ভারতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন

সংগীত পরিবেশন করছেন শিক্ষার্থীরা
ছবি: লেখক

‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।’

গোবিন্দ হালদারের বিখ্যাত এ গানের মতো করে চিন্তা করলে দেশের প্রতি আবেগ, ভালোবাসা ও অনেক বেশি সম্মান বেড়ে যায়। আর প্রাণ খুলে বলতে ইচ্ছা হয়, আমার একটি দেশ আছে, যার নাম বাংলাদেশ।

মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত হয়ে গেল এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মিলনমেলার। বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনারত বাংলাদেশিদের নিয়ে জেইন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১২০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। এরপর বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিরা বাংলাদেশর স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ। জাতির জনকের নেতৃত্বে বাঙালি হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করে। আজ আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করছি। এটা আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় একটি অর্জন।

সেমিনার হলে উপস্থিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নাচ, গান, আবৃত্তি পরিবেশন করেন একঝাঁক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। বিদেশের মাটিতে এমন চমৎকার আয়োজন দেশের প্রতিচ্ছবি হয়েই ফিরেছে শ্রোতা–দর্শকের হৃদয়ে। পুরো সময়টা সবাই খুব আনন্দে কাটিয়েছে। এমন সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করায় সবাই জেইন ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, এ বছরের মতো করে যেন ভবিষ্যতেও এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর আমাদের দেশের ৫০ বছর পূর্ণ হলো।

পৃথিবীর যে প্রান্তেই, আমরা বাস করি না কেন, দেশের ৫০ বছর পূর্তি আমাদের সবার মধ্যে অন্য রকম একটা ভালো লাগার বিষয়। সব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করেছি একটি নতুন দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রে আমাদের নতুন ঠিকানা ‘বাংলাদেশ’।