হৃদয়ে বেদনা, মুখে আনন্দের ঈদ কুয়েতপ্রবাসীদের

গত মঙ্গলবার কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপিত হয়েছে ঈদুল আজহা। এবার ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নয় দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিল দেশটির সরকার। এই ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুয়েতের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটগুলোয় বেচাকেনা জমে উঠেছিল।

কোরবানির বাজারে গরু, খাসি, উট, দুম্বাসহ বেচাকেনা হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির পশু। পছন্দসই পশুটি কিনতে পেরে স্থানীয় নাগরিকসহ প্রবাসীরা খুশি।

প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই ক্রেতারা ঘুরছেন এ বাজার থেকে সেই বাজার। করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব আর প্রচণ্ড গরমে খোলা আকাশের নিচে দেখা যায়নি এবারের কোরবানির পশুর বাজার। কুয়েতে বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে বেচাকেনা।

করোনা মহামারির কারণে অনেকেই গত বছরের মতো এবার ঈদে ইচ্ছা থাকলেও দেশে যেতে পারেননি। তাই কেউ একা বা কয়েকটি পরিবার মিলে কোরবানি দিয়েছেন কুয়েতে। কুয়েতপ্রবাসী জাহিদুর রহমানের স্ত্রীসহ দুজনের সংসার। তিনি জানান, পরিবার নিয়ে প্রতিবছরই দেশে যান ঈদ করতে, কিন্তু করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় এবারও পরিবার নিয়ে কুয়েতে ঈদ করেছেন।

কুয়েতে সপরিবারে নিয়ে দীর্ঘদিন আছেন শফিকুল ইসলাম। জানালেন, দুই বছর হতে চলল দেশে ঈদ করতে যেতে পারেন না ফ্লাইট বন্ধের কারণে। বেদনাভরা মন নিয়ে এবার ঈদুল আজহা কুয়েতেই উদ্‌যাপন করেছেন। তিনিসহ তাঁরা পাঁচ পরিবার মিলে একটি গরু কিনেছিল কোরবানির জন্য। তাঁর মতে গরুর দাম গত বছরের চেয়ে অনেকটাই কম।
ব্যাচেলর প্রবাসী জীবন চঞ্চল চৌধুরীর। সহকর্মীরা মিলে একটি গরু কিনেছেন। ফ্লাইট খোলা থাকলে হয়তো এখন দেশেই থাকতেন পরিবারের সঙ্গে।

কুয়েতপ্রবাসী সাংবাদকর্মী প্রেসক্লাবের নেতারা জানান, তাঁরা এই প্রথম সবাই মিলে কুয়েতে কোরবানি দিতে একটি দুম্বা কিনেছেন। তাঁরা বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখেছেন। তাঁরাও জানান, গরুর তুলনায় দুম্বার মূল্য অনেক বেশি।

এখানকার বাজারের অধিকাংশ পশু মিসর, তুর্কি, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা। তা ছাড়া স্থানীয়ভাবেও এখানে ফার্মে বিভিন্ন জাতের পশু পালন করা হয়। কুয়েতে নির্ধারিত স্থান ছাড়া যত্রতত্র কোরবানি পশু জবাই করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।