লস অ্যাঞ্জেলেসে জাতীয় শোক দিবস পালন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কনস্যুলেট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।ছবি: বিজ্ঞপ্তি

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কনস্যুলেট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।

আজ রোববার কনস্যুলেটের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর চ্যান্সেরির বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে স্থাপিত জাতির জনকের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর জাতির জনক, বঙ্গমাতা, তাঁদের পরিবারের নিহত সব সদস্য এবং অন্যান্য শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

চ্যান্সেরির বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে স্থাপিত জাতির জনকের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কনসাল জেনারেল তারেক মোহাম্মদসহ অন্যরা।
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বার্তা পাঠ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবনকাহিনির ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘বঙ্গবন্ধু বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি’ দেখানো হয়।

শোক দিবসের আলোচনায় কনসাল জেনারেল তারেক মোহাম্মদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজস্ব স্বকীয়তায় আজ বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বীকৃত। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্র ১৯৭৫–এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শ আর নীতিকে মুছে ফেলতে পারেনি। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জঘন্য হত্যার সঙ্গে জড়িত ঘাতক চক্রকে বিচারের আওতায় এনে বাঙালি জাতিকে ঘৃণ্যতম অপরাধের গ্লানি থেকে মুক্তি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও পলাতক অন্য খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সব শহীদ সদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।