে ঘোরার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছেন।
তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও পণ্য আমদানির খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ভোজ্যতেল, চাল, পাস্তাসহ বিভিন্ন আমদানি করা পণ্য প্রায় দেড় গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশি মালিকানাধীন মুদিদোকানগুলোতেও বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা মাছ, পরোটা, শর্ষের তেল, মুড়ি, শুঁটকিসহ সবকিছুর দাম গত বছরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, তাঁদের পণ্য আমদানির পরিবহন খরচ বেড়েছে। কোভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে তাঁদের পক্ষে ব্যবসা চালানো কঠিন হয়ে যাবে বলেও জানান তাঁরা।
অনেকে ধারণা করছেন, সবকিছুর দাম সহজে কমছে না কানাডায়। এখানে প্রচুর পরিমাণে তেলে মজুত আছে খনিগুলোতে। তবে উত্তোলন অনেক ব্যয়সাপেক্ষ বলে খুব কম তেল উত্তোলন করছে কানাডা। অন্য দিকে রাশিয়ার ওপর তেল আমদানির নির্ভরশীলতা কমিয়ে কানাডা তেল কেনার জন্য অন্য দেশ খুঁজছে।