কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রদের জানাজা সম্পন্ন, লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি কানাডার  ম্যানিটোবায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষার্থীর জানাজা হয়েছে। ম্যানিটোবা প্রভিন্সের রাজধানী উইনিপেগ শহরের গ্র্যান্ড মস্কে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯–এর কারণে একসঙ্গে বেশি মানুষের জমায়েতের বিধিনিষেধের কারণে নিহত ব্যক্তিদের বন্ধুবান্ধব ও কমিউনিটির কিছু লোক জানাজায় সরাসরি অংশ নেন।

কানাডায় জানাজাতে ১০ জনের অংশগ্রহণের অনুমতি রয়েছে। সে কারণে ১০ জন জন করে মোট ৫টি জানাজায় ৫০ জন অংশগ্রহণ করেন।

রাইসুল বাঁধন
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

নিহত ৩ পরিবারের সদস্যরা, কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিনশার খলিল রহমান, হাইকমিশন অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি এবং মুসলিম কমিউনিটির কয়েক শ মানুষ অনলাইনে জানাজায় অংশ নেন।

জানাজা শেষে বাংলাদেশ হাইকমিনশার খলিল রহমান জানান, তিনি ম্যানিটোবা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করলেও সার্বক্ষণিক সবকিছু তত্ত্বাবধান করছেন। লাশ বাংলাদেশে দ্রুত পাঠানোর ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

আল নোমান আদিত্য
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

লাশ পাঠানোর ব্যাপারে অন্যতম সমন্বয়কারী সায়ীদ খান জানান, লাশ পাঠানোর জন্য বেশ কিছু অফিশিয়াল নিয়মকানুনের মধ্যে তাঁদের যেতে হচ্ছে। জানাজা শেষে লাশ ফিউনাল হোমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী ২১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে লাশ বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
ম্যানিটোবা থেকে এ বিষয়ে সমন্বয় করছেন নাসরিন মাসুদ, আশরাফুল আলম, সায়ীদ খান, দুর্দানা ইসলাম, সিলভিয়া সিকান্দার, ইমরান ফাহিম, তাবিথ দেওয়ান ও আবদুল আহাদ।

মোহাম্মদ আরা নূর আজাদ চৌধুরী
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে কানাডার ম্যানিটোবার ‘ইন্টারলেক কমিউনিটি’ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হন। দুর্ঘটনার জায়গাটি ম্যানিটোবার রাজধানী উইনিপেগ থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ আরা নূর আজাদ চৌধুরী, আল নোমান আদিত্য ও রাইসুল বাঁধন। তাঁরা সবাই ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার শিক্ষার্থী। তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ‘হেকলা’ নামের এক জায়গা থেকে ফিরছিলেন।