কানাডায় অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের সাদিয়া

সাদিয়া রহমান
ছবি: সংগৃহীত

কানাডার প্রেইরি অঞ্চল থেকে ২০১৯ সালের ‘কানাডা ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন সাদিয়া রহমান। ফেডারেল সরকারের Employment and Social Development Canada-র ফেসবুক পেজে এবং তাদের ওয়েবসাইটে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে immigration and settlement নামে একটি পেজ ও কিছুদিন পর immigrationandsettlement.org ওয়েব পেজের মাধ্যমে কানাডায় ইমিগ্রেশনে আগ্রহী ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটি একটি অলাভজনক ও যেকোনো ধরনের বাণিজ্যিক পোস্ট মুক্ত করে মানুষকে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।

কানাডায় প্রফেশনাল কাজের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক কাজ একটি আলাদা গুরুত্ব বহন করে। আর এমন একটি কাজের স্বীকৃতি হিসেবে কানাডার ফেডারেল সরকার প্রতিবছর অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে থাকে। গত আগস্টে ঘোষিত ২০১৯ সালের কানাডার প্রেইরি অঞ্চল থেকে অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের সাদিয়া রহমান।

অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষিত ও কর্মজীবী মানুষ কানাডায় ইমিগ্রেশন নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। কেউ বিভিন্ন এজেন্সির পেছনে ছুটছেন বা নিজের চেষ্টায় সফলতা অর্জন করছেন। কেউবা অতিরিক্ত তথ্য ও ভুল তথ্যের কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এসব বিষয়ে সহায়তার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্তমানে অনেক গ্রুপও সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশেরই একটি গ্রুপের একজন অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে এ বছর সাদিয়া রহমান কানাডার সরকারের এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজার হিসেবে কানাডার রয়েল ব্যাংকে কাজ করেন সাদিয়া। তিনি বলেন, তাঁর কানাডায় আসার পথ সহজ ছিল না। তিনি যখন তাঁর একমাত্র মেয়েকে কানাডার ইমিগ্রেশন নিয়ে চেষ্টা শুরু করেন, তখন এ ধরনের কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজও ছিল না। নিজেই কানাডার ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট ঘেঁটে প্রস্তুতি শুরু করেন। আইইএলটিএস ও ডকুমেন্ট প্রস্তুতির ক্ষেত্রে পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হন। এ ধরনের বাধা তাঁকে এই পেজ ও পরবর্তী সময়ে একটি তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট খুলতে অনুপ্রাণিত করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে ফেসবুকে পেজ খুলে বাংলা ভাষায় মানুষকে সহায়তা করার চেষ্টা শুরু করেন।

সাদিয়া বলেন, ‘সরকারের ওয়েবসাইটে কানাডা ইমিগ্রেশন বিষয়ে সব সময় আপডেট তথ্য পাওয়া যায়। কেউ যদি একটু সময় নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেন, খুব সহজেই কানাডা ইমিগ্রেশন নিয়ে আসতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা সব সময়ই তথ্য হালনাগাদ রাখার চেষ্টা করি। এখানে কানাডায় আসা থেকে শুরু করে জীবন, জীবিকা, শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, অর্থব্যবস্থাসহ প্রায় সবকিছু সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। কেউ যদি আমাদের পরামর্শ নিতে চান, নিজ দায়িত্বে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারি, কিন্তু এজেন্সির মতো আপনাদের সেবাদানে অপারগ। কারণ, আমরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করি, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নয়।’