তারুণ্যের শক্তি প্রথম আলো

প্রথম আলোর সম্পাদক কর্মীদের সঙ্গে কেক কাটছেন

প্রথম আলোকে নিয়ে লেখার কিংবা বলার যোগ্যতা আমার নেই। প্রথম আলো একটি নাম, একটি ব্র্যান্ড, যার পরিধি বিশ্বময় বিস্তৃত। সেই ছোটবেলা থেকেই এই পত্রিকার নাম শুনে আসছি। যেহেতু বাসায় সব সময় প্রথম আলো রাখা হতো, সেই সুবাদে সব সসময় পড়া হতো। আমার সবচেয়ে পছন্দের পেজ ছিল খেলার পাতা আর বিশ্ব পাতা।

আমার আপু–ভাইয়া সব সময় পত্রিকা পড়ার জন্য আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন।

প্রথম আলো আমাদের বাংলাদেশিদের গর্ব করার মতো একটি প্রিন্ট মিডিয়া।

বিশ্বব্যাপী প্রথম আলো সবখানে সমানভাবে জনপ্রিয়। প্রথম আলো প্রবাসী বাঙালিদের প্রাণের স্পন্দন। দেশের বাইরে থাকার কারণে এখন আর প্রতিদিন সকালে টেবিলে নাশতা খেতে খেতে পত্রিকা পড়া না হলেও অনলাইনে নিয়মিতই সকালটা শুরু হয় প্রথম আলোর খবর পড়ে।

প্রথম আলোর মতো স্বীকৃত পত্রিকা তারুণদের জন্য একটা শক্তি। প্রথম আলো সব সময়ই তরুণদের নিয়ে কথা বলে তরুণদের সুযোগ করে দেয় নতুন করে নিজেকে জানার। আমি নিজেই তার বড় উদাহরণ, লেখালেখি করতে আমারও ভালো লাগে, তবে মাঝেমধ্যে কবিতা লেখা হতো। ভারতে চলে আসার পর লেখালেখি অনেকটা কমে যায়। গত কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই কোভিড ইস্যু নিয়ে একটা লেখা লিখেছি।

পরে ভাইয়া ও আপুকে লেখাটা দেওয়ার পর তাঁরা আমাকে উৎসাহ দিয়েছে এবং পত্রিকায় পাঠানোর পরামর্শ দেয়। পরে প্রথম আলোতে লেখাটা পাঠানোর কিছুদিন পর লেখাটা প্রকাশিত হয়। সেদিন আমি সত্যিই অনেক বেশি খুশি হয়েছি এবং অনেক অনেক উৎসাহ পেয়েছি, যা বলে প্রকাশ করা যাবে না। এখন যেকোনো বিষয় নিয়ে লেখার আগ্রহ অনেক বেশি কাজ করে। সেদিনের পর থেকে আমি এখন নিয়মিত লেখার চেষ্টা করি। যার উৎসাহ সম্পূর্ণ প্রথম আলোর।

একটি ঘটনা না বললেই নয়, গত ২ আগস্ট ‘ভারতে বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ’ শিরোনামে আমি একটা লেখা লিখেছি, যা বিস্ময়কর সাড়া ফেলেছে। অনেক মানুষের সাধুবাদ পেয়েছি, এমনকি ভারতীয় হাইকমিশন থেকে সরাসরি আমাকে ফোন করে প্রশংসা করা হয়েছে, যা সত্যি আমাকে অনেক বেশি অবাক করেছে। এসবের জন্য আমি প্রথম আলোর কাছে কৃতজ্ঞ।

কোনো কিছু বদলাতে হলে আগে নিজেকেই বদলাতে হয়, এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি এবং এ বিশ্বাস ধারণ করতে অনেকটাই সাহস জুগিয়েছে প্রথম আলো।

অবশেষে ২৩–এ পা রেখেছে প্রিয় পত্রিকা প্রথম আলো। ছাপা পত্রিকা থেকে শুরু করে অনলাইন পাঠকসংখ্যা—সব দিক থেকে প্রথম আলো আজ বাংলাদেশের শীর্ষে। প্রথম আলোর ওয়েবসাইটটি শুধু সংবাদমাধ্যম হিসেবে নয়, বাংলা ভাষায় সব ধরনের ওয়েবসাইটের মধ্যে গোটা পৃথিবীতে প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে। অনলাইন প্রযুক্তি আর নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে ছাপা পত্রিকার গণ্ডি ছাপিয়ে প্রথম আলো এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ‘গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’, যা সত্যি সত্যি আমাদের সবার জন্য গর্বের বিষয়।

প্রথম আলো ও বন্ধুসভা বিভিন্ন সময়ে দেশের তরুণসমাজের মধ্যে নেতৃস্থানীয় গুণাবলি সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে গণিত উৎসব কিংবা ভাষা প্রতিযোগিতার মতো ইভেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রথম আলোর ভূমিকা সব সময় অগ্রগণ্য।

লেখক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাকে আমার ভাইয়া–আপু সব সময় উৎসাহ দিচ্ছে। সঠিকভাবে বাংলা বানানচর্চার জন্য প্রথম আলোকে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। ভালো লিখতে হলে বানানচর্চার খুব বেশি প্রয়োজন, যা আমি প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি। সে জন্য আমার পাশে বন্ধু হিসেবে আছে প্রথম আলো। এই প্রিয় পত্রিকার জম্মদিনে অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সুন্দর হোক আগামী দিনের পথচলা।