আরশিনগরের গল্প-৪

সপরিবারে লেখকের বন্ধু আশিক
ছবি: সংগৃহীত

জীবন ও জীবিকার তাগিদে আরশিনগর থেকে হাজার কিলোমিটার দূরের আরেক আরশিনগর অস্ট্রেলিয়া এসে পড়লাম। যখন অস্ট্রেলিয়া চলে এলাম তখনই জীবনের রূঢ় বাস্তবতাটা চোখের সামনে ধরা পড়ল। স্বজনহীন অজানা–অচেনা পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে সবাইকেই অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না, কিন্তু সেটা সহজ হয়ে গিয়েছিল আরেকজন বুয়েটিয়ানের কল্যাণে। অস্ট্রেলিয়াতে নিজের দক্ষতার বাইরের কাজকে ‘অড জব’ বলে। নিজের দক্ষতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ জোগাড় করতে অনেক সময় কয়েক বছর লেগে যায় তবুও পাওয়া যায় না, কিন্তু আমি মাত্র তিন মাসের মাথায় আমার অধ্যয়নের বিষয়বস্তু পুরকৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটা কাজ পেয়ে গিয়েছিলাম বন্ধু আশিকের সহায়তায়।

পুরকৌশল এখন পর্যন্ত বুয়েটের সবচেয়ে বড় ডিপার্টমেন্ট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার হিসাবে। তিনটা সেকশনে ষাট জন করে মোট এক শ আশি জন প্রত্যেক ব্যাচে। আমি ছিলাম বি সেকশনে। আর আমি যেহেতু ক্লাস করার পর এক মিনিটও ক্যাম্পাসে অবস্থান করতাম না, তাই অন্য সেকশনের বা ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আমার পরিচয়ই ছিল না সারা বুয়েট লাইফে। যে কজন চিনত তারাও আমাকে ইন্ট্রোভার্ট হিসেবেই জানত। আশিকের সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়েছে বলে মনে করতে পারি না। সিডনিতে এসেই আশিকের সঙ্গে আমার সত্যিকারের পরিচয় হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়াতে আসার পর সবাইকে কমবেশি অড জব করতে হয়। আমিও সারা সপ্তাহ একটা বেবি ফুড প্রোডাক্টের কারখানাতে অড জব করি আর বাকি সময়টা নিজের লাইনের চাকরির জন্য আবেদন করি, কিন্তু কোনোভাবেই ব্যাটে–বলে কিছু হচ্ছিল না। তখনই একদিন কাকতালীয়ভাবে আশিকের সঙ্গে পরিচয় হলো। সারা সপ্তাহ হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে সপ্তাহান্তের দিনগুলো সাধারণত বাজার করে, ঘরদোর পরিষ্কার করে সময় কাটে। আর যদিবা একটু অবসর মেলে তাহলে জিরিয়ে নিয়ে পরবর্তী সপ্তাহের জন্য শক্তি সঞ্চয় করি, কিন্তু সেই সপ্তাহে পরিচিত এক বড় ভাইয়ের অনুরোধে ওনাদের একটা অনুষ্ঠানের টিকিট বিক্রি করতে রাজি হয়ে গেলাম।

টিকিট বিক্রি করতে গিয়েই বুঝতে পারলাম সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। টিকিট বিক্রি করতে হচ্ছিল বেশির ভাগই নগদ ডলারে। অস্ট্রেলিয়া আসার পর থেকেই কার্ডের মাধ্যমে সব ধরনের কেনাকাটা করি, তাই তখন পর্যন্ত কোনটা কত ডলারের নোট বা কয়েন সেই বিষয়ে ধারণা ছিল সামান্যই। টিকিট বিক্রির পর তাই ডলার ফেরত দিতে গিয়ে আমার অবস্থা নাকাল। সেটা দেখে একজন ফোড়ন কেটেই বসল, এনেই কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। এর মানে হচ্ছে দেশ থেকে নিয়ে এসেই সরাসরি কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। আমার পাশেই আরও একজন ভদ্রলোক খাবার বিক্রি করছিল। কথায় কথায় পরিচয় হলে জানতে পারলাম উনিও আয়োজকদের একজনের আত্মীয়। ছুটির দিনে এখানে এসেছেন বাড়তি কিছু ডলার আয়ের আশায়।

