স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন

সময়টা ১৯৭৭ সাল, আব্বা তার চাকরি জীবনের শেষের সময়গুলো নিজ জেলায় কাটাবেন বলে চলে এলেন মুন্সিগঞ্জ। ওই যে বেলা শেষে পাখি যেমন নিডে ফেরে, অনেকটা তাই।

অফিস নারায়ণগঞ্জ, আমরা থিতু হলাম মুন্সিগঞ্জ। জন্ম ভোলায়, মাঝে বেশ কয়েকটা বছর চাঁদপুরে। প্রথম দিনটার কথা এখনো মনে পড়ে। বেঙ্গল ওয়াটারে করে এসে পৌঁছলাম মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট। বেঙ্গল ওয়াটার নৌযানটা এখনো আছে কি না জানি না। তখন ওটাই ছিল নতুন দেশটার, বনেদি হাতে গোনা কয়েকটা যানবাহনের একটা। উত্তরাধিকার সূত্রে ব্রিটিশ ভারত, তারপর পাকিস্তান হয়ে, বাংলাদেশ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এর মালিক হলো। সেই বিশাল প্যাডেল জলযানের ছলাৎ ছলাৎ জলের শব্দের চাঁদপুর টু মুন্সিগঞ্জ নৌ-ভ্রমণ এ জীবনে আর হয়তো হবে না। ৬ ভাই বোনের বাবা মায়ের বিশাল সংসারের কত টুকিটাকি জিনিস সঙ্গে আব্বার সেই শখের সাদা গরুটা আর একটা গাছ, আমাদের ভাই বোনদের প্রিয় সেই গোলাপ গাছটা, বাবা ফেলে আসতে পারেননি চাঁদপুরের সেই সরকারি আবাসনে। সেইগাছটার স্মৃতি আমার শরীরে আজও আছে। ডান হাতের কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত গোলাপ কাটার কাটা দাগ। গোলাপের সুবাস নেবে, আঘাত নেবে না তা কি হয় ।

মুন্সিগঞ্জে তখন ইট বিছানা একটি মাত্র রাস্তা, ছোট্ট একটা শহর। রাস্তার পাশ দিয়েই বলতে গেলে সমান্তরালভাবে ছিল একটা খাল, জুবলি খাল। ওপারে পিটিআই, আমার প্রথম স্কুল। বর্ষায় সুন্দরী কাঠ বোঝাই নৌকা এসে ভিড় করত খালটাতে আর পাড়েই ছিল চেরাই কাঠ বিক্রির সারি সারি দোকান। কুড়াল দিয়ে সুন্দরী কাঠ চিড়ছে মধ্য বয়সী কিছু মানুষ। কুড়ালের আঘাতের সঙ্গে মুখ দিয়ে বেড হওয়া জোরে নিশ্বাসের সেই শব্দ- আজও কখনো কখনো মনে হয় যেন কানে বাজে।

আমাদের ছিল টিনের বেশ বড় দুইটা ঘর। মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুরে যা হয় আর কি, সারা শহর খুঁজে ২/১টা বহুতল বিল্ডিং ছিল তাও আবার সর্বোচ্চ তিন তলা। এদের ঐতিহ্য টিনের ঘর। বাকিটা অংশ কলা গাছ আর পেছনের অংশে ছিল একটা কচুরিপানায় ভরা ডোবা, তার পেছনেই ছিল বিশাল একটা কড়ই গাছ। প্রচুর ডাউক ছিল ডোবাটাতে।

নতুন করে আবার গাছ লাগানো শুরু করলেন আব্বা। নারিকেল গাছটা লাগানোর সময় সে কি কসরত। বেশ খানিকটা গর্ত করালেন, লবণ দিয়ে রেখে দিলেন বেশ কিছুদিন। গাছটা এখনো আছে। একে একে কাঁঠাল, জলপাই, সফেদা, আম, বেল, আমড়া, পেয়ারা, কামরাঙা, রোয়াইল, কত গাছ। ঝাঁকে, ঝাঁকে টিয়া আসত কামরাঙা পাকা শুরু করলে। একটা কাঁঠালচাপা গাছও ছিল। ডোবাটির পাশেই লিক লিকে রোয়াইল গাছটার বিশাল বড় হয়ে উঠাটা ওই বয়সে আমার কাছে ছিল এক বিশ্বয়।

