সংকটে স্বামী

বিকেল বেলা। আমি আর আমার স্ত্রী নিতু বাসার ছাদে বসে আছি। আমি নিতুর হাতটি আমার হাতের মুঠোয় ধরে রেখেছি। আর সে আলতো করে তার মাথাটা আমার কাঁধে রেখে বসে আছে। হালকা হাওয়ায় তার মাথার এলোমেলো চুলগুলো আমার চোখে–মুখে ছুঁয়ে যাচ্ছে। এমন একটা রোমান্টিক মুহূর্তে নিতু হঠাৎ করে বলল,
-রানা, একটা গান গাও না।
নিতু ভালো করেই জানে, আমি গান গাইতে পারি না। তারপরও কেন জানি সে মাঝে মাঝে আমাকে গান গাওয়ার জন্য বলে। আমিও তার চাপাচাপিতে গান গাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আজ পর্যন্ত কোনো গানই আমি পুরোটা গাইতে পারিনি। কারণ মাঝপথেই সে আমার গান থামিয়ে দেয়। তার বক্তব্য হচ্ছে, আমার শুধু গানের গলাই খারাপ না, আমার রুচিও নাকি খারাপ।
-নিতু শোনো, তুমি গান শুনতে চেয়েছ, আমি গাইব। এটা কোনো সমস্যা না। কিন্তু প্লিজ, গান শুনে গালাগালি করতে পারবা না।
-এটা কি বললা! আমি কি তোমাকে গালাগাল করি? হয়তো রেগে গেলে একটু মিষ্টি বকা দিই।
-ঠিক আছে মানলাম, ওটা গালাগাল না, ওটা মিষ্টি বকা। তবে অনুরোধ, গান শুনে আজ ওই মিষ্টি বকাটাও দিয়ো না।
-যাও দেব না। তবে তুমিও আজ উল্টাপাল্টা গান গাইবে না।
-অবশ্যই না। উল্টাপাল্টা গান গাইব কেন? আমার কি মাথায় সমস্যা আছে? তা তুমি কি গান শুনতে চাও?
-এই পরিবেশের সাথে যায়, এমন একটা রোমান্টিক, ঠান্ডা, মিষ্টি গান গাও। যা শুনে আমার কলিজা ঠান্ডা হয়ে যাবে।
-কলিজা ঠান্ডা করার জন্য গান শুনতে  হবে কেন? তুমি বসো, আমি বরং ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে আসি। তোমার কলিজা, লিভার, কিডনি সবই ঠান্ডা হয়ে যাবে।
-না। আমি তোমার গান শুনে কলিজা ঠান্ডা করতে চাই।
-ওকে, নো প্রবলেম, তোমার যেমন ইচ্ছা।
তার কলিজা ঠান্ডা করার জন্য কি গান গাইব তা মনে মনে খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু এ মুহূর্তে কোনো গানই আমার মনে পড়ছে না। আমার এই এক সমস্যা। সারা দিন হাজারও গান আমার মনে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু যখনই নিতু গান গাইতে বলে, তখন আর কোনো গান খুঁজে পাই না। যাও দু-একটা মনে পড়ে সেটাও উদ্ভট গান। এখন ঠিক তা–ই ঘটছে। কোনো গানই মনে করতে পারছি না। অনেক ভাবার পর হঠাৎ একটা গান মনে পড়ল। মেয়েলি সুরে গানটি গাওয়া শুরু করলাম,
‘একটুস খানি দেখো, একখান কথা রাখো, ভালোবাইসা একবার তুমি বউ কইয়া ডাকো, বউ কইয়া ডাকো...’
এ পর্যন্ত গাইতেই নিতু হাত তুলে গান থামিয়ে দিয়ে বলল,
-তা তোমারে কি এখন আমি বউ বলে ডাকব?
-ছি, এগুলো কী বলো? বউ বলে ডাকবে কেন? আমি তো তোমার স্বামী।
লাজুক মুখে বললাম। আমার লাজুক মুখ দেখে সে বলল,
-না লজ্জা পেতে হবে না। তুমি চাইলে আমি তোমাকে বউ বলে ডাকতে পারি। তুমি তো গানে গানে তাই বললে। আর একটা কথা, তুমি নাকি সুরে গান গাইছো কেন? গান গাইবে গলা ছেড়ে। নাও অন্য একটা গান শুরু করো।