বন্ধুদের আড্ডা
ছবি: সংগৃহীত

সময়ের পরিক্রমায় ওনার নামটা ভুলে গেছি। আমার নাকাল অবস্থা দেখে আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। উনি বুঝেছিলেন আমি এমন কাজে অভ্যস্ত না, তাই আমাকে বুঝিয়ে দিলেন কীভাবে করলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে। তারপর দুজনে মিলেই টিকিট বিক্রির কাজটা চালিয়ে নিলাম। কাজের ফাঁকে ফাঁকেই কথা হচ্ছিল। সেখান থেকে ওনাকে বললাম, আমি বুয়েটে পড়েছি। শুনে উনি বললেন বাংলাদেশে উনি একটা রিয়েল এস্টেট অফিসে কাজ করতেন। সেখানে ওনার একজন সহকর্মী ছিলেন বুয়েটের। তিনি এখন সিডনিতে থাকেন, খুবই হেল্পফুল। আমি চাইলে উনি আমাকে ওনার মোবাইল নম্বর দিতে পারেন। আমি বললাম, অবশ্যই ওনার নম্বর দেন আর ওনাকে একটু বলে রাখার কথাও বললাম, যাতে আমি ফোন দিলে বিরক্ত না হন।

কথায় কথায় উনি বললেন, সেই বুয়েটিয়ানের নাম সৈয়দ হায়াত, তবে উনি বুয়েটের কোন ব্যাচের ছাত্র ছিলেন, সেটা আর বলতে পারলেন না। আমি খুশি মনে সেই বুয়েটিয়ানের নম্বর নিয়ে নিলাম। পরদিন ছিল রোববার আর অস্ট্রেলিয়ায় ছুটির দিন শনি ও রোববার হওয়াতে মেয়েকে কমিউনিটি বাংলা স্কুলে দিয়ে অবসর সময়ে কল দিলাম। শুরুতে আপনি বলেই সম্বোধন করলাম। পরে দুজন যখন একে অপরের ব্যাচ জিজ্ঞেস করলাম, তখন জানতে পারলাম আমরা একই প্রতিষ্ঠানের, একই বিষয়ের এবং একই ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। নাম বললেন, আশিক। সিডনি আসার পর আমাদের ব্যাচের একজন ছাত্রের নাম বহুবার শুনেছি, সে হচ্ছে আশিক। এটাও শুনেছিলাম যে সে অনেক বেশি হেল্পফুল, কিন্তু আমার সঙ্গে পরিচয় বা তার মোবাইল নম্বর না থাকায় আর তাকে ফোন দেওয়া হয়নি। আশিকের সঙ্গে এভাবে পরিচয় হয়ে যাবে ভাবিনি।

অস্ট্রেলিয়া আসার পর সবাই মোটামুটি গ্রানি ফ্ল্যাট বলে একধরনের বাসায় থাকে। একটা বাড়ির মধ্যে কিছু অংশকে আলাদা করে সেটাকে আলাদা ইউনিট হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয় বা বাসার পেছনে আরও একটা ছোট বাসা বানিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়, সেগুলোকে গ্রানি ফ্ল্যাট বলে। সেখানে জায়গা এবং সুবিধাদি থাকে খুবই সীমিত, তাই বাসায় কোনো অতিথি এলে তাকে বসতে দিয়ে আপ্যায়ন করাই অনেক সময় মুশকিল হয়ে যায়।

যখনই জানতে পারলাম আমরা একই ব্যাচের, তখন থেকেই আমাদের সম্বোধন অবলীলায় তুমিতে চলে এল, যেটা এখন তুই রূপ নিয়েছে। আমি বললাম, অস্ট্রেলিয়া আসা প্রায় তিন মাস হতে চলল কিন্তু লাইনের কাজের কোনো গতি করতে পারছি না। শুনে আশিক বলল, এখানে ব্যাপারগুলো তোমাকে একটু টেকনিক্যালি ডিল করতে হবে বলে ও একে একে বলে চলল, কীভাবে চাকরি খুঁজতে হবে, কীভাবে চাকরির জন্য সিভি জমা দিতে হবে, কীভাবে আবেদন করার পর সেটা ফলোআপ করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষাতে কী কী কথা বলা যাবে আর কী কী কথা বলা যাবে না, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলো সেদিনই। শুরুতে যখন ও ফোন ধরে ছিল, তখন মনে হচ্ছিল ছুটির দিন বলে ও হয়তো একটু বিশ্রাম নিচ্ছিল, তাই কণ্ঠে একধরনের ক্লান্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু যখন কথা শেষ করলাম, তখন ওকে আর অপরিচিত কেউ মনেই হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল বুয়েট লাইফ থেকেই আমি ওকে চিনি।