অবসরজীবনে এসে বাবা অর্থনৈতিক নিশ্চয়তার জন্য পরিকল্পনা করলেন- কিছু ঘর আর দোকান করে ভাড়া দেবেন। অবধারিতভাবেই গাছকাটার চিন্তা এসে গেল। শৈশব-কৌশরে বাবার সামনে মতামত দেওয়ার সুযোগ কিংবা সাহস কোনোটাই ছিল না, তারপরও কোথা থেকে যেন, কেমন করে আব্বার সামনে বলে ফেললাম, ‘আব্বা বাড়িটির পেছন দিকে আমরা একটা বিল্ডিং করি আর সামনের টায় একটা বাগান। বলেই মাথা নিচু করে দাঁড়ায় আছি আর ভাবছিলাম—কি ধমক জানি কপালে আছে আজ। আশ্চর্য আব্বা তার সেই ভুবন ভুলানো হাসিটা দিয়ে বললেন, ওই রকম একটা বাড়ির খুব শখ তোর না? তুই যখন চাকরি করবী নিশ্চয়ই ওই রকম একটা বাড়ি তোর হবে। ইতিমধ্যেই বিভূতি ভূষণের আরণ্যক উপন্যাসটা পড়া হয়ে গেছে- অরণ্যে জোছনার প্রেম তখন আমার মগজে। কি আর একবার ঘর উঠল, দোকান হলো, কোলাহল বাড়ল ...কিছু সবুজ হারায় গেলো। তারপরও অনেক গাছ ছিল বাড়িটাতে।

মফস্বল শহরটাতে খুব ভালো কিছু বন্ধু আমাদের ছিল। আমাদের প্রতিদিনের একটা বিলাস ছিল-দল বেঁধে বিকেলে হাঁটতে বের হওয়া। ইদ্রাকপুর হয়ে হাসপাতালের পাশ দিয়ে, কখনো থানা কাউন্সিল হয়ে মানিকপুরের আলু গবেষণা কেন্দ্রর পাশের রাস্তাটায় জোছনায় আড্ডা মারা। রিপন (আজ আর আমাদের মাঝে নাই), মিঠু, উজ্জ্বল, চাহিন-আমাদের কি স্বপ্নময় বিকেল ছিল সেই সময়টায়। ইদ্রাকপুর প্রাইমারি স্কুলটার পাশেই ছিল-ভূমালির জমি। বিশাল একটা পুকুরের পাশের জমিটা, বর্ষায় ডুবে যেতো। একদিন বন্ধুদের বললাম-দোস্ত এই জমিটা আমি একদিন কিনব আর একটা বাড়ি বানাব, বাড়িটির নাম দেব ‘কুঁজ নিকুঞ্জ।’

এ যেন আমার স্বপ্নের স্থানান্তর। বাগমামুদালী পাড়া থেকে ইদ্রাকপুর- বাবার বাড়ি থেকে আমার বাড়ি-সেই স্বপ্নের বাঘাবাড়ী ‘কুঁনজ নিকুঞ্জ’। এক বিকেলে হাঁটতেই যাওয়ার পথে রিপন বলল - তোর জমিটা বিক্রি হয়ে গেছে রে - আমি যেন আবার স্বপ্নহারা হলাম। শেষবার দেশে গেলে- গিয়েছিলাম জমিটার পাশে, আমার প্রথম স্বপ্ন এখন ইট বালুর দালান কোঠায় ভরা।

ইতিমধ্যে দিন অনেক গেল। এম এটাও শেষ হয়ে গেল। বেসরকারি সংস্থার চাকরি নিয়ে দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াই। কক্সবাজারে বেশ কিছু দিনের জন্য গেলাম, কুরু শকুলের আর ঈদগাঁওয়ের পাহাড়ি রাস্তায় একা একা যখন হাঁটতাম- কে যেন এসে বলত- কি হে স্বপন, হবে না কি তোমার কুনজ নিকুঞ্জ- এই পাহাড়ি অরণ্যে? টেকনাফের নাফ নদীটার পারেও সে এল- কি হে স্বপন হবে না কি কুনজ নিকুঞ্জ-এই পাহাড়, অরণ্য আর নদীর মোহনায়? আমি তারে যতই তাড়াই, বলি-এই বেতনে কোথাও হবে না আমার কুনজ নিকুঞ্জ। ততই সে যেন আমায় ভরসা দেয়, বলে- হাল ছেঁড়ো না বন্ধু।

সে আবার এল শেরপুর-নালিতাবাড়ীর রাস্তায়। ভরসা দেয় আমারে-এখানে জমির দাম কম, হতে পারে তোমার কুনজ নিকুঞ্জ-গারো পাহাড়ের আঁশে পাশে। স্বপ্নতো আমার পিছ ছাড়ে না কি করি?

যশোরের ঝিকরগাছায় আর্সেনিক নিয়ে কাজ করছি জাইকা আর ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে। গদখালীতে এসে স্বপ্ন টা আবার হাজির ‘ভেবে দেখো মি. স্বপন এমন সুযোগ আর হবে না, এই রজনীগন্ধা বনের পাশেই হতে পারে তোমার স্বপ্নের কুনজ নিকুঞ্জ। একটু সাহসী হও বন্ধু।’

ছুটিতে মুন্সিগঞ্জ এলাম। বাড়িটায় লোকজন বেড়েছে কারণ বাড়ি ভরা ভাড়াটিয়া। ইতিমধ্যে আমার চাকরির বদল হয়েছে। ঢাকা-যশোর-চট্টগ্রাম প্লেনে আসা যাওয়া করি। স্বপ্ন বেটাও ঘন ঘন আসছে আজকাল। সন্ধ্যায় মা আর আমি বসে আছি বাসার খালি জাগাটায়, সঙ্গে খালাও। বাড়ির বিষয় কি একটা বলতে গিয়ে বলেই ফেললাম- বাড়ি বানাব একটা গাছপালায় ঘেরা, নাম দেব কুনজ নিকুঞ্জ। খালা হাসে আর বলে-তুই কি গ্রামে গিয়ে থাকবি না কি। এবার দেশে গেলে খালার সংলাপ-কি রে স্বপন তোর কুনজ নিকুঞ্জ হলো। মা-কে বলার সুযোগ হলো না, তিনি আর আব্বা পাশাপাশি ঘুমিয়ে আছেন, উত্তর ইসলামপুরের কবরস্থানে।

যশোরে থাকতে থাকতেই বাঁধা পড়লাম এক উদ্ভিদবিদের পাল্লায়। সুন্দরবনের পাশের মানুষ, গাছপালার আশপাশের বেড়ে উঠাওদের জীবন, তার ওপর পড়াশোনার গাছপালা নিয়ে। যাই হোক জীবন চলল তার আপন গতিতেই। আমিও উন্নত জীবনের স্বপ্নে দেশ ছাড়লাম। শুরু হলো নতুন পরিবেশে বেঁচে থাকার এক কঠিন পথচলা। সপ্তাহে ৫দিন ইউনিভার্সিটির ক্লাস, বাকি ২দিন সকাল থেকে রাত ১০-১১ পর্যন্ত কাজ। কত দিন যে ছেলেটারে সকালে দেখে যেতাম ঘুমে, রাতে বাসায় এসেও দেখি ঘুমে। স্বপ্নটা এ সময়টাতে কিছুটা দিনের জন্য পথ হারাল।

আজকাল আর কাছে আসে না। মাঝে মধ্যে মনের মাঝে উঁকি দিত- যেদিন রেজাল্টগুলো পজিটিভ হতো, ল্যাব থেকে বেরিয়ে মনে হতো বিবর্ণ ইউক্যালিপটাস গাছটাও কি অপরূপ। মনে হতো হয়তো হবে আমার কুনজ নিকুঞ্জ পাহাড়ের ওই পাশটায়, ইউক্যালিপটাস বনের পাশে। কাজের জায়গাটা দইয়ের বড় বড় প্লাস্টিকের বাক্স পাওয়া যেতো। অনেকটা ছোট ছোট ড্রামের মতো। উদ্ভিদবিদ বায়না ধরা শুরু করল- এইগুলো বাসায় নিয়ে আসতে হবে। এক সময় দেখলাম ওই দইয়ের বাক্সগুলো শীতের কুড়ানো ঝরা পাতায় ভরা শুরু হলো। পাতাগুলো যখন একটু পচা শুরু হতো তার ওপর অল্প কিছু মাটি দিয়ে গাছ লাগানো শুরু হলো।

এবার ফিরে এল সেই স্বপ্ন চারি-বিজয়ের হাসি তার মুখে, আর বলে-ওহে স্বপন, পেয়ে গেছ তোমার যোগ্য সহকারী হবে, হবে তোমার স্বপ্নের কুনজ নিকুঞ্জ। এক সময় আমাদের ভাড়া বাসার চত্বরটা ভরে গেল, সাদা সাদা দইয়ের বাক্সে।

এবার বাসা বদলের পালা, কিন্তু এত গাছ কি করে ফেলে যাই। নেবই বা কি করে? আমাদের ছোট গাড়িতে সে এক দুঃসাধ্য কাজ। উপায় না দেখে প্রতিবেশী ভিয়েতনামী ভদ্র লোকের সাহায্য চাইলাম। বেচারা সানন্দেই রাজি হয়ে গেলেন, ওর ভ্যানটা দিয়ে নিজেই পৌঁছে দিতে চাইলেন। আমাদের সে কি আনন্দ, দুই ছেলে আর তাদের মা মিলে গোনা শুরু করল- ছোট বড় মিলিয়ে ৩৫০ এর ওপরে বাক্সে।

শেষ পর্যন্ত পোঁটলা পাটলি নিয়ে চলে এলাম নতুন আবাসনে। বাসার সামনে বাক্সে বাক্সে শত গাছ। কেউ বাসার ঠিকানা চাইলে বলতাম, বলি যে বাসাটা সামনে দেখবেন লাইন ধরে দই-এর বাক্সে গাছ লাগানো সেটাই আমার বাসা।

তারপর থেকেই কুনজ নিকুঞ্জ একটু একটু করে বেড়েছে। ঘরের ভেতরেও হয়তো হবে শত গাছ।

তবে স্বপ্নটার উপাদানে এসেছে ভিন্নতা। যেখানটায় হয়তো থাকার কথা ছিল একটা হিজল, আজ সেখানে ম্যাপল, বরই, কামরাঙা, আমডার জায়গায় এপি কট, ফিগ, প্লাম কিংবা চেরি। তবে লেবু আছে বেশ কয়েকটা, একটা তেজপাতাও। আছে জলপাই তবে একেবারেই ভিন্ন আমাদের দেশি জলপাইয়ের চেয়ে। কমলাও আছে একটা, গুজবেরি, রাজবেরিও আছে তবে ফলন খুব একটা হচ্ছে না। থানকুনি আছে প্রচুর। ডালিম গাছটাতে ফলন হয় বেশ, তবে ভীষণ টক। গাছে যখন ডালিম ফুটে থাকে, প্রচুর পাখি আসে-তখন মুন্সিগঞ্জের বাসার কামরাঙা গাছটার কথা খুব মনে পড়ে, টিয়া পাখিতে ভরে যেত গাছটা, যখন কামরাঙা পাকতো। বেশ কিছু গোলাপ আছে, বিভিন্ন রং-এর ডালিয়া, দুইটা ভিন্ন রং-এর তুলসী, নানান রং-এর আজালিয়া, রক্ত করবী, অনেক সাকুলেন্ড, ক্যাকটাস, সন্ধ্যা-মালতী, হলুদ গাদা হলো এবার, লাল-হলুদে মেলানো আরও একটা গাঁদা হয় বাড়ি জুড়ে। নেস্ট রিয়ামটাও হলো এবার। আইরিসও হচ্ছে, ম্যাগনোলিয়া আরক্যমেলিয়ার চাড়া করার চেষ্টা চলছে ।

আরও আছে অনেক নাম না জানা গাছ। আর মৌসুমি কিছু শাক সবজিও হয়। লাউ, কুমড়া, ডাটা, বেশ কিছু মরিচ, করলা, সিম, টমেটো, বেগুন, পুদিনা, পাসলি, বেজল বলে একটা গাছ হয় -এর পাতা সালাদে বেশ ভালো লাগে। চাইনিজ ক্যবিস হচ্ছে এবার। সঙ্গে আছে বেগুন রং এর ছোট ছোট মুলা আভিধানিক নাম রেডিস। ক্যাপসিকামও হয়। গরমে পুঁই শাকটার সব সময়ই থাকে। লেটুসও থাকে কিছু। রোজমেরির বেশ বড় একটা ঝাড আছে বাসার সামনেই , যখন ফুল ফোটে , শয়ে শয়ে মৌমাছি আর প্রজাপতিতে ভরে থাকে গাছটা ।

বেশ কিছু লিলিও হয়।

জানি না আমার স্বপ্নের কুনজ নিকুঞ্জ ধরা দিয়েছে কি না, তবে নিরন্তর স্বপ্ন ছিল প্রকৃতির কাছে থাকা, সবুজের কাছে যাওয়া, আব্বার সেই সংলাপেরও হয়তোবা কিছুটা বাস্তবতা । আর একটা জিনিস বলতে গেলে রোজই হয়। গাছ নিয়ে দ্বিমত- সহজ বাংলায় ঝগড়া। আমার গাছটা ঠিকমতো কাটতে পারেনি তাই তো মরে গেল, বলেছিলাম তোমাকে গোলাপের ডালগুলো কেটে দাও এখনো কাটলে না? ওই গাছটা ডেকের নিচে আননি বলেই বরফ পরে মরে গেল...এখানে এটা কেন লাগালে? আরও কত কি। উদ্ভিদবিদের কাছে আমার কষ্ট, স্বপ্ন পুথিগত বিদ্যার কাছে সর্বদাই মার খায়।

স্বপ্ন ছিল কুনজ নিকুঞ্জে একটা হিজল থাকবে আর একটা কদম, বর্ষায় মূষলধারায় বৃষ্টি হবে হিজল কদমের ঠালে, বকুলতলাটায় ভরে থাকবে ঝরা বকুলে, কাঁঠালচাঁপার গন্ধে ভরে যাবে আঙিনা, চারিদিক অসংখ্য বেলি, গন্ধরাজের ছড়াছড়ির।

কিছু ইরানি গোলাপ।
কিছু স্বপ্ন কোনো দিনই হয়তো মিটে না।
তবুও স্বপ্ন দেখতেই যে ভালোবাসি।