শুরুটা হয়েছিল অব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে। নিজের চেনাজানা গণ্ডির ভেতর, নিজের ডিজাইন করা পোশাক তৈরি করে বিক্রি করতেন। ‘আঁকিবুঁকি’র গোড়াপত্তন সেখান থেকেই। প্রাধান্য দেওয়া হতো দেশীয় ঐতিহ্যকে। ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ফেসবুক পেজ আর স্থানীয় কিছু কারুপণ্য মেলাকে। ৩ ফেব্রুয়ারি আঁকিবুঁকি ৫ম বছর পূর্ণ করল।
আঁকিবুঁকির পথ চলা শুরু হয় শারমিন মুস্তারীর হাত ধরে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সেলাই–ফোঁড়াইয়ে শারমিনের বেশ আগ্রহ ছিল। পরবর্তীকালে কলেজে পড়ার সময়গুলোতে পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বশেই তিনি পোশাক ডিজাইনের কাজ করতেন, পরিবার ও বন্ধুমহলে বিক্রি করার জন্য।
২০১৬ সাল থেকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে শুরু করেন আঁকিবুঁকি নামে অনলাইনভিত্তিক দোকান। আরও বড় পরিসরে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে আঁকিবুঁকির সঙ্গে যুক্ত হন শারমিনের কলেজজীবনের বন্ধু শান্তা ইসলাম। আঁকিবুঁকি এখন শান্তা ও শারমিনের যৌথ প্রয়াস। নতুন রূপে শুরু হলো আঁকিবুঁকির পথচলা। যুক্ত হলো মেটাল, বিড্স আর সুতা দিয়ে হাতে তৈরি গয়না, কাপড়ের বুটি ব্যাগ, সিলেট থেকে আনা হলো উন্নত মানের মণিপুরী শাড়ি, শাল এবং আর্টিস্টের হাতে আঁকা পণ্য।
আঁকিবুঁকির সব সময়ের চেষ্টা থাকে দেশীয় উপকরণে পণ্য তৈরি করার। আঁকিবুঁকির অন্যতম বৈশিষ্ট্য—সব পণ্যই একক ডিজাইনের, একটি ছাড়া দ্বিতীয়টি করা হয় না। এ ধারা আঁকিবুঁকি অব্যাহত রাখতে চায় বলে জানান এর উদ্যোক্তারা। ক্রেতাদের কাছ থেকেও এ বিষয়ে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ঢাকার কোনো একটা জায়গায় ছোট্ট শাখা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।