আমি অন্য একটা গান শুরু করলাম,
‘আমি তোমার বধূ, তুমি আমার স্বামী, খোদার পরে তোমায় আমি বড় বলে জানি, আমি তোমার বধূ...’
-ওই বদমাস বেটা, এগুলো কী ধরনের গান! আমি বুঝলাম না, তুমি বেছে বেছে মেয়েদের গান কেন গাইছো?
-ও এটাও মেয়েদের গান? সরি, বুঝতে পারিনি।
-আর তোমারে না বললাম গলা খুলে গান গাও। মিনমিন করে গান গাইবে না।
-তোমার সামনে কেন জানি গলা ছেড়ে গাইতে পারি না। গলা চেপে আসে। দাঁড়াও আরেকটা সুন্দর গান মনে পড়েছে। আমি শিওর এটা তোমার ভালো লাগবেই।
বলেই পরবর্তী গান শুরু করলাম,
‘ও বন্ধুরে প্রাণ বন্ধুরে
কবে যাব তোমার বাড়ি
পিন্দিয়া গোলাপি শাড়ি
টিকলি মাথায় ঘোমটা দিয়া রে।
আমি বধূ সেজে বসে আছি
তোমার পথ চেয়ে
তুমি আসবে কবে বাজবে সানাই
যাবে আমায় নিয়ে...’
এ পর্যন্ত গেয়ে থেমে গেলাম। কারণ দেখলাম, নিতু হাঁ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি থতমত খেয়ে বললাম,
-তুমি এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
-কারণ আমি তোমার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করছি। আমি বুঝলাম না, তোমার হঠাৎ বউ হওয়ার খায়েশ জাগল কেন?
-কী যা তা বলছ? বউ হওয়ার খায়েশ জাগবে কেন?
-না, জাগলেও জাগতে পারে। তোমারে দিয়ে কোনো বিশ্বাস নেই। দাঁড়াও তোমারে কালই আমি ডাক্তার দেখাব।
-ডাক্তার দেখাবে মানে!

-শোনো, আমার মনে হয় তোমার হরমনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তোমার চিকিৎসা দরকার। তোমার গানের কথা শুনে আর তোমার গলার মেয়েলি সুর শুনে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে তোমার ভেতরে একটা নারীসত্তা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে।
-বলো কী ! তুমি কি শিওর?
-অবশ্যই শিওর।
-তাহলে কি আমি এখন থেকে শাড়ি পরা শুরু করব? তুমি বললে, চেষ্টা করে দেখতে পারি। আচ্ছা কী শাড়ি পরব? জর্জেট না কি বেনারসি? তবে আমার ধারণা আমাকে লেহেঙ্গায় ভালো মানাবে। তুমি কী বলো?
-তুমি কি আমার সঙ্গে মজা করার চেষ্টা করছ?
-না আমি সিরিয়াস। ভেতরে যদি নারীসত্তা লুকিয়ে থাকে, তাহলে আর পুরুষের পোশাক পরে থাকব কেন? মেয়েদের পোশাকই পরব। ভেতরে–বাইরে সব জায়গায় মেয়ে হয়ে যাব। তবে সমস্যা হচ্ছে আমি তো শাড়ি পরতে জানি না। তুমি কি আমাকে শাড়ি পরা শিখিয়ে দেবে?
-আচ্ছা দেব।
এ কথা বলেই নিতু খিলখিল করে হাসতে লাগল। আজব মেয়ে। এই মেয়ে কখন যে হাসবে, কখন যে রাগ করবে বোঝা মুশকিল। তবে ওর হাসি দেখলেই আমার পৃথিবীটা কেমন জানি রঙিন হয়ে যায়।
-এই, একটা কথা বলব?
-অবশ্যই বলবে। তুমি আমার স্ত্রী। তুমি কথা বলবে না তো কে বলবে? তুমি তো আমার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
-আমি ট্রাম্প! মানে কী?
-কেন জানি তোমাকে দেখলেই আমার ট্রাম্পের কথা মনে পড়ে যায়।
-তার মানে তুমি বলতে চাও আমার চেহারা ট্রাম্পের মতো?
-না না, সেটা হতে যাবে কেন? আসলে এটা একটা উপমা। এই উপমা দ্বারা আমার সংসারে তোমার যে পাওয়ার, সেটাই আমি বোঝাতে চেয়েছি।
-মাই গড, মানুষ তার বউকে কত সুন্দর সুন্দর জিনিসের সঙ্গে তুলনা করে। কেউ পরির সঙ্গে, কেউ জেনিফার লোপেজ, মাধুরী, শাবনুর, মৌসুমীর সঙ্গে। আর তুমি করলে ট্রাম্পের সঙ্গে। আর বলছ এটা তোমার উপমা! এ জন্যই তো বলি, তোমার মাথায় সমস্যা আছে। যার জন্য উল্টাপাল্টা কথা বলো। তোমার আসলেই চিকিৎসা দরকার।
-আমারও তাই ধারণা। আচ্ছা চিকিৎসা কোথায় করালে ভালো হয়? দেশে না বিদেশে।
-তোমার চিকিৎসা পাবনা ছাড়া আর কোথাও সম্ভব নয়।
বলেই আবার খিলখিল করে হাসতে লাগল।

