ফেরা

নবান্নের ফসলে ছিল ভরা গোলা
উঠোনকোণে কেউবা ছিল নিয়ে ধান–কুলা
হুক্কা হাতে নিয়ে মুই দিচ্ছিলাম টান
কে জানত আসবে নেমে ভরাডুবির বান!

ঘর থেকে যে বের হলে
কোনো কথা বললে না
যাবার আগে আমাকে আর
আদর করে ধরলে না।

কত পৌষ–হেমন্ত গেল
তোমার খবর এল না
হতচ্ছাড়া বসে থেকে
সময় যেন চলে না।

একে একে তিরিশ বছর
ব্যথাভরে যায় চলে
আউশ–আমনে গোলা ভরে
ভরে গরু গোয়ালে।

চুল–দাড়ি পেকেছে অনেক আগেই
জীবনপ্রদীপ নিভে যায়
বুকের মানিক ছিল একটি সন্তান
তার মুখখানা কে দেখায়?

দাওয়াই কিনতে হঠাৎ একদিন
গঞ্জের হাটে দেখা
দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলে
ভুলে সকল ব্যথা;

আস্তে করে বললে তুমি,
‘পথ আগলে সেদিন ধরলে না!’
‘আমার কথা ভেবেও তো
বাপের বাড়ি থেকে ফিরলে না?’

মান-অভিমান ভুলে গিয়ে
টেনে নিই হৃদয়কাছে
হাজার লোকের ভিড়ে আছি
তাকিয়ে দেখি চারপাশে।

বুড়ি তোমায় নিয়ে এলাম
তরুণীর সেই বধূবেশে
তোমার আমার প্রণয়-মিলন
হয়েছিল যেই দেশে।

*ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অটোমেশন, চাংশা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাংশা, হুনান, চীন।