অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের স্থায়ী হাইকমিশন কার্যালয় নির্মাণপ্রক্রিয়া শুরু

অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য বরাদ্দকৃত জমি
ছবি- সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণের জন্য নকশাকারীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে দেশটির রাজধানী ক্যানবেরার বাংলাদেশ হাইকমিশন। এতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবনের সব নকশা প্রস্তুত ও নির্মাণকাজ তদারকের দায়িত্ব গ্রহণের দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আগ্রহপত্র গ্রহণ করবে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

এর আগে গত ২৮ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) এক সভায় ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণের প্রকল্পটির অনুমোদিত হয়। চ্যান্সারি ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয় করবে। ২০২৫ সাল নাগাদ নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রকাশিত দরপত্র অনুযায়ী চ্যান্সারি ভবনের মোট জায়গার পরিমাণ ৪ হাজার ৯৬৫ বর্গমিটার। তবে মূল ভবনের আয়তন হবে প্রায় ১ হাজার ৭০০ বর্গমিটার, যার ভিত্তি হবে প্রায় ৯০০ বর্গমিটার। বর্তমানে ক্যানবেরার ওমেলি এলাকায় একটি লিজ নেওয়া ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীতে চ্যান্সারি ভবন নির্মিত হলে এটি বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রধান ও স্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ক্যানবেরায় ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ জমিটির প্রতিবেশী হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, পোল্যান্ড, তুর্কি ও ফিলিপাইন দূতাবাস।

তবে বাংলাদেশের মর্যাদাপূর্ণ এ কাজে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথিতযশা স্থপতি ও নকশাবিদদের অংশগ্রহণ করার বিশেষ কোনো সুযোগ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কিছু মানুষ।