-ঠিক আছে, পাবনা যেতে হলে যাব। এটা কোনো সমস্যা না। এখন বলো, তুমি কী বলতে চেয়েছিলে।
-ও বলছিলাম কি, ভাবছি এবার চুল কেটে ফেলব।
- চুল কেটে ফেলবে মানে! মাই গড, তোমার কি মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে?
-কী বললা!
-প্লিজ রাগ কোরো না। আগে আমাকে কথাটা শেষ করতে দাও। শোনো, গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের মাথায় সমস্যা থাকে, তাদের মাথা মাঝেমাঝে গরম হয়ে যায়। ঠিক এ কারণেই পাগলদের মাথা বেল করে দেওয়া হয়। তাই আমি প্রশ্ন করলাম, তোমারও কি সেই সমস্যা?
-কী উল্টাপাল্টা বলছ। আচ্ছা তুমি কি একটু স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারো না। আমি বুঝি না, সব সময় তোমার মাথায় উদ্ভট চিন্তা আসে কেন?
-আরে আমাকে দোষ দিচ্ছ কেন? তুমিই তো বললা, চুল কেটে ফেলবে।
-সেটা বলেছি চুল কেটে স্টাইল করার জন্য। বেল করার জন্য না।
-ও তা–ই বলো। আমি আরও ভাবলাম...।
-শোনো, আমি ঠিক করেছি এবার চুলে বব কাট দেব। কেমন হবে বলো?
-কেমন হবে মানে? অবশ্যই ভালো হবে।
-সত্যি বলছ, আমাকে বব কাটে মানাবে?
-অবশ্যই মানাবে। আমার তো মনে হয় তোমাকে একমাত্র বব কাটেই স্মার্ট লাগবে।
-কী বললা! তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছ আমি এখন স্মার্ট না! আমাকে লম্বা চুলে স্মার্ট লাগে না?
-বিশ্বাস করো, আমি কিন্তু তা মিন করিনি।
-অবশ্যই তুমি তা–ই মিন করেছ। তোমারে আমি চিনি। বদ বেটা, নিশ্চয় অফিসে বব কাটওয়ালি কেউ আছে। যার কারণে নিজের বউয়ের লম্বা চুল এখন আর ভালো লাগে না। বেটা চরিত্রহীন।
-আচ্ছা আমি একটা জিনিস বুঝি না, যে বিষয় নিয়েই আমাদের ঝগড়া লাগুক না কেন, ঝগড়ার ফলাফল হবে আমি চরিত্রহীন, কেন?
-কারণ তোমারে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি। তোমার চরিত্রে আসলেই সমস্যা আছে। ভাবছিলাম চুল কাটব। এখন আর কাটব না। এই আনস্মার্ট বউ নিয়েই তোমার সংসার করতে হবে।

-শোনো, আনস্মার্ট বউ নিয়ে সংসার করতে আমার কোনোই সমস্যা নেই। তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পারো।
-তার মানে তুই বুঝাইলি আমি আসলেই আনস্মার্ট! যা, তোর মতো খারাপ লোকের সংসারই আমি করব না।
-প্লিজ, এই রোমান্টিক বিকেলটা খামাকা ফালতু বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে নষ্ট কোরো না।
-কী, আমি ফালতু বিষয় নিয়ে ঝগড়া করি। তার মানে আমি ফালতু! ঠিক আছে তুই একলাই বসে থাক, আমি গেলাম।
বলেই সে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। তার সাথে সাথে আমিও উঠে দাঁড়ালাম। আমাকে উঠে দাঁড়াতে দেখে সে কটমট করে বলল,
-খবরদার, তুমি আজ বাসায় আসবে না। আমি তোমাকে আজ বাসায় ঢুকতে দেব না।
-বাবু তুমি এসব কী বল? বাসায় ঢুকতে না দিলে আমি কোথায় যাব?
-তোমারে না বলছি আমার সাথে ঢং করে কথা বলবে না। আমারে বাবু বলবে না। আর তুমি কোথায় যাবে মানে? তুমি তোমার স্মার্ট বব কাটওয়ালির কাছে যাবে।
বলেই নিতু হনহন করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেল। আমি বোকার মতো একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে রইলাম। বুঝলাম না, আমার দোষটা কোথায়। আমি তো তার চুল কাটার পক্ষেই বলেছিলাম। তাকে বব কাটে স্মার্ট লাগবে বলেছিলাম।
এই ঘটনার বেশ অনেক দিন পর একদিন দুপুরবেলা টিভিতে খেলা দেখছিলাম। সে সময় নিতু এসে বলল,
-শোনো, আমি এখন পারলারে যাচ্ছি? আজ চুলে স্টেপ কাট দেব।
-স্টেপ কাট? সেটা আবার কী?
-মুম্বাইয়ের নায়িকারা সাধারণত এই কাট দেয়। তোমার কি নায়িকা মাধুরীর কথা মনে আছে? সেও এই কাট দিত।
-তা–ই নাকি? সেটা তো জানতাম না। আসলে জীবনে অনেক কিছু জানার বাকি আছে।
-আচ্ছা বলো না, এই কাটে আমাকে কেমন লাগবে?
বব কাট নিয়ে যেহেতু এর আগেরবার লঙ্কাকাণ্ড হয়ে গেছে, তাই আজ ঠিক করেছি কিছুই বলব না। চুল কাটা নিয়ে কোনো মতামতই দেব না। আমি চুপ করে আছি দেখে সে আবার বলল,
-বললা না চুল কাটব কি, কাটব না?
-শোনো আমি বরং কোনো মতামত না দিই। খামাকা ভেজাল লাগিয়ে লাভ কি?
-মানে কি! তুমি আমার স্বামী। আমাকে ভালো-মন্দ মতামত দেওয়ার অধিকার তোমার আছে। আর তোমার মতামত অনুযায়ী চলা আমার দায়িত্ব। তুমি তোমার মতামত দাও, আমি তোমাকে অভয় দিলাম। কোনো ভেজাল লাগবে না।
-তুমি ভরসা দিচ্ছ?
-অবশ্যই। তুমি নির্ভয়ে বলো।
তার ভরসা পাওয়ার পরও ভয়ে ভয়ে নরম সুরে বললাম,
-দরকার নেই চুল কাটার। লম্বা চুলই তো ভালো। খামাকা চুল কেন কাটবে? আর তা ছাড়া তুমি তো আর মাধুরী না।
: তা তো বলবাই। কারণ তুমি তো চাও না তোমার বউকে স্মার্ট লাগুক। বউ আনস্মার্ট থাকলেই তো সুবিধা। তাহলে কেউ তোমার বউয়ের দিকে তাকাবে না। বেটা নারী নির্যাতনকারী।
-আচ্ছা তুমি যে কথায় কথায় আমারে নারী নির্যাতনকারী বলো, তুমি কি জানো নারী নির্যাতনকারী মানে কী?
-আমার তো মানে জানার কোনো দরকার নেই। মানে যা–ই হোক না কেন তুই বেটা নারী নির্যাতনকারী।
কী বলব ভাষা খুঁজে পেলাম না। তাই চুপ করে রইলাম। কিন্তু ওই দিকে সে কথা বলেই যাচ্ছে।

-আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ। না হলে এমন শয়তান স্বামী কারও কপালে জোটে।
বলেই কাঁদতে শুরু করল।
-প্লিজ, কান্না কোরো না। মানুষ শুনলে খারাপ বলবে। তোমার যা ইচ্ছা সেই কাট দাও। দরকার পড়লে বব কাট দাও, আর্মি কাট দাও। সেটাও যদি পছন্দ না হয় তো বেল কাট দাও। তবুও কান্না কোরো না। প্লিজ।
-মানে কী! আমি কি আমার ঘরে কাঁদতেও পারব না। আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ না হলে এমন স্বামী কপালে জোটে!
-শোনো, ভাগ্য তোমার খারাপ না, ভাগ্য আমার খারাপ। আল্লাহ কেন যে আমারে বোবা বানাইল না। তাহলে তো আর আমাকে তোমার উল্টাপাল্টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো না, আর আমার সমস্যায়ও পড়তে হতো না। আচ্ছা বলো তো, তুমি আমারে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে সংসারে ভেজাল লাগাও কেন?
-কী, আমি সংসারে ভেজাল লাগাই? তার মানে আমি খারাপ! যা শালা, তোর সংসারই আমি করব না।
বলেই টেবিল থেকে কাচের গ্লাসটা নিয়ে ফ্লোরে আছাড় মারল। তারপর হনহন করে বেডরুমে চলে গেল। আমি বোকার মতো চুপ করে বসে রইলাম। কী বলব বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে নিজের মাথা নিজেই লাঠি দিয়ে ফাটিয়ে ফেলি।
বি. দ্রষ্টব্য:
আগে জানলে বাংলাদেশে না, উগান্ডায় বিয়ে করতাম। সে–ও বাংলা জানে না, আমিও উগান্ডার ভাষা জানি না। কী মজা, নো প্রশ্ন নো ভেজাল।
বি.দ্রষ্টব্যের বি. দ্রষ্টব্য:
পক্ষে বললেও সমস্যা, বিপক্ষে বললেও সমস্যা। ভাবছি সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখব। এখন থেকে মুখে কোনো কথা বলব না। স্ত্রী যা–ই বলবে, সেটার জবাব ইশারায় দেব।

* [email protected]