করোনা এসেছে ফিরিয়া

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

অদৃশ্য ঘাতক করোনা ভাইরাস
দোর্দণ্ড প্রতাপে এসেছে ফিরিয়া।
তৃতীয় মাত্রার লকডাউন পুনরায়
মেলবোর্ন নগরীকে রেখেছে ঘিরিয়া।

সরকারি নির্দেশে নিয়মিত চলে ট্রাম, বাস
ট্রেন চলে তবে অধিকাংশ সিট থাকে ফাঁকা।
ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, ব্যাংক, ডাকঘর, সুপার মার্কেট
সর্বত্র সামাজিক দূরত্বের চিহ্ন থাকে আঁকা।

স্বপ্নপুরী মেলবোর্নের অধিবাসীরা দিশেহারা
করোনা অতিমারির দ্বিতীয় প্রবাহের অনলে।
করোনার লাগামহীন বেড়ে চলা সংক্রমণে
ক্রমশ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সব মহলে।

মেলবোর্নবাসীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহে
নিবেদিতপ্রাণ স্বাস্থ্যকর্মীরা গলদঘর্ম।
আক্রান্তের নিরিখে প্রতিদিনের রেকর্ড ভাঙাই
বেপরোয়া করোনাভাইরাসের নৈমিত্তিক কর্ম।

লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব, ফেস মাস্ক
ঘাতক করোনা কোনো কিছুতেই হচ্ছে না কাবু।
একবার বৃদ্ধাশ্রম, একবার মাংস প্রস্তুত ফ্যাক্টরি
প্রত্যহ পাল্টাচ্ছে ভোল, নতুন স্থানে গড়ছে তাঁবু।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যহ আসেন মিডিয়াতে
মলিন বদনে করোনা পরিস্থিতি ধরেন তুলে।
দৈনিক সংক্রমণ, মৃতের সংখ্যার হিসাব
এবং কেউ যেন মাস্ক পরতে না যান ভুলে।

ভিক্টোরিয়ায় করোনা আক্রান্ত ছয় হাজারের বেশি,
অদ্যাবধি ৪২ জন চলে গিয়েছেন না–ফেরার দেশে।
মেলবোর্নে করোনা চিকিৎসা সরকারি ব্যবস্থাপনায়
স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীকে নিয়ে যান ফেরেশতার বেশে।

ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা
নিজ নিজ দেশ থেকে চালাচ্ছেন জোর গবেষণা।
মৃত্যুর খবর শুনে শুনে ক্রমশ হচ্ছি বিচলিত
শীঘ্রই বাজারে টিকা আসুক এই মোর প্রার্থনা।

মেঘের কোলে রোদ যেমন ঝলমলিয়ে হাসে
তেমনি রাতের আঁধার শেষে আলোভরা দিন।
প্রাণঘাতী করোনাও একদিন নেবে চিরবিদায়
মানুষের মনে আবার বেজে উঠবে খুশির বিন।

মানুষের ঐকান্তিক প্রার্থনা, বৈজ্ঞানিকদের গবেষণা
উদ্দেশ্য কোভিড-১৯ করোনা নির্মূল করা চিরতরে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন শীঘ্রই পাবে সফলতা
পৃথিবী জেগে উঠবে, নুতন ছন্দে ঘরে ঘরে।