১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে ডুয়ানির ২০২২-২৩ বছরের জন্য নতুন নির্বাহী কমিটির (এক্সিকিউটিভ কমিটি) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। কোভিড-১৯ ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে সশরীর জনসমাগম ব্যতিরেকে স্বাস্থ্যবিধির কথা বিবেচনায় নিয়ে পুরো অনুষ্ঠান জুমে পরিচালিত হয়। এ অনুষ্ঠানে সর্বাধিক রেকর্ড ১০৫ জন সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথির উপস্থিতিতে নতুন কমিটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বোস্টনের টাফট ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. শওকত আনোয়ার (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) এবং জেনারেল সেক্রেটারি পদে শপথ নেন ড. মো. রওশন আলম। রওশন আলম বর্তমানে কেমব্রিজের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ডিরেক্টর ও ডিপার্টমেন্টাল হেড হিসেবে কর্মরত।
অন্য পদগুলোতে শপথ নেন গ্রেটার বোস্টন ও কানেটিকাট এরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশের কৃতী সন্তান মো. নকীব উদ্দিন (ভাইস প্রেসিডেন্ট), আজাদ হোসেন (অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট), মোস্তফা জামাল আনোয়ার (অর্গানাইজিং সেক্রেটারি), নূর মোহাম্মদ (ট্রেজারার এবং কম্পট্রোলার), ড. জাকারিয়া খন্দকার (এডুকেশন সেক্রেটারি), ড. ফউজিয়া খানম শিল্পী (সোশ্যাল, কালচারাল এবং রিলিজিয়াস), মো. খাইরুল ইসলাম (অ্যালামনাই রিলেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং), মোস্তাফিজুর রহমান (পাবলিক কমিউনিটি অ্যান্ড এক্সটারনাল রিলেশন) এবং রাহিদুর রহমান (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস)।
অনুষ্ঠানসূচি ও সঞ্চালনের গুরুদায়িত্ব অতি নিপুণ ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন মাহমুদ আকতার (ডুয়ানির এক্স-জিএস)। পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করে শোনান শ্রদ্ধাভাজন মো. শাহাজাহান। তারপর বাংলাদেশ ও আমেরিকা উভয় দেশের জাতীয় সংগীত শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও শপথ পাঠ করান মো. শরীফ আহমেদ।
বক্তব্য দেন নিউ ইংল্যান্ডের ডা. এম এ হাকিম (এক্স-প্রেসিডেন্ট, ডুয়ানি)। তিনি সবার কাছে হাকিম ভাই নামে অতিপরিচিত। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইমেরিটাস শওকত আনোয়ার, ড. মো. রওশন আলম, রেজাউল করিম, ড. সাজ্জাদ হোসেন, ড. মউদুদুর রহমান, ড. এ কে এম খায়রুল ওয়ারা, ড. এ টি এম শামসুল হক ইকবাল, ড. মমিন কে উদ্দিন, কাজি নুরুজ্জামান ও ড. ফউজিয়া খানম শিল্পী বক্তব্য দেন।
প্রেসিডেন্ট, জিএসসহ ডুয়ানির নির্বাহী কমিটির সদস্যসংখ্যা মোট ১১। আলোচনা শেষে ডুয়ানির নতুন কালচারাল সেক্রেটারি ফউজিয়া খানম শিল্পীর উপস্থাপনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন করেন এক ঝাঁক বাংলাদেশি শিশু শিল্পী, যারা আমাদের স্বপ্ন ও যুব প্রজন্মের আমেরিকান। পারফরমাররা হলেন মাশরুর (পিয়ানো ন্যাশনাল এন্থেম), মাহিবা (ড্রয়িং অ্যান্ড এক্সপ্লানেশন), নিহা (কবিতা), সাফিনা (গান), প্রিয়তা (গান), সেজা (গান), সামি (কবিতা), নওরিতা (নাচ) এবং বর্ণিল (গিটার)।