স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ

ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহান সৈনিকদের স্মরণে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দিবসটি উদ্‌যাপন করেছে ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহান সৈনিকদের স্মরণে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে।

সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কমিউনিটি নেতা ড. হাসনাত হোসাইন এমবিইর সভাপতিত্বে এবং সাবেক কাউন্সিলর ও ডেপুটি মেয়র ওহিদ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন যুক্তরাজ্য ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সংগঠনের নেতা ও রণাঙ্গনের অনেক মুক্তিযোদ্ধা।

বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা যুক্তরাজ্যপ্রবাসীদের নানা অবদানের কথা স্মরণ করা হয় এ সময়। আলোচনার ফাঁকে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে স্বাধীনতা উদ্‌যাপনের চিত্র ও ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কবিতা ও প্রবন্ধ পাঠ করেন অংশগ্রহণকারীরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল কবির, নজরুল খশরু, মাহিদুর রহমান, সামশুল আলম লিটন, নাজির আহমেদ, ডা. মোহাম্মদ আলম, হাসান মাহমুদ, সৈয়দ নাদির আজিজ দারাজ, হাসান আলী, আবদুল কাদের সালেহ, নুরুল হক, আবদুল লতিফ, নুরুল আমিন, ইউসুফ তালুকদার প্রমুখ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার এ সুবর্ণজয়ন্তীতে একত্র হয়ে উদ্‌যাপন করতে পেরে অংশগ্রহণকারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

ড. হাসনাত হোসাইন সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদানে আমাদের আজকের বাংলাদেশ, ‘বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভূদ্ধ হয়েছিল বলেই আমরা সেদিন স্বাধীন হতে পেরেছি। অতীতের মতো আমরা সবাই মিলে অবদান রেখে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, বিদেশ থেকেও আমাদের সেই প্রচেষ্টা থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সামনে রেখে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ কাজ করে যাবে।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, প্রিন্স চার্লস, লন্ডন মেয়রসহ অনেকেই বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসও নানা আয়োজনে স্বাধীনতা অর্জনের বিশেষ এই মাইলফলক উদ্‌যাপন করে।

সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রিটেনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় এই বাসভূমিতে পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দীর্ঘ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। ভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে লন্ডনের বোরো নিউহ্যাম কাউন্সিলও।