চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

প্রদর্শনীটিতে ৩০টি শিল্পকর্ম (ইলাস্ট্রেশন) প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। গত ২৬ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাইন অনুষদের প্রদর্শনী গ্যালারিতে শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়
ছবি: লেখক

চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টসে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার ভৌমিকের ‘অস্তিত্বের পুনর্গঠন’ শিরোনামে পাঁচ দিনব্যাপী একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী সম্পন্ন হয়েছে। প্রদর্শনীটিতে ৩০টি শিল্পকর্ম (ইলাস্ট্রেশন) প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। গত ২৬ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাইন অনুষদের প্রদর্শনী গ্যালারিতে শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে জাম্বিয়ান শিক্ষার্থী ডেভিসনের ভায়োলিন বাজানোর মধ্য দিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। দর্শকদের জন্য প্রদর্শনী গ্যালারিটি প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হয়।

‘অস্তিত্বের পুনর্গঠন’ শিল্পকর্মটি তিনটি পর্যায়ে প্রদর্শন করা হয়। তিনি প্রথম পর্যায়ে দেখিয়েছেন মানবসভ্যতা বিভিন্নভাবে প্রকৃতিকে প্রভাবিত করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার ফলে মানুষের মানসিক দুরবস্থা এবং তৃতীয় পর্যায়ে ভবিষ্যতে এই মহামারি থেকে মুক্তির জন্য প্রকৃতিকে রক্ষা করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নতুনভাবে জীবনের সূচনা করা।

দর্শকদের জন্য প্রদর্শনী গ্যালারিটি প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হয়
ছবি: লেখক

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নানজিং ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টসের প্রেসিডেন্ট লিউ ওয়েই দং, ডিজাইন অনুষদের ডিন চউ ছিং, আন্তর্জাতিক শিক্ষা অনুষদের ডিন অয়াং শি, অধ্যাপক হ ফাং এবং বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকেরা। সুব্রত কুমার ভৌমিক ‘অস্তিত্বের পুনর্গঠন’ নিয়ে বলেন, ‘বর্তমান সময়ের মহামারির জন্য মূলত মানবসভ্যতা নিজেরাই দায়ী। নিজেদের ক্ষণস্থায়ী সুখের আশায় আমরা প্রকৃতি এবং প্রাণিকুলকে প্রভাবিত করেছি। যার ফলে আমাদের করোনার মতো মহামারির সম্মুখীন হতে হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, কানাডা, রাশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, ঘানা, ভারত, বুলগেরিয়া, তুর্কিস্তান, জাম্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, কানাডা, রাশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, ঘানা, ভারত, বুলগেরিয়া, তুর্কিস্তান, জাম্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন
ছবি: লেখক

উল্লেখ্য, সুব্রত কুমার ভৌমিক ২০১৮ সালে চীন সরকার কর্তৃক শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য চীনে আসেন। তা ছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইনের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।