উইঘুর নির্যাতন: যুক্তরাজ্যের আইনজীবীদের গ্রাউন্ড ব্রেকিং রেজল্যুশন

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর জনগণের বিরুদ্ধে চলমান নির্যাতনের কথা জানাতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছেন। গত ২২ এপ্রিল এ প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল। এটি মনে রাখতে হবে, ব্রিটিশ সরকারকে চীনা সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করা হয়নি। যদিও এটি ব্রিটেন এবং এর মধ্যে সম্পর্কের একটি সঠিক সূচক ও নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে।

সংসদের রক্ষণশীল সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী নুসরাত গনি, যিনি সংসদের সভায় সফলতার সঙ্গে এ প্রস্তাব তুলেছিলেন। উইঘুর জনগণের প্রতি সংহতি হিসাবে এই প্রস্তাবটি অনুমোদন হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে চীনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সক্রিয়ভাবে নিন্দা করা হয় এ সময়।

মার্চে যুক্তরাজ্যের ১০টি সংস্থা ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল চীন। এর মধ্যে রক্ষণশীল দলীয় নেতা আয়েন ডানকান স্মিথকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। অভিযোগগুলো ছিল ওই সব ব্যক্তি ও সংগঠন মিথ্যা বিভাজনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল এবং কমিউনিস্ট পার্টি ও তরুণদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে এ তথ্য ছিল।

যুক্তরাজ্যের রেজল্যুশন অবশ্যই বিশ্বের অন্য সমমনা গণতান্ত্রিকদের পক্ষে একত্র হওয়ার জন্য এবং তাদের প্রচেষ্টা একীভূত করার জন্য এ সরকারের নিন্দা নয়, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণেরও পথ প্রশস্ত করেছে। এ সত্যের মূল্য এবং চেতনা তখনই উপলব্ধি হবে, যখন এই শব্দগুলো মূল পদক্ষেপে অনুবাদ করা হবে, যা কেবল শাসনব্যবস্থাকে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে না, বরং তাড়িত উইঘুর জনগণের জন্য স্বস্তিও বোধ করবে। দুর্ভাগ্যক্রমে এ রেজল্যুশন কার্যকর করতে যদি সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকে, তবে এটি কেবল কোনো পাঠ্যপুস্তক অনুশীলন হবে, যা কোনো শারীরিক প্রভাব বা স্থল বাস্তবতায় পরিবর্তন ছাড়াই।

  • প্রিয়জিৎ দেবসরকার, লেখক ও ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক