সিডনিতে বাড়ছে করোনা, বাড়বে লকডাউনও

লকডাউনের কারণে স্থানীয় পর্যটকদেরও ভিড় নেই সিডনির আশপাশের পর্যটন এলাকাগুলোতে
ছবি: কাউসার খান

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের বৃহত্তর সিডনিসহ অন্যান্য জায়গায়ও আবার বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এবারের সংক্রমণে করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যটিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে পৌঁছেছে। তবে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে প্রায় ১৪ হাজার সিডনিবাসী আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন বলে ধারণা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর গত কয়েক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে রাজ্য সরকার। অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর এবং নিজ কাউন্সিলের বাইরে না যাওয়ার আদেশ জারি রয়েছে। অর্থাৎ ঘর থেকে বের হলেও সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে। সিডনিতে চলমান লকডাউন এ সপ্তাহ নাগাদ তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও এখন তা আবারও দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনাও করছে রাজ্য সরকার। অন্তত আরও ৩ সপ্তাহ চলতে পারে এ লকডাউন। এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া।

হোটেল কোয়ারেন্টিনের পরিবর্তে হোম কোয়ারেন্টিন করতে চাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকার
ছবি: কাউসার খান

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি আসবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির কোনো নাটকীয় পরিবর্তন না এলে বা আক্রান্তের সংখ্যায় নিম্নমুখী কোনো নাটকীয় মোড় না নিলে, আগামী শুক্রবার নাগাদ লকডাউন তুলে নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না আমি।’ তবে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণে রাজ্যের বাসিন্দাদের সদিচ্ছার অভাবে সরকার খুবই হতাশ বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

লকডাউনে সুনসান সিডনির অপেরা হাউস
ছবি: রয়টার্স

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো জাতি কিংবা রাজ্যই এত কম টিকার হার নিয়ে ডেলটা ভেরিয়েন্টের সঙ্গে বাঁচতে পারবে না। আমাদের মাত্র ৯ শতাংশ লোক পুরো টিকা গ্রহণ করেছেন। তাই এটাও ভাববেন যে আপনি ডেলটা ভেরিয়েন্ট নিয়ে বেঁচে যাবেন।’ তবে বিধিনিষেধ অমান্য করলে আইনত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।