এর পরের সপ্তাহান্তে আমাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করল, আমি বাসায় আছি কি না। সেটা জানার পর বলল, ও এক ঘণ্টার মধ্যে আমার বাসায় আসবে। আমি থাকি সিডনির সাউথ ওয়েস্টের সবার্ব মিন্টোতে, যেখানে আশিকের বাসা পারামাটা থেকে যেতে ঘণ্টাখানেক লাগে, তাই ও বলেছিল, এক ঘণ্টার মধ্যে আমার বাসায় আসবে। আমি আবার বাসায় কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। ও বাসার সামনের রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে আমাকে আবার ফোন দিল। আমি বললাম, বাসার ভেতরে আসার জন্য, কিন্তু ও কোনোভাবেই রাজি হলো না। আমাকে বলল বাইরে যেতে। আমি তখন বুঝিনি, কিন্তু এখন বুঝি ও আসলে আমাকে অপ্রস্তুত করতে চায়নি, তাই বাসায় আসেনি। অস্ট্রেলিয়া আসার পর সবাই মোটামুটি গ্রানি ফ্ল্যাট বলে একধরনের বাসায় থাকে। একটা বাড়ির মধ্যে কিছু অংশকে আলাদা করে সেটাকে আলাদা ইউনিট হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয় বা বাসার পেছনে আরও একটা ছোট বাসা বানিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়, সেগুলোকে গ্রানি ফ্ল্যাট বলে। সেখানে জায়গা এবং সুবিধাদি থাকে খুবই সীমিত, তাই বাসায় কোনো অতিথি এলে তাকে বসতে দিয়ে আপ্যায়ন করাই অনেক সময় মুশকিল হয়ে যায়।

পরবাসে দ্বিতীয় প্রজন্মের শিশুরা বেড়ে উঠছে
ছবি: লেখক

আমাকে ও বলল, বাসায় কোনো খাতা থাকলে সঙ্গে করে নিয়ে নিতে। আমি খাতাসহ বাইরে আসার পর ও জিজ্ঞেস করল, আশপাশে কোথাও বসার মতো জায়গা আছে? আমি বললাম, মিন্টো শপিং মলে খাবার দোকানগুলোর সামনে বসার জায়গা আছে। শুনে বলল, তাহলে চলো ওখানে গিয়ে বসি। আমরা মিন্টো শপিং মলে বসে ঘণ্টা দুই পড়াশোনা করলাম। ও কখনো ছবি এঁকে আবার কখনো লিখে আমাকে ব্যাপারগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছিল, যার ফলে আমার বুঝতে খুবই সহজ হচ্ছিল। এভাবে পড়াশোনা শেষ করার পর আমি বললাম, এখানে আসার পর গত তিন মাসে একবারের জন্যও চুল কাটেনি, কারণ জানি না নাপিতের কাছে গিয়ে কী বলতে হয়। ও বলল, তুমি সেলুনে গিয়ে শুধু বলবে মিডিয়াম, তাহলেই হবে। বলেই জিজ্ঞেস করল, এখানে সেলুন আছে কি না? হ্যাঁ বলার পর ও আমাকে সঙ্গে করে সেলুনে নিয়ে গেল, তারপর নাপিতকে বলে দিল কী কাট দিতে হবে। এরপর চুল কাটা শেষে আবার বাজারটাও শেষ করে নিলাম, কারণ অন্য সময় বাজার করলে সেই শপিং ট্রলি প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঠেলে নিয়ে আসতে হয়। আশিক গাড়ি করে নামিয়ে দেবে, তাই কেনাকাটাও একটু বেশি করে নিলাম।

আশিকের বাতলে দেওয়া বুদ্ধি অনুযায়ী, চাকরি খুঁজে আবেদন করা শুরু করলাম। ফলাফলও পেলাম হাতেনাতেই। একটা অফিস থেকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক এল। আশিককে বললে ও আগের দিন রাতের বেলা প্রায় ঘণ্টাখানেক আমাকে বুঝিয়ে দিল কেমন পোশাক পরতে হবে, মৌখিক পরীক্ষাতে চালচলন কেমন হবে, কোন কোন কথা বলা যাবে আর কোনো কোনো কথা বলা যাবে না। সেই মোতাবেক প্রস্তুতি নিয়ে আমি পরের দিন মৌখিক পরীক্ষা দিতে গেলাম। মৌখিক পরীক্ষা ভালোই হলো এবং তারা আমাকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করল। তারপর বলল, নিয়োগের আগে তোমাকে একটু ট্রায়াল কাজ দেওয়া হবে, সেটা পারলেই তোমাকে অফার লেটার দেওয়া হবে, শুনে খুশি মনে বাসায় ফিরে এলাম। সার্বিক অবস্থা শুনে আশিক বলল, তার মানে তোমার চাকরি প্রায় হয়েই গেছে। এখানে আগে এভাবে ট্রায়াল কাজ দিত না। সবাইকে বিশ্বাস করেই চাকরি দিত, কিন্তু সবাই ইদানীং মিথ্যা বলা শুরু করেছে বলে ওরা এখন ট্রায়াল কাজ দিয়ে যাচাই করে নেয়। যা–ই হোক, ভয় নেই কাজ চালিয়ে যাও।

