প্রবাসী লেখক আল–মামুনের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব

‘ফার্মিয়ন-১ (অ্যান্টিডোট)’–এর ভার্চ্যুয়াল প্রকাশনা উৎসবের লেখকসহ অতিথিবৃন্দ।
ছবি : সংগৃহীত

গতকাল শনিবার বিকেল তিনটায় অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির গবেষক ও লেখক মোহাম্মদ আল-মামুনের লেখা দ্বিতীয় বই ‘ফার্মিয়ন-১ (অ্যান্টিডোট)’–এর ভার্চ্যুয়াল প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ ভার্চ্যুয়াল প্রকাশনা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক শফিকুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক ও ‘বিট মাস্কট’ কোম্পানির চেয়ারম্যান দীলতাজ রহমান, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল গভর্নমেন্টের ইকোনমিস্ট সায়ন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সুব্রত সাহা। বইটি প্রকাশ করে ঢাকার প্রীতম প্রকাশ। প্রচ্ছদ করেন মোহাম্মদ হাবিব।

অনুষ্ঠানের শুরুতে লেখক মোহাম্মদ আল-মামুন এই বইয়ের নামকরণ সম্পর্ক বলেন। তিনি আরও বলেন, স্মৃতি, বিজ্ঞান ও মনস্তত্ত্ব, এই তিন মাত্রার সমন্বয়ে ‘ফার্মিয়ন-১ (অ্যান্টিডোট)’ বইটি একটি ত্রিমাত্রিক ছোটগল্পের বই।

শফিকুল ইসলাম বলেন, এই বইয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা মানুষের প্রচলিত ভাবধারা পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি বাংলাদেশের প্রত্যেক সন্তানকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য বিশেষ আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

ফার্মিয়ন-১ (অ্যান্টিডোট) বইয়ের প্রচ্ছদ
প্রচ্ছদ: মোহাম্মদ হাবিব

দীলতাজ রহমান বলেন, মুকুট থেকে মুক্তা ঝরে মাটিতে পড়ার মতো আমাদের জীবন থেকে শৈশবের স্মৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। এই বইয়ে এসব ক্ষুদ্র বিষয় অসামান্য হয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য থেকে যাবে। ‘ফার্মিয়ন-১ (অ্যান্টিডোট)’ বইটিতে বিজ্ঞান–মনস্তত্ত্বের পাশাপাশি রম্যও রয়েছে।

সায়ন চক্রবর্তী বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্ব বা কণিকার সঙ্গে মানুষের আচরণগত বৈশিষ্ট্যের তুলনা করে মানুষের আচরণ ব্যাখ্যা করার প্রয়াসকে একটি নতুন আঙ্গিক হিসেবে বর্ণনা করেন। আলোচনায় বাংলাভাষায় বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে প্রকাশিত বিভিন্ন বই সারা পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে সহজে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

  • সাব্রিতা ইসলাম, হেলথ কেয়ার প্রফেশনাল, গোল্ড কোস্ট, অস্ট্রেলিয়া