শীতার্তদের মধ্যে মানবতার উষ্ণতা ছড়ালেন কোরিয়ার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ইন কোরিয়া (বিএসএকে), দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীসহ সব পেশাজীবী নাগরিকের কাছে পরিচিত নাম। সংগঠনটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই বছরজুড়ে নানা রকম কাজ করে যাচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সামাজিক কাজেও অবদান রাখার চেষ্টা করে থাকে এই সংগঠন। শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যাকবলিত এলাকায় সাহায্য করাসহ দেশের যেকোনো দুর্যোগময় ক্রান্তিলগ্নে সহযোগিতার সব ধরনের চেষ্টা করে থাকে বিএসএকে।
তীব্র শীতের কারণে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বরাবরের মতো এবারও এগিয়ে এসেছে সংগঠনটি। বিএসএকে সামাজিক গণমাধ্যমের সাহায্যে কয়েক দফায় অনুদান সংগ্রহ শুরু করার কথা চিন্তা করে, যেখানে এগিয়ে আসেন কোরিয়ায় অবস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব পেশাজীবী বাংলাদেশি নাগরিক।
প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালেও বাংলাদেশে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় সংগৃহীত অর্থ দিয়ে দেশের হতদরিদ্র মানুষের জন্য কেনা হয়েছিল কম্বল ও সার্জিক্যাল মাস্ক। বিএসএকের স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, নরসিংদী অঞ্চলের প্রায় ২২৬টির মতো পরিবারের কাছে কম্বল ও সার্জিক্যাল মাস্ক পৌঁছানো হয়। শীতবস্ত্র পেয়ে খুশি অসহায় শীতার্ত মানুষ। বর্তমান ও সাবেক কার্যনির্বাহী পরিষদ ( ইটি-আরটি) সদস্যদের সহযোগিতায় শীতবস্ত্র বিতরণের কাজ সক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শুধু শীতবস্ত্র বিতরণ ক্যাম্পেইনই নয়, সংগঠনটির সদস্যদের দ্বারা করোনাকালে সংগৃহীত অনুদান দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ক্রয় করা হয়েছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী।
লেখক: মো. ইশতিয়াক হোসেন খান, প্রতিনিধি সদস্য, বিএসএকে, পিএইডি স্টুডেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব এনভাইরনমেন্ট এন্ড এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, চোন্নাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়া