এরপর সেই কোম্পানি কিছু কাজ দিল, যার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝি না। তাই সেই মেইলটা আশিককে ফরোয়ার্ড করে দিলাম। আশিক ওর চাকরির বাইরে গিয়ে সময় বের করে সেটা শেষ করে আমাকে পাঠালে আমি সেটা কোম্পানির মালিককে দেখালাম। তিনি সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে আরও একটা কাজ ধরিয়ে দিলেন। তখন আশিক বলল, তোমার এই কোম্পানির লক্ষণ সুবিধার মনে হচ্ছে না। কারণ, এখানে যারা আসলেই লোক নিয়োগ দিতে চায়, তারা এটা মোটামুটি ধরেই নেয় যে তুমি তেমন একটা কাজ পারবে না, তারা শুধু তোমার কাজের প্রতি আগ্রহটা যাচাই করে, কিন্তু এরা তো তোমাকে বিনা পারিশ্রমিকে খাটিয়ে নেওয়ার তালে আছে। তুমি আর ওদের কোনো কথায় সাড়া না দিয়ে আবার আবেদন করা শুরু করো।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

আমি আবার আবেদন করা শুরু করলাম এবং কিছুদিনের মধ্যেই আরও একটা কোম্পানি থেকে মৌখিক পরীক্ষার ডাক পেয়ে গেলাম। তারাও যথারীতি আমাকে ট্রায়াল কাজ দিতে চাইলে সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম। তাদের দেওয়া ড্রয়িং হাতে পেয়ে আমি আশিককে ফোন দিলাম। আশিক বলল, কোনো সমস্যা নেই, আমরা সামনের শনিবার কোথাও একটা জায়গায় বসে সেটা নিয়ে আলাপ করব। তারপর দুজনের জন্যই সুবিধা হয় এমন একটা জায়গায় গিয়ে আমরা পড়তে বসে গেলাম। এবার আমি ড্রয়িংয়ের প্রতিটা খুঁটিনাটি আশিকের কাছ থেকে বুঝে নিলাম, যাতে এই সম্পর্কিত যেকোনো কাজ করতে পারি। ঘণ্টাখানেক পড়াশোনার পর আমি আবার সোমবার সেই অফিসে হাজির হয়ে তাদের সামনেই কাজটা করে দিলাম। তারা খুশি হয়ে আমাকে সেদিনই অফার লেটার দিয়ে দিল। সেই প্রথম লাইনের জবের শুরু। এরপর পেরিয়ে গেছে পাঁচটা বছর, কিন্তু সেই সব স্মৃতি এখনো মনে ভাসে। এরই মধ্যে আমি চাকরি পরিবর্তনও করেছি। আসলে শুরুর চাকরি পাওয়াটাই সবচেয়ে কঠিন। এরপর একবার অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে যে কেউ তাদের কোম্পানিতে নিতে আগ্রহবোধ করে।

এভাবেই বিদেশ বিভুঁইয়ের আরশিনগরে অজানা–অচেনা পরিবেশে একজন পড়শি (বুয়েটিয়ান) আরেকজন সম্পূর্ণ অপরিচিত পড়শির (বুয়েটিয়ানের) পাশে এসে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে যোগসূত্র একটাই, তারা দুজনই একই আরশিনগর থেকে এসেছে। লালনের গানে আরশিনগরের পড়শির দেখা না পাওয়া গেলেও পরবাসের এই আরশিনগরে বিপদে–আপদে হরহামেশায় পড়শির দেখা মেলে। দূরের আরশিনগরে ফেলে আসা আত্ম পরিজনের জায়গা নেয় প্রবাসের আরশিনগরের পড়শিরা।

*লেখক: মো. ইয়াকুব আলী, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া