ইস্তাম্বুলে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ইস্তাম্বুল ‘বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল। গত রোববার (১৫ নভেম্বর) কনস্যুলেটে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তুরস্কে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিরা রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তুরস্কে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি উল্লেখপূর্বক প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটিকে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে তুরস্ক সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলো কনসাল জেনারেল অতিথিদের অবহিত করেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর করোনাভাইরাসের বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগকে আরও ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তুরস্ক সফরের ওপর আলোকপাত করেন এবং এ সফরের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বর্ণনা করেন, যার মধ্যে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের সম্ভবনার উল্লেখ রয়েছে।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম ইস্তাম্বুলস্থ প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য কনস্যুলেট কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করেন। করোনাভাইরাস মহামারির এ সময় কনস্যুলেট স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘মুজিব বর্ষের’ অনুষ্ঠানসহ যেসব অনুষ্ঠান আয়োজন করছে, তা উপস্থিত সবাইকে অবগত করেন এবং এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত ইস্তাম্বুলে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিল্প এবং কৃষিতে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ ও বিনিযোগ আরও বাড়াতে আহ্বান জানান।
উপস্থিত অতিথিরা টেক্সটাইল, আইসিটি, আধুনিক নগরব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, ফার্মাসিটিউক্যাল, পর্যটন এবং ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ব্যবসা ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ত থাকার উৎসাহ প্রদানের জন্য উপস্থিত অতিথিরা বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দ্বারা আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি