সিডনিতে বাংলাদেশি ছাত্র গ্রেপ্তার

জামিল আহমেদ চৌধুরী

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। জামিল আহমেদ চৌধুরী নামের এই তরুণের বিরুদ্ধে ‘সম্ভাব্য ধর্ষণ’–এর অভিযোগ আনা হয়েছে। আর এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে। সিডনির ব্যাংকস টাউনের ভিলাউড এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন নিপীড়ন করার দায়ে জামিল আহমেদ চৌধুরীকে কিশোরীর পরিবার আটক করে পুলিশে খবর দিলে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

জামিলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে কিশোরীর পরিবারের দাবি, ‘গত ডিসেম্বর মাস থেকে কিশোরীর সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে অতিমাত্রায় বার্তা আদান-প্রদান করেন জামিল আহমেদ চৌধুরী।

তাঁদের ডিজিটাল কথোপকথনের বেশির ভাগই ছিল যৌনতামূলক। এর কিছুদিনের মধ্যেই কিশোরীর মা বিষয়টি খেয়াল করে জামিলকে এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। জামিলকে কিশোরীর সব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এর কয়েক দিনের মধ্যেই জামিল আবারও নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিষয়টি আবারও কিশোরীর পরিবারের নজরে এলে জামিলকে আটক করতে একটি পরিকল্পনা করেন। তাঁরা কিশোরীর অ্যাকাউন্ট থেকে জামিলকে বাসায় আসার প্রলোভন দেখান। আর অন্যদিকে কিশোরীর বাবা এবং তাঁর বন্ধুরা জামিলকে ধরার জন্য অপেক্ষা করেন। জামিল কিশোরীর বাড়িতে উপস্থিত হলে তাঁকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে কিশোরীর পরিবার।

গত সোমবার রাতে জামিলকে আটক করার পর গতকাল মঙ্গলবার এ সংবাদটি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় প্রায় সব গণমাধ্যমেই প্রচার করা হয়। আটকের পর জামিলকে স্থানীয় ফেয়ারফিল্ড আদালতে উপস্থিত করা হয়। জামিল সেখানে জানায়, ওই কিশোরী তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নিজেই নিজেকে বার্তা পাঠিয়েছে। আদালতের কাছে জামিল জামিন চান তিনি। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন।

জামিলের বিরুদ্ধে অতীতেও একই ধরনের কোনো অভিযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জামিল আহমেদ চৌধুরী সিডনির ব্যাংকস টাউন এলাকাতেই বসবাস করতেন। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে অধ্যয়ন করছিলেন এবং পাশাপাশি সিডনির একটি সুপার মার্কেটে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।