জাপানে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী জাপানের টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা নিয়ে উদ্যাপন করেছে। আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী সবার উদ্দেশে পাঠ করা হয়।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শাহিদা আকতার বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সব অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছায়ার মতো অবস্থান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের নিভৃত সহচর হিসেবে বিদ্যমান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করেছেন। সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধু জীবনের বিরাট অংশ জেলে কাটিয়েছেন, আর এ সময় সাহসী বঙ্গমাতা পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদেরও আগলে রেখেছিলেন প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। আর এ জন্যই কোনো রাজনৈতিক পদধারী না হয়েও তিনি বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতীক।
শাহিদা আকতার বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন আদর্শ নারী, যিনি পরিবারে স্ত্রী-মাতার ভূমিকায় কোমলতা আর দেশের প্রয়োজনে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কঠোরতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ছিলেন। বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে নারীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান শাহিদা আকতার, যাতে তাঁরা বঙ্গমাতার জীবনকর্ম থেকে ত্যাগ, দেশপ্রেম